আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-২২১: হযরত ইব্রাহীম আঃ ও ইসমাঈ আঃ কাবা ঘর নির্মানের পর অবশিস্ট ইট- বালির কনা ছুড়ে দিলেন/ ছিটিয়ে দিলেন, উক্ত কনা পৃথিবীর যে যে প্রান্তে পড়েছে সেখানে মসজিদ নির্মিত হবে, উক্তিটি কতটুকু সঠিক

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-২২১: আসসালামু আলাইকুম। সমাজে প্রচলিত একটি উক্তি, হযরত ইব্রাহীম আঃ ও ইসমাঈ আঃ কাবা ঘর নির্মানের পর অবশিস্ট ইট- বালির কনা ছুড়ে দিলেন/ ছিটিয়ে দিলেন, উক্ত কনা পৃথিবীর যে যে প্রান্তে পড়েছে সেখানে মসজিদ নির্মিত হবে, উক্তিটি কতটুকু সঠিক জানেবেন। তারিখ-০৬/০৭/২২ ঈসায়ি/ইংরেজি

হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ যশোর থেকে---              


জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ ও বারাকাতুহ। আল্লাহ তাআলা আপনাকে নিরাপদে ও শান্তিতে রাখুন। ভাই আপনি যে কথাটি উল্লেখ করেছেন, হযরত ইব্রাহীম আঃ ও ইসমাঈ আঃ কাবা ঘর নির্মানের পর অবশিস্ট ইট- বালির কনা ছুড়ে দিলেন/ ছিটিয়ে দিলেন, উক্ত কনা পৃথিবীর যে যে প্রান্তে পড়েছে সেখানে মসজিদ নির্মিত হবে।


এ রকম কোন কথার নস আমার জানা নেই।

তবে ইবরাহিম (আ.) হজের ঘোষণা পৃথিবী সকল হাজি শুনেছিল তার বর্ণনা পাওয়া : 


 وَ اَذِّنۡ فِی النَّاسِ بِالۡحَجِّ یَاۡتُوۡکَ رِجَالًا وَّ عَلٰی کُلِّ ضَامِرٍ یَّاۡتِیۡنَ مِنۡ کُلِّ فَجٍّ عَمِیۡقٍ 

 অর্থ: আর মানুষের নিকট হজ্জের ঘোষণা দাও; তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় উটে চড়ে দূর পথ পাড়ি দিয়ে’। সূরা হজ-২৬


ইমাম বগভি বলেন, কাবাঘর নির্মাণ করার পর আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-কে নির্দেশ দেন যে মানুষের মধ্যে ঘোষণা করে দাও যে বায়তুল্লাহর হজ তোমাদের ওপর ফরজ করা হয়েছে। ইবনে আবি হাতেম ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, যখন ইবরাহিম (আ.)-কে হজ ফরজ হওয়ার কথা ঘোষণা করার নির্দেশ দেওয়া হয়, তখন তিনি আল্লাহর কাছে আরজ করেন, এখানে তো জনমানবশূন্য মরুপ্রান্তর। ঘোষণা শোনার মতো কেউ নেই, যেখানে জনবসতি আছে, সেখানে আমার আওয়াজ কিভাবে পৌঁছবে? আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমার দায়িত্ব শুধু ঘোষণা করা। মানুষের কানে পৌঁছানোর দায়িত্ব আমার। অতঃপর ইবরাহিম (আ.) আবু কুবাইস পাহাড়ে আরোহণ করে দুই কানে অঙ্গুলি রেখে ডানে-বাঁয়ে এবং পূর্ব-পশ্চিমে মুখ করে চিৎকার করে ঘোষণা করেন, ‘হে মানুষেরা! আল্লাহ তোমাদের এ ঘরের হজ করার নির্দেশ করেছেন, যাতে তোমাদের জান্নাত দিতে পারেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিতে পারেন। সুতরাং তোমরা হজ করো। ’ ইবরাহিম (আ.)-এর এ আওয়াজ আল্লাহ তাআলা সব মানুষের কানে কানে পৌঁছে দেন। এমনকি যারা ভবিষ্যতে কিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে আসবে, তাদের কানে পর্যন্ত এ আওয়াজ পৌঁছে দেওয়া হয়। যাদের ভাগ্যে আল্লাহ তাআলা হজ লিখে দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকেই এ আওয়াজের জবাবে আমি হাজির, আমি হাজির বলে হাজির হওয়ার স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ইবরাহিম (আ.)-এর ঘোষণার উত্তরই হচ্ছে হজে লাব্বাইক বলার আসল ভিত্তি। সূত্র: কুরতুবি, ১২তম খণ্ড, ২৮ পৃষ্ঠা, মাজহারি


والله اعلم بالصواب


উত্তর দিচ্ছেন,