আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

প্রবন্ধ-৬০: সময়ের মাঝে বরকত -আল্লামা শারানী রহ.

No Comments

 



⏱️⏱️⏱️সময়ের মাঝে বরকত⏱️⏱️⏱️


এ কথাটি খুবই প্রসিদ্ধ বরং অকাট্য বাস্তব যে, আল্লাহর ওলীগণের সময়ের মাঝে খুব বেশী বরকত হয়ে থাকে। তারা অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বড় বড় কাজ সমাধা করে থাকেন। হযরত ইমাম গাযযালী (রহঃ)-এর লিখা কিতাবসমূহকে যদি তার পূর্ণ বয়সের মধ্যে হিসাব মত ভাগ করে দেয়া হয় তবে প্রতিদিনের ভাগে পড়ে ১৬ খণ্ডের একটি রচনা, যা কোনভাবেই বুঝে আসার কথা নয়।


এছাড়া শাইখ আবদুল ওয়াহহাব শা'রানী (রহঃ) তার লিখিত গ্রন্থ ‘আল ইওয়াকীত ওয়াল জাওয়াহের' এর মধ্যে বলেছেন যে, এই কিতাবের মধ্যে তিনশত বাব বা অধ্যায় রয়েছে। এর প্রত্যেকটা অধ্যায় লিখার পর পর আমি শাইখে আকবর ইবনে আরাবী (রহঃ)-এর লিখিত কিতাব ‘আল ফুতূহাত' শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করেছি। আল ফুতূহাত কয়েক হাজার পৃষ্ঠা সম্বলিত কিতাব। সেমতে ‘আল-ইওয়াকীত ওয়াল জাওয়াহির' কিতাবটি লিখার সময় সম্পূর্ণ ‘ফুতূহাত’ গ্রন্থটি তিনশত বার পাঠ করা হয়েছে। এর সাথে তিনি একথাও লিখেছেন যে, এ কিতাবটি আমি ৩০ দিনে লিখেছি। সেমতে প্রতিদিন ‘ফুতূহাত' দশবার পাঠ করা হয়েছে। যে কিতাবটিতে দুই হাজারেরও অধিক পৃষ্ঠা রয়েছে। 


উলামায়ে কিরাম, সুলাহায়ে ইযাম এবং বুযুর্গানে দ্বীনের এ ধরনের অনেক ঘটনা প্রসিদ্ধ রয়েছে।


এখানে একটি প্রশ্ন হয় যে, সময়ের মধ্যে এত অধিক প্রশস্ততা ও বরকত কিভাবে সৃষ্টি হয়। কারণ ঘন্টা তো ষাট মিনিটেই হয়, এর থেকে তো আর বাড়ে না। তারপর রাত্র ও দিন চব্বিশ ঘন্টাতেই হয়ে থাকে, এর থেকেও বৃদ্ধি পায় না। এক্ষেত্রে হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত মাওলানা কাসেম তানুতবী (রহঃ)-এর বক্তব্য হচ্ছে, সময়ের একটা দৈর্ঘ্য রয়েছে যা সকলেই জানে। ঘন্টা আর মিনিটের এই হিসাব হলো সময়ের দৈর্ঘ্য। অনুরূপভাবে সময়ের মাঝে একটি প্রস্থও রয়েছে যা সাধারণ নযরে দেখা যায় না। এ সকল বুযুর্গানে দ্বীন সময়ের সেই প্রস্থতার মাঝেই বড় বড় কাজ সমাধা করে নেন।


-মাজালিসে হাকীমুল উম্মত : ৩০৭