আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

দ্বীনি সচেতনতা-২৮: আলিম ও বুযুর্গ ব্যক্তিদের কটাক্ষ করা চরম দূষণীয়, তাদের অন্ধভক্তিও মারাত্মক বিপজ্জনক!!

No Comments

 


আলিম ও বুযুর্গ ব্যক্তিদের কটাক্ষ করা চরম দূষণীয়, তাদের অন্ধভক্তিও মারাত্মক বিপজ্জনক!! 

                 *** ***

সব ধর্মেই আলিম, শাইখ ও ধর্মগুরুগণ ধর্মের ব্যাখ্যা প্রদান করেন এবং ধর্মের বিধিবিধান ও ধর্মবিশ্বাস শিক্ষা প্রদান করেন। 

ইসলামেও আমাদের আলিম ও শাইখগণ দীনের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করবেন এবং দীনের শিক্ষা-দীক্ষা দেবেন- এটাই স্বাভাবিক।


আর আমরা যারা সাধারণভাবে কুরআন-হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান রাখি না কিংবা রাখলেও তা যথেষ্ট নয়, আমাদের সকলকেই তাদের দীনী নির্দেশনা, উপদেশ ও শিক্ষাগুলো মান্য করে চলতে হবে, তাদের অনুসরণ করতে হবে- এটাও একান্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। 

কুরআন ও হাদীসের বিভিন্ন জায়গায় এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। 


তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের এ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা চাই যে, 

যখনই আমরা কোনো বিষয়ে তাদের কোনো মতামত কুরআন ও সহীহ হাদীসের পরিপন্থী বলে নিজস্ব গবেষণা অথবা কারো মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে অবগত হতে পারবো, তখনই সে বিষয়ে আমাদের কর্তব্য হলো- তাদের মতামতের ওপর আমল পরিহার করে কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের দ্বারা যা করা সঠিক বলে প্রমাণিত হয়, তা-ই সম্পাদন করা।

 

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, 

ইসলামে আলিমদের নানা বিশিষ্ট মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তদুপরি দীনের প্রচার ও প্রসারেও যুগে যুগে তারা অনেক কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন।

  

তবে এ কথাও ঠিক যে, 

তাঁদের কেউ মাসূম ও নিষ্পাপ নন। তাঁদের থেকে যে কোনোরূপ পদস্খলন ও ভুলত্রুটি হওয়া স্বাভাবিক। তাই তাঁদের কোনো কথা দীনের কোনো স্বতন্ত্র দলীল নয়। 

তবে যে আলিম ও ওলী-বুযুর্গের যাহির ও বাতিন শরীয়ত ও সুন্নত মুতাবিক পরিচালিত, তিনি অবশ্যই অনুসরণীয়; কিন্তু তাঁর এ মর্যাদা অবশ্যই তাঁর মাসূম হবার কারণে নয় এবং এ অনুসরণ নিঃশর্তও নয়। 

যদি কখনো তাঁর নিকট থেকে এমন কোনো কথা বা কাজ প্রকাশ পায়, যা প্রকাশ্যত শরীয়ত সমর্থন করে না, তবে তার সেই কথা বা কাজকে দলীল বানিয়ে শরীয়তের যে কোনো বিধান লঙ্ঘন করা কিছুতেই জায়িয হবে না।


তাই তাঁদের যে কোনো মত ও চিন্তা কেবল তাঁরা বলেছেন বলেই কোনোরূপ যাচাই-বাছাই ছাড়াই গ্রহণ করতে হবে- তা নয়; বরং তাঁদের যে কোনো মত ও চিন্তা কুরআন ও হাদীসের আলোকে বিচার করেই গ্রহণ করতে হবে।

 

ভুলের কারণে যেমন কোনো আলিম ও বুযুর্গ ব্যক্তির শানে কুধারণা পোষণ করা যায় না, কটাক্ষ করা সমীচীন নয়,  

তেমনি কোনো বিশিষ্ট আলিম ও বুযুর্গ ব্যক্তি বলেছেন বলেই তা অভ্রান্ত ও চূড়ান্ত বলেও বিশ্বাস করা যায় না, সমীচীন নয়। 


একবার শাইখ নসীরুদ্দীন দেহলভী রাহ. তাঁর পীর নিজামুদ্দীন আউলিয়া রাহ.-এর কোনো কাজ সম্পর্কে আপত্তি করতে গিয়ে অন্যান্য মুরীদের নিকট বলেছিলেন, فعل مشائخ حجت نباشد- ‘‘মাশায়িখের কাজ দলীল হতে পারে না।” নিজামুদ্দীন আউলিয়া রাহ. তাঁর এ কথা শুনতে পেয়ে তাঁর প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়ার পরিবর্তে স্পষ্ট বলে দিলেন, نصير الدين راست مي گويد-‘‘নসীরুদ্দীন সত্যই বলেছেন।” 


হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী (রাহ.)-এর শিষ্যরা যখন তাঁর বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি দ্বারা প্রমাণ পেশ করতে চাইতেন, তখন তাঁর বিশিষ্ট শাগরিদ মাওলানা রশীদ আহমাদ গাঙ্গুহী(রাহ.) বলতেন,

‘পীর-মাশায়িখের কথা ও কাজ দ্বারা দলীল দেওয়া যায় না। রাসূলুল্লাহ (সা.), অতঃপর মুজতাহিদগণের কথা ও কাজ দ্বারা দলীল প্রদান করা যায়। কাজেই শরীয়তের মাসআলার ক্ষেত্রে হাজী সাহেবের কথা বলে কোনো লাভ হবে না।’ 


তিনি আরো বলেন, 

‘যদি কারো পীর সাহেব শরীয়ত বিরোধী কোনো কিছুর নির্দেশ দেন, তাহলে তা মেনে চলা জায়িয হবে না; বরং পীর সাহেবকে শোধরিয়ে দেওয়া মুরীদের অপরিহার্য কর্তব্য।’


কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের ব্যাপার হলো, 

অতীতের বিভিন্ন জাতি তাদের বিশিষ্ট বুযুর্গ আলিম ও ধর্মগুরুদের ইসমতে তথা অভ্রান্ততায় বিশ্বাস করে তাদের মতামতকেই দীনের চূড়ান্ত সত্য বলে গ্রহণ করেছে। তাঁদের বুযুর্গী ও জ্ঞানের ওপর অতি আস্থাশীল হয়ে তাঁদের মতামতকেই তারা ওহীর মতো মর্যাদা দান করেছে। 

ফলে তাদের নিকট ওহীর আর বিশেষ কোনো গুরুত্ব থাকেনি। এ সকল আলিম ও ধর্মগুরু ওহীর যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা-ই চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হয়েছে। তাদের কথার সারমর্ম ছিল, ওহীর বক্তব্য আমরা বুঝবো না। এগুলো সাধারণ মানুষদের জন্য নয়। ধর্মগুরু, দরবেশ ও বুযুর্গ আলিম যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটিই ওহীর একমাত্র ব্যাখ্যা বলে গণ্য হবে। 


মুসলিম উম্মাহর বিভক্তি ও বিভ্রান্তির পেছনেও অন্যতম কারণ হলো- 

বিভিন্ন যুগের আলিম, ধর্মগুরু ও বুযুর্গদের কথাগুলোকে নির্বিচারে একান্ত সত্য ও চূড়ান্ত বলে গ্রহণ করা। ইসলামে সর্বপ্রথম শী‘আরাই ইমাম ও বুযুর্গদের ইসমত এবং তাঁদের ইলমে লাদুন্নী, কাশফ ও ইলহাম প্রভৃতির অভ্রান্ততার কথা প্রচার করে। পরবর্তীকালে মুসলিম উম্মাহর রাজনৈতিক দুর্বলতার দিনগুলোতে কারামিতাহ, ফাতিমিয়্যাহ, ইসমা‘ঈলিয়্যাহ ও বাতিনিয়্যাহ, নুসাইরিয়্যাহ ও দুরূয ইত্যাদি শী‘আ দলগুলো মুসলিম সমাজে ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। অনেক সাধারণ বুযুর্গ লোকও তাদের মতামত দ্বারা প্রভাবিত হন।

 

ফলে এক পর্যায়ে এসে আলিম, ধর্মগুরু ও বুযুর্গদের মতামতগুলোকেই চূড়ান্ত বলে ধরে নেওয়া হয়। কোন্ কথাটি ঠিক এবং কোন্ কথাটি ভ্রান্ত- তা নির্দিষ্টভাবে ও নিঃসন্দেহে জানবার জন্য না কুরআন দেখা হয়, না হাদীস, না সাহাবা কিরামের আমল ও জীবন-চরিত। কেবল দেখা হয়, অমুক আলিম কী বলেছেন, অমুক বুযুর্গ কী মত পোষণ করতেন। তিনিই যদি তা বলে থাকেন, তাহলে তা বিশ্বাস ও মেনে চলতে আর কোনো দ্বিধাবোধ করা হয় না। 


সে ক্ষেত্রে এতোটুকুও চিন্তা করা হয় না, 

যে আলিম বা বুযর্গের কথা বলা হয়, তাঁর চিন্তা ও মত কুরআন-সুন্নাহর আলোকে কতোটুকু সঠিক ও অভ্রান্ত। এভাবে কার্যত মানুষের ঈমানকে ব্যক্তিবিশেষের মতের ওপর নির্ভরশীল করে দেওয়া হয়। সেখানে না আল্লাহর কথার কোনো দোহাই চলে, না আল্লাহর রাসূলের কোনো কথার। কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে, এ নীতি অতীব নিন্দিত। এ ধরনের নীতিই গুমরাহীর মূল উৎস। এরূপ অবস্থায় মানুষ মানুষের অন্ধ অনুসারী হয়ে যায়; আর আল্লাহর বান্দা হওয়ার পরিবর্তে বান্দা হয়ে যায় সেই মানুষের। 


মহান আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে এরূপ নীতিকে প্রকারান্তরে তাঁকে ছেড়ে আলিম ও ধর্মগুরুদেরকে রব্ব বানানোর নামান্তর বলে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা ইহুদী-খ্রিষ্টানদের এরূপ নীতির নিন্দা করে বলেন, 

﴿اتَّخَذُوا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ وَالْمَسِيحَ ابْنَ مَرْيَمَ وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا إِلَهًا وَاحِدًا ﴾ 

‘তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাদের বড়ো বড়ো আলিম ও দরবেশদেরকেই এবং র্মাইয়াম তনয় ঈসাকে তাদের রব্ব হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে। অথচ তাদেরকে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করার জন্যেই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।’ 


স্মতর্ব্য যে, ইহুদী ও খ্রিষ্টানরা পরিষ্কার ভাষায় তাদের আলিম ও দরবেশদেরকে রব্ব বলে ডাকতো, তা নয়; বরং তারা সর্বাবস্থায় তাদের আনুগত্য করে চলতো। তাদের দীন ও ঈমানকে আলিম ও দরবেশগণের আচার-আচরণের ওপর পুরো নির্ভরশীল করে দেওয়া হতো। সেখানে না আল্লাহর কিতাবের কোনো দোহাই চলতো, না আল্লাহর রাসূলের কোনো কথা বা কাজের। 

অতএব, এ আয়াত থেকে জানা যায় যে, ওহীর তোয়াক্কা না করে বাছ-বিচার ছাড়াই আলিম ও দরবেশগণের কথা বিশ্বাস করা ও তাঁদের মেনে চলা তাদেরকে ‘রব্ব’ সাব্যস্ত করার নামান্তর। আর এটি হলো প্রকাশ্য কুফরী।


মাওলানা ছানাউল্লাহ পানিপথী [১১৮৩-১১২৫হি.] রাহ. পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আয়াত وَلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ (অর্থাৎ আমরা যেন আল্লাহকে ছেড়ে একে অপরকে রব্বে পরিণত না করি। আল-কুর’আন, ৩: ৬৪)-এর ব্যাখ্যায় বলেন, 


‘‘এ আয়াত থেকে জানা যায় যে, রাসূলুল্লাহ সা.-এর কোনো হাদীস যদি কারো নিকট কোনো প্রকার বিরোধ থেকে মুক্ত অবস্থায় সহীহভাবে প্রমাণিত হয় এবং এর কোনো রহিতকারী বিষয় তার নিকট সুপ্রমাণিত না হয়, এমতাবস্থায় উদাহরণস্বরূপ ইমাম আবূ হানীফা রাহ.-এর ফাতওয়াও যদি এর বিপরীতে থাকে, আর চার ইমামের কোনো ইমাম এ হাদীসের ওপর আমল করে থাকেন, তা হলে সে ব্যক্তির পক্ষে উক্ত হাদীসের ওপর আমল করা ওয়াজিব হয়ে যাবে। এরূপ অবস্থায় তার মাযহাবকে কঠোরভাবে আঁকড়ে ধরে থাকা যেন তাকে উক্ত হাদীসের ওপর আমল করা থেকে বিরত না রাখে। কেননা, এমনটি করা হলে এতে আল্লাহকে ছেড়ে একে অপরকে রব্ব বানানোর শামিল হবে।’’

... 

আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 

يوشك أن تنزل عليكم حجارة من السماء، أقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم، وتقولون: قال أبو بكر و عمر !!

‘অচিরেই তোমাদের ওপর আকাশ থেকে পাথর বর্ষিত হবে। কারণ, আমি বলছি যে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, আর তোমরা বলছো, আবূ বকর ও উমর রা. বলেছেন।’

  

তাঁর এ কথার মর্মার্থ হচ্ছে যে, 

রাসূলুল্লাহ সা.-এর কথার বিপরীত কারো কথাই গ্রহণযোগ্য হবে না। যদি তিনি আবূ বকর রা. বা উমর রা. হোন না কেন? অতএব, অন্য যে কারো কথা রাসূলুল্লাহ সা. -এর বক্তব্যের সামনে কীভাবে পেশ করা যেতে পারে?

..

ইমাম বুখারী রাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার শাইখ হুমাইদী রাহ.কে এ কথা বলতে শুনেছি,

একবার আমরা ইমাম শাফিঈ রাহ.-এর মজলিসে বসা ছিলাম। এমন সময় এ্ক ব্যক্তি এসে তাঁর কাছে একটি মাসআলা জানতে চাইলো। তখন তিনি বললেন, ‘এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সা. এরূপ এরূপ ফায়সালা দিয়েছেন।’

এ জবাব শুনে লোকটি বললো, আপনার অভিমত কী? 

তখন ইমাম শাফিঈ রাহ. আর্শ্চযান্বতি হয়ে বললনে,

سُبْحَانَ الله ! تَرَانِي في كَنِيسَة ! تَرَانِي في بِيعَة ! تَرَى على وَسَطِي زُنَّار؟ ! أَقُولُ لَكَ: قَضَى رَسُولُ الله صلى الله عليه وَسَلَّمَ، وَأَنْتَ تَقُولُ: مَا تَقُولُ أَنْتَ؟!

" সুবহানাল্লাহ! তুমি কি মনে করছো, আমি কোনো র্চাচে আছি, কোনো সিনাগগে আছি?! তুমি কি মনে করছো, আমি যিম্মীদের কটবিন্ধ পরেছি! আমি তোমাকে বলছি, রাসূল সা. এরূপ ফায়সালা দিয়েছেন, আর তুমি বলছো, আপনার কী অভমিত!" 

..

একবার জনৈক ব্যক্তি ইমাম আহমাদ রাহ. কে বললো, অমুক বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক রাহ. এরূপ বলেছেন। তখন তিনি বললেন,ابْنُ الْمُبَارَكِ لَمْ يَنْزِلْ مِنْ السَّمَاءِ.- ‘ইবনুল মুবারক রাহ. তো আকাশ থেকে নাযিল হননি।” 

...

কাজেই আলিম ও বুযুর্গ ব্যক্তিদেরকে যেমন কোনোরূপ কটাক্ষ করে কথা বলা সমীচীন নয়, চরম দূষনীয়, 

তেমনি তাদের কারো প্রত্যেক কথাকেও একমাত্র সত্য ও চূড়ান্ত বলে বিশ্বাস করা এবং তা নির্বিচারে অন্ধভাবে মেনে চলাও সমীচীন নয়, মারাত্মক বিপজ্জনক।


সংগ্রহে, মাওলানা তরিকুল ইসলাম হাফিজাহুল্লাহু, 

হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন হাফি