আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

প্রযুক্তি পরামর্শ-১৪: মোবাইল ফোন প্রযুক্তির প্রকারভেদ কী কী?

No Comments

 



বর্তমান প্রচলিতমোবাইল ফোন প্রযুক্তিকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়।


যথা- ১) জিএসএম (GSM) ও ২) সিডিএমএ (CDMA)।


জিএসএম (GSM)


GSMএর পূর্ণরূপ (Global System for Mobile Communication) গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন। এই প্রযুক্তিতে একটি সিম যেকোন মোবাইল সেটে ব্যবহার করা যায়। এটি FDMA ও TDMA এর সমন্বয়ে গঠিত একটি সম্মিলিত চ্যানেল আ্যকসেস পদ্ধতি। ইহা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় মোবাইল টেলিফোন প্রযুক্তি। বিশ্বের প্রায় ২১৮ টি দেশ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে। বাংলাদেশে গ্রামীনফোন, বাংলালিংক, টেলিটক, রবি ইত্যাদি সব জিএসএম প্রযুক্তি ব্যবহার করে।



জিএসএম (GSM) এর বৈশিষ্টঃ


১. এই প্রযুক্তিতে অধিক দক্ষ ও কার্যকর ফ্রিকুয়েন্সি প্রদান করে এবং ফ্রিকুয়েন্সি হোপিং সুবিধা আছে। অর্থাৎ ফ্রিকুয়েন্সি সমস্যা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্রিকুয়েন্সি বেড়ে যায়।


২. আর্ন্তজাতিক রেমিং সুবিধা আছে ফলে বিশ্বব্যাপি ব্যাপক কভারেজ রয়েছে।


৩. যে কোন হ্যান্ডসেটে যে কোন (SIM)সিমকার্ড ব্যবহার করা যায়।


সিডিএমএ (CDMA)


(CDMA) এর পূর্ণরূপ (Code Division Multiple Access) কোড ডিভিশন মাল্টিপল অ্যাকসেস। এই প্রযুক্তিতে একটি নির্দিষ্ট মোবইল সেটের একটি নির্দিষ্ট সিম সংযুক্ত থাকে। ঐ সিম অন্য কোন মোবাইল সেটে ব্যবহার করা যায় না। এই প্রযুক্তিতে প্রতিটি কল বা ডেটা পাঠানো হয় ইউনিক কোডিং পদ্ধতিতে। ইহা একাধিক ব্যবহার কারীকে একইি ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ড ব্যবহার করার সুযোগ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে সিটিসেল সিডিএমএ প্রযুক্তির মোবাইল ফোন।


সিডিএমএ (CDMA) এর বৈশিষ্ট্য:


১. এই প্রযুক্তিতে উচ্চমাত্রার ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার করা হয়।


২. CDMA প্রযুক্তিতে Power খুব কম লাগে। তাই ব্যাটারির আয়ুষ্কাল অনেক বেশি হয়। এজন্য একে গ্রীনফোনও বলা হয়।


৩. আর্ন্তজাতিক রেমিং সুবিধা নেই।


৪. নির্দিষ্ট সিমকার্ড এই প্রযুক্তিতে যাকে বলে R-UIM (Removable User Identity Module)