🔸মসনবী কিতাবের সারমর্মঃ
হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ সাহেব (রহঃ) বলেন, আমি মাওলানা রুমী (রহঃ)-এর মসনবী যতই অধ্যয়ন করেছি আমার কাছে এ বিষয়টিই পরিষ্কারভাবে প্রতিভাত হয়েছে যে, সমস্ত মসনবী শরীফের সারমর্ম হচ্ছে এক নাম্বারে তাওহীদ বা আল্লাহ পাকের একত্ববাদকে বর্ণনা করা। আর দ্বিতীয় হচ্ছে, ইসলাহে নফস বা আত্মশুদ্ধি এবং আল্লাহপাক পর্যন্ত পৌঁছার জন্য একজন শাইখে কামিল তথা হক্কানী শাইখের প্রয়োজনীয়তা।
🔸হযরত হাকীমুল উম্মত (রহঃ)-এর কিতাব অধ্যয়নঃ
হযরত হাকীমুল উম্মত (রহঃ) ইরশাদ করেন যে, আমার খুব বেশী কিতাব মুতালায়া বা অধ্যয়ন করার আগ্রহ সৃষ্টি হয়নি। কারণ, আমি শুধু ইলমকেই মূল উদ্দেশ্য বলে বুঝিনি। আমলের জন্য যতটুকু ইলমের প্রয়োজন ততটুকু ইলমের ক্ষেত্রে আমাদের বুযুর্গানে দ্বীনের উপর পরিপূর্ণ নির্ভরতা ও বিশ্বাস ছিলো। সুতরাং পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর ব্যাখ্যায় তাঁরা যা কিছু বলেছেন, তার উপরই অন্তর নিষ্কন্টক ছিলো।
হযরত থানবী (রহঃ)-এর প্রায় একহাজার কিতাবের উল্লেখ করে একজন আগন্তুক আরয করলো, আপনি যখন এতগুলো কিতাব লিখেছেন, সুতরাং আপনার তো এর চাইতে কয়েকগুণ অধিক কিতাব অধ্যয়ন করতে হয়েছে। এর জবাবে হযরত থানবী (রহঃ) বললেন যে, হাঁ, আমি কিছু কিতাব ঠিকই অধ্যয়ন করেছি, যে কিতাবগুলোর নাম হচ্ছে, হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রহঃ), হযরত মাওলানা ইয়াকুব সাহেব (রহঃ) এবং হযরত মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী (রহঃ)।
হযরত থানবী (রহঃ) বলেন যে, উল্লিখিত কিতাবসমূহই আমাকে অন্য সব কিতাব থেকে অমুখাপেক্ষী করে দিয়েছে। হয়ত এ ধরনের বুযুর্গ হযরতগণের প্রতি লক্ষ্য করেই কোন আরবী কবি বলেছেন—
وانت الكتاب المبين الذى x باحرفه يظهر المضمر
অর্থাত, তুমিই হলে সেই সুস্পষ্ট কিতাব যার প্রতিটি হরফের দ্বারা সব গোপন বিষয়াদি প্রকাশ পেয়ে যায়।
📖 মাজালিসে হাকীমুল উম্মত ||| পৃষ্ঠাঃ১৬৬
────⊱◈🌼◈⊰─────