জিজ্ঞাসা-১২৭৪৬:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
মোটিভেশন ক্লাস,
'সৎভাবে জীবন যাপন করা
তারিখ: ০৩/০৯/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা নুরুল আলম, খুলনা থেকে।
জবাব:
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো,
ক। ভূমিকা:
মহান আল্লাহ বলেন,
مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত।
সূরা নাহল -৯৭
যারা সৎভাবে জীবন যাপন করবে, তাদেরকে আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখেরাতে পবিত্র জীবন দান করবেন। এর চেয়ে আর সুসংবাদ হতে পারে।
খ। সৎভাবে জীবন যাপন বলতে কী বুঝায়?
সৎভাবে জীবন-যাপন বলতে সঠিকভাবে, নীতি-নৈতিকতার সাথে জীবন যাপন করা। আল্লাহ এবং বান্দার হক যথাযথভাবে পালন করা হলো সৎ ভাবে জীবন যাপন করা। যিনি কোন অন্যায় কাজ করে না তিনি সৎ ব্যক্তি শরীয়তের পরিভাষায় তাকে মুত্তাকি বলা হয়।
মহান আল্লাহ তাআলা আল্লাহ এবং অন্যান্য বান্দাদের সাথে সৎভাবে জীবন-যাপন তথা ভালো আচরণের নির্দেশ দিয়ে বলেন,
وَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَبِذِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينِ وَالْجَارِ ذِي الْقُرْبَىٰ وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالْجَنبِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ مُخْتَالًا فَخُورًا
আর উপাসনা কর আল্লাহর, শরীক করো না তাঁর সাথে অপর কাউকে। পিতা-মাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্নীয়, এতীম-মিসকীন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক-গর্বিতজনকে। সূরা নিসা -৩৬
গ।. সৎভাবে জীবন যাপনের পরকালীন ফায়দা:
আয়াত নং -০১
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَهُمۡ جَنّٰتُ النَّعِیۡمِ - خٰلِدِیۡنَ فِیۡهَا ؕ وَعۡدَ اللّٰهِ حَقًّا ؕ وَ هُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ‘
যারা ঈমান আনে ও নেক কাজ করে, তাদের জন্য আছে নেয়ামতে ভরা জান্নাত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ সুরা লোকমান- আয়াত ৮-৯
আয়াত নং -০২
اِنَّ الْمُتَّقِیْنَ فِیْ جَنّٰتٍ وَّ نَهَرٍ، فِیْ مَقْعَدِ صِدْقٍ عِنْدَ مَلِیْكٍ مُّقْتَدِرٍ.
যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে তারা থাকবে উদ্যানরাজি ও নহরে। সত্যিকারের মর্যাদাপূর্ণ আসনে, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহা সম্রাটের সান্নিধ্যে। সূরা ক্বমার, ৫৪-৫৫
আয়াত নং-০৩
وَ مَنْ یَّتَّقِ اللهَ یُكَفِّرْ عَنْهُ سَیِّاٰتِهٖ وَ یُعْظِمْ لَهٗۤ اَجْرًا.
যে তাকওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন এবং তাকে বিরাট আজর দান করেন। সূরা ত্বলাক-০৫
আয়াত নং-০৪
وَ الَّذِیْنَ اتَّقَوْا فَوْقَهُمْ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ.
যাঁরা তাকওয়া অবলম্বন করে তারা কিয়ামতের দিন তাদের (কাফেরদের) উপরে থাকবে। সূরা বাকারা-২১২
আয়াত নং-০৫
فَمَنِ اتَّقٰی وَ اَصْلَحَ فَلَا خَوْفٌ عَلَیْهِمْ وَ لَا هُمْ یَحْزَنُوْنَ.
যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং সৎ থাকে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা কখনো দুঃখিত হবে না। সূরা আরাফ- ৩৫
শাস্তির ভয় থেকে মুক্ত থাকার সুসংবাদ।
আয়াত নং-০৬
وَاتَّقُوا اللهَ إِنَّ اللهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ.
তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়ালু। সূরা আনফাল- ৬৯
আয়াত নং-০৭
اِنَّمَا یَتَقَبَّلُ اللهُ مِنَ الْمُتَّقِیْنَ.
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের থেকে কবুল করেন। -সূরা মায়েদা- ২৭
ঘ। সৎভাবে জীবন যাপনের দুনিয়াবী/পার্থিব ফায়দা:
আয়াত নং-০১
وَ مَنْ یَّتَّقِ اللهَ یَجْعَلْ لَّهٗ مِنْ اَمْرِهٖ یُسْرًا.
যে তাক্বওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার সব বিষয় সহজ করে দেন। সূরা ত্বলাক- ৪
তাফসীর:
قال عطاء يسهل الله عليه أمر الدنيا والآخرة
অর্থাৎ হযরত আতা রহ. বলেন, আল্লাহ তা’য়ালা তার দুনিয়া ও আখেরাতের সব বিষয় সহজ করে দেবেন।
সূত্র: তাফসীরে রাযী খ: ৩০ পৃ: ৩৬ বগবী খ: ৪ পৃ: ৩৫৮ তাফসীরে কাবীর মাআলিমুত তানযীল খ: ৮ পৃ: ১৫৩
অপরাধী কখনও স্থির জিবন পায় না। সব সময় আতঙ্কে থাকে।
وَمَنۡ أَعۡرَضَ عَن ذِكۡرِی فَإِنَّ لَهُۥ مَعِیشَةࣰ ضَنكࣰا وَنَحۡشُرُهُۥ یَوۡمَ ٱلۡقِیَـٰمَةِ أَعۡمَىٰ
বিপর্যয় কেন আসে?
আল্লাহ তা’য়ালা বলেন,
ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِي النَّاسِ لِيُذِيقَهُم بَعْضَ الَّذِي عَمِلُوا لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ
অর্থ: স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে। সুরা রুমা ৪১
উত্তরণের পথ
فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا يُرْسِلِ السَّمَاء عَلَيْكُم مِّدْرَارًا وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا
অর্থ: অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন। সুরা নুহ আয়াত: ১০
আয়াত নং-০২
مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত। সূরা নাহল -৯৭
আয়াত নং-০৩
اِنَّ اللهَ مَعَ الَّذِیْنَ اتَّقَوْا وَّ الَّذِیْنَ هُمْ مُّحْسِنُوْنَ.
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁদের সাথে থাকেন, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে। সূরা নাহল-১২৮
আয়াত নং -০৪
اِنَّ لِلْمُتَّقِیْنَ مَفَازًا.
নিশ্চয়ই মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে সফলতা। -সূরা নাবা (৭৮) : ৩১
আয়াত নং-০৫
وَّ یَرْزُقْهُ مِنْ حَیْثُ لَا یَحْتَسِبُ.
এবং তাকে রিযিক দান করেন অকল্পনীয়ভাবে। সূরা ত্বালাক-০৩
আয়াত নং-০৬
اِنَّ اَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ اَتْقٰىكُمْ.
নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হচ্ছে মুত্তাকীগণ। সূরা হুজুরত-১৩
আয়াত নং-০৭
اِنَّ اللهَ یُحِبُّ الْمُتَّقِیْنَ.
নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে ভালোবাসেন। -সূরা তাওবা- ৪
আয়াত নং-০৮
وَأَمَّا مَنْ آمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَلَهُ جَزَاءً الْحُسْنَىٰ وَسَنَقُولُ لَهُ مِنْ أَمْرِنَا يُسْرًا
এবং যে বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে তার জন্য প্রতিদান রয়েছে কল্যাণ এবং আমার কাজে তাকে সহজ নির্দেশ দেব। সূরা কাহাফ -৮৮
আয়াত নং-০৯
وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا وَإِنَّ اللَّهَ لَمَعَ الْمُحْسِنِينَ
যারা আমার পথে সাধনায় আত্মনিয়োগ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত করব। নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের সাথে আছেন।
সুরা আনকাবুত আয়াত: ৬৯
তাফসীর:
وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا اي اجْتَهَدُوا في العَمَلِ بِالطّاعَةِ والكَفِّ عَنِ المَعْصِيَةِ رَغْبَةً في ثَوابِنا وحَذَرًا مِن عِقابِنا
لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا يَعْنِي الطَّرِيقَ إلى الجَنَّةِ
সূত্র: তাফসীরে মাওয়ারদী
ইউসুফ আ.
ইউসুফ আ. কে ফুসলিয়ে ব্যাভিচারে লিপ্ত করার জন্য জুলাইখা খুব চেষ্টা করেছিল। বলা হয়,
إِنَّهَا كَانَتْ سَبْعَةَ أَبْوَابٍ غَلَّقَتْهَا ثُمَّ دَعَتْهُ إِلَى نَفْسِهَا
অর্থাৎ সাতটি দরজা বন্ধ করে জুলাইখা তার দিকে আহ্বান করল।
কিন্তু আল্লাহ পাকের ওয়াদা
إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الظَّالِمُونَ
জালেমরা কখনও সফল হয় না।
হাদিস শরীফে এসেছে,
أَنَّهَا قَالَتْ لَهُ يَا يُوسُفُ مَا أَحْسَنَ صُورَةَ وَجْهِكَ قَالَ فِي الرَّحِمِ صَوَّرَنِي رَبِّي قَالَتْ يَا يُوسُفُ مَا أَحْسَنَ شعرك قال هو أول شي يَبْلَى مِنِّي فِي قَبْرِي قَالَتْ يَا يُوسُفُ مَا أَحْسَنَ عَيْنَيْكَ قَالَ بِهِمَا أَنْظُرُ إِلَى رَبِّي قَالَتْ: يَا يُوسُفُ ارْفَعْ بَصَرَكَ فَانْظُرْ فِي وَجْهِي قَالَ إِنِّي أَخَافُ الْعَمَى فِي آخِرَتِي قَالَتْ يَا يُوسُفُ أَدْنُو مِنْكَ وَتَتَبَاعَدُ مِنِّي قَالَ أُرِيدَ بِذَلِكَ الْقُرْبَ مِنْ رَبِّي قَالَتْ يَا يُوسُفُ الْقَيْطُونُ فَرَشْتُهُ لَكَ فَادْخُلْ مَعِي قَالَ الْقَيْطُونُ لَا يَسْتُرُنِي مِنْ رَبِّي قَالَتْ يَا يُوسُفُ فِرَاشُ الْحَرِيرِ قَدْ فَرَشْتُهُ لَكَ قُمْ فَاقْضِ حَاجَتِي قَالَ إِذًا يَذْهَبُ مِنَ الْجَنَّةِ نَصِيبِي
অর্থাৎ জুলাইখা বলল, ইউসুফ, তোমার চেহারা কত সুন্দর। ইউসুফ আ. বললেন, এটা মাতৃগর্ভে আমার রব সাজিয়েছে। জুলাইখা বলল, ইউসুফ, তোমার চুল কত সুন্দর! ইউসুফ আ. বললেন, এ চুল সর্ব প্রথম কবরে মাথা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।জুলাইখা বলল, ইউসুফ, তোমার চোখ দুটো কত সুন্দর! ইউসুফ আ. বললেন, এ দুটো চোখ দিয়ে আমার রবকে আমি অবলোকন করবো। জুলাইখা বলল, ইউসুফ, চোখ তোলো আমার চেহারার দিকে তাকাও। ইউসুফ আ. বললেন, আমি এটা করলে কিয়ামতে আমার চোখ অন্ধ হওয়ার ভয় পাচ্ছি।জুলাইখা বলল, ইউসুফ, আমি তোমার কাছে এসেছি, অথচ তুমি আমার থেকে দূরে সরে যাচ্ছো!ইউসুফ আ. বললেন, এটার দ্বারা আমি আমার রবের নৈকট্য অর্জন করতে চাই। জুলাইখা বলল, ইউসুফ, ঘরের ভেতর ঘরে বিছানা করেছি। চলো আমার সাথে প্রবেশ করো। ইউসুফ আ. বললেন, ঘরের মধ্যে ঘর তবে রবের থেকে গোপন করতে পারবে না। জুলাইখা বলল, ইউসুফ, রেশমী কাপড় দিয়ে বিছানা বিছিয়েছি, চলো আমার সাথে, আমার চাহিদা পূরণ করো। ইউসুফ আ. বললেন, তখন আমি জান্নাতের অংশ থেকে দুরে চলে যাবো।
সূ্ত্র: তাফসীরে কুরতুবী ১১৪/৯ কাসাসুল কুরআন পৃ: ১১৬-১১৭
হাদিস নং-০১
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,اَلتَّاجِرُ الصَّدُوقُ الأَمِينُ مَعَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ، অর্থ: সত্যবাদী ও আমানতদার ব্যবসায়ী (কিয়ামতের দিন) নবি, ছিদ্দিক ও শহিদদের সাথে থাকবে। তাখরিজ: তিরমিজি-১২০৯
হাদিস নং-০২
কাতাদাহ রহ বলেন, اَلتِّجَارَةُ رِزْقٌ مِنْ رِزْقِ اللهِ حَلاَلٌ مِنْ حَلاَلِ اللهِ لِمَنْ طَلَبَهَا بِصِدْقِهَا وَبِرِّهَا ব্যবসা আল্লাহর রিযিকের মধ্যে একটি রিযিক এবং আল্লাহর হালালকৃত বস্তুগুলির মধ্যে একটি হালাল ঐ ব্যক্তির জন্য, যে সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে ব্যবসা করে। তাখরিজ: সুনানে বায়হাকি-৫৪৫২
হাদিস নং-০৩
হযরত নুমান ইবনে বাশীর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি-
إِنّ الْحَلَالَ بَيِّنٌ، وَإِنّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ، وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبِهَاتٌ لَا يَعْلَمُهُنّ كَثِيرٌ مِنَ النّاسِ، فَمَنِ اتّقَى الشّبُهَاتِ اسْتَبْرَأَ لِدِينِهِ، وَعِرْضِهِ، وَمَنْ وَقَعَ فِي الشّبُهَاتِ وَقَعَ فِي الْحَرَامِ.
হালাল সুস্পষ্ট, হারামও সুস্পষ্টই। এ দুয়ের মাঝে যা কিছু আছে তা হল, ‘মুশতাবিহাত’ বা সন্দেহপূর্ণ (অর্থাৎ হালালও হতে পারে, হারামও হতে পারে)। অনেক মানুষ এ সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান রাখে না। সুতরাং যে শুবুহাত (সন্দেহপূর্ণ বিষয়) এড়িয়ে চলবে, সে তার দ্বীন ও সম্মান নিয়ে নিরাপদে থাকবে। আর যে ওই শুবুহাত তথা সন্দেহপূর্ণ বিষয়ে জড়িয়ে পড়বে, সে হারামে নিপতিত হবে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৯৯
ঙ। উপসংহার:
সৎভাবে তথা আমলে সলিহা করবে তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন,
. اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ کَانَتۡ لَهُمۡ جَنّٰتُ الۡفِرۡدَوۡسِ نُزُلًا‘নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে, তাদের মেহমানদারির জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফেরদাউস।’ (সুরা কাহফ : আয়াত ১০৭)
والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক