আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১২৯৪৯: হজ-ওমরায় ইহরাম অবস্থায় সেলাই যুক্ত জুতো পরিধান করা জায়েয হবে কি?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৯৪৯: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। হজ -ওমরায় ইহরাম অবস্থায় সেলাই যুক্ত জুতো পরিধান করা জায়েয হবে কি?


তারিখ:  ০৬/০৪/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা   থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো,  হজ-ওমরায় ইহরাম অবস্থায় সেলাই যুক্ত জুতো পরিধান করা জায়েজ, তবে ফিকহি হানিফর মতে টাকনু ঢেকে রাখে এমন জুতো পরিধান করা জায়েয নেই। যেমন,

وذهب الحنفية إلى جواز لبس ما يستر القدم بشرط أن لا يكون ساتراً للكعبين ، فلو لبس حذاء يستر مقدم القدم وعقبها وظهرها : لا بأس بذلك ما دام لم يستر الكعبين .

واحتجوا : بأن النبي صلى الله عليه وسلم أرشد من لم يجد النعلين إلى أن يلبس الخفين ويقطعهما ليكونا أسفل من الكعبين : مما يفيد أنه بعد القطع انتقل من الصورة المحرمة للصورة المباحة ، فدل على إباحة لبس ما دون الكعبين .

قال الكاساني : " وَرَخَّصَ بَعْضُ مَشَايِخِنَا الْمُتَأَخِّرُونَ لُبْسَ الصَّنْدَلَةِ ، قِيَاسًا عَلَى الْخُفِّ الْمَقْطُوعِ ؛ لِأَنَّهُ فِي مَعْنَاهُ " انتهى من " بدائع الصنائع " (2/184)

 হানাফীদের মতে পা ঢেকে রাখে এমন কিছু পরিধান করা জায়েয, তবে সে যদি পায়ের গোড়ালি ঢেকে না রাখে তবে সে যদি পায়ের সামনে, গোড়ালি এবং পায়ের পিছনের অংশ ঢেকে রাখে এমন জুতা পরিধান করে: তাতে দোষের কিছু নেই। যতক্ষণ না এটি টাকনু ঢেকে না রাখে। দলিল-

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنَ الثِّيَابِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ يَلْبَسُ الْقُمُصَ وَلاَ الْعَمَائِمَ وَلاَ السَّرَاوِيلاَتِ وَلاَ الْبَرَانِسَ وَلاَ الْخِفَافَ، إِلاَّ أَحَدٌ لاَ يَجِدُ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ، وَلْيَقْطَعْهُمَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ، وَلاَ تَلْبَسُوا مِنَ الثِّيَابِ شَيْئًا

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যাক্তি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মুহরিম ব্যাক্তি কি প্রকারের কাপড় পরবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে জামা, পাগড়ী, পায়জামা, টুপি ও মোজা পরিধান করবে না। তবে কারো জুতা না থাকলে সে টাখ্‌নুর নিচ পর্যন্ত মোজা কেটে (জুতার ন্যায়) পরবে। তোমরা জাফরান বা ওয়ারস (এক প্রকার খুশবু) রঞ্জিত কোন কাপড় পরবে না।

আবূ ’আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, মুহরিম ব্যাক্তি মাথা ধুতে পারবে। চুল আঁচড়াবে না, শরীর চুলকাবে না। মাথা ও শরীর থেকে উকুন যমীনে ফেলে দিবে। তাখরিজ: বুখারি ১৫৪২


সারকথা হলো,  পুরুষের জন্য শরীর বা কোনো অঙ্গের আকার অনুযায়ী তৈরিকৃত বা সেলাইকৃত কাপড় পরা নিষিদ্ধ। যেমন- পাঞ্জাবি, জুব্বা, শার্ট, সেলোয়ার, প্যান্ট, গেঞ্জি, কোট, সোয়েটার, জাঙ্গিয়া ইত্যাদি।

এবং পুরুষের জন্য পায়ের পাতার উপরের উঁচু হাড় ঢেকে যায় এমন জুতা পরিধান করা নিষেধ। তাই এমন জুতা বা স্যান্ডেল পরতে হবে যা পরলে ওই উচু অংশ খোলা থাকে। (রদ্দুল মুহতার ২/৪৯০)


  والله اعلم بالصواب


জিজ্ঞাসা-১২৯৪৮: স্ত্রীর রেখে যাওয়া স্বর্ণ-অলংকারের মালিক কে হবে? যা মোহরানা হিসেবে পেয়েছিল।

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৯৪৮: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমার জানার বিষয় হল মোহরানা হিসেবে স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীকে দেওয়া স্বর্ণ অলংকার রেখে কিছুদিন পরেই স্ত্রী মারা যান। স্ত্রী কাউকে বলে যান নাই যে এই সম্পদের মালিক ওমুক ব্যক্তি হবে। সেই ক্ষেত্রে এই সম্পদের মালিক কে হবে।

তারিখ:  ০৫/০৪/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা জামাল হোসেন  থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, মোহরানার হকদার স্ত্রী সুতরাং সে তার মালিক।


দ্বিতীয় কথা হলো, মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পদই হচ্ছে মীরাছ, যা মৃতের নিকটাত্মীয়রা লাভ করে।

মীরাছ হ’ল মৃত ব্যক্তি হ’তে তার জীবিত ওয়ারিছদের নিকট মালিকানা স্থানান্তরিত হওয়া। যা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অথবা শারঈ যেকোন হক হোক।


সুতরাং সুতরাং স্ত্রী পরিত্যক্ত সমুদয় সম্পদ ওসিয়াত এবং ঋণ পরিশোধের পর আত্মীয়দের মধ্য মিরাস অনুসারে বণ্টন হবে। দলিল -

Surah An-Nisa, Verse 12:

وَلَكُمْ نِصْفُ مَا تَرَكَ أَزْوَاجُكُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّهُنَّ وَلَدٌ فَإِن كَانَ لَهُنَّ وَلَدٌ فَلَكُمُ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْنَ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِينَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ وَلَهُنَّ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْتُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّكُمْ وَلَدٌ فَإِن كَانَ لَكُمْ وَلَدٌ فَلَهُنَّ الثُّمُنُ مِمَّا تَرَكْتُم مِّن بَعْدِ وَصِيَّةٍ تُوصُونَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ وَإِن كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلَالَةً أَوِ امْرَأَةٌ وَلَهُ أَخٌ أَوْ أُخْتٌ فَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ فَإِن كَانُوا أَكْثَرَ مِن ذَٰلِكَ فَهُمْ شُرَكَاءُ فِي الثُّلُثِ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَىٰ بِهَا أَوْ دَيْنٍ غَيْرَ مُضَارٍّ وَصِيَّةً مِّنَ اللَّهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَلِيمٌ

আর, তোমাদের হবে অর্ধেক সম্পত্তি, যা ছেড়ে যায় তোমাদের স্ত্রীরা যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি তাদের সন্তান থাকে, তবে তোমাদের হবে এক-চতুর্থাংশ ঐ সম্পত্তির, যা তারা ছেড়ে যায়; ওছিয়্যতের পর, যা তারা করে এবং ঋণ পরিশোধের পর। স্ত্রীদের জন্যে এক-চতুর্থাংশ হবে ঐ সম্পত্তির, যা তোমরা ছেড়ে যাও যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তবে তাদের জন্যে হবে ঐ সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ, যা তোমরা ছেড়ে যাও ওছিয়্যতের পর, যা তোমরা কর এবং ঋণ পরিশোধের পর। যে পুরুষের, ত্যাজ্য সম্পত্তি, তার যদি পিতা-পুত্র কিংবা স্ত্রী না থাকে এবং এই মৃতের এক ভাই কিংবা এক বোন থাকে, তবে উভয়ের প্রত্যেকে ছয়-ভাগের এক পাবে। আর যদি ততোধিক থাকে, তবে তারা এক তৃতীয়াংশ অংশীদার হবে ওছিয়্যতের পর, যা করা হয় অথবা ঋণের পর এমতাবস্থায় যে, অপরের ক্ষতি না করে। এ বিধান আল্লাহর। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। সূরা নিসা-১২


সারকথা হলো,  আপনার প্রশ্নের বাংলা মোতাবেক যেহেতু তিনি ওসীহত করে যাননি যদি কোন ঋণ থাকে তা পরিশোধ করার পর তাকে এদের মধ্যে মীরা সংসারে বন্টন করে নেবে।


  والله اعلم بالصواب

জিজ্ঞাসা-১২৯৪৬: অমুসলিমদের জন্য রোগ মুক্তির দুআ জায়েজ আছে কি?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৯৪৬: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমার জানার বিষয় হলো, একটি ইউনিটে মুসলিম অমুসলিম সবাই চাকরি করেন। একজন মুসলিম সদস্য অসুস্থ হলে আমরা তার জন্য নামাজ অন্তে দোয়া করি। এখন প্রশ্ন হলো অমুসলিম সদস্য অসুস্থ অর্থাৎ ক্যানসার আক্রান্ত। তার জন্য নামাজ অন্তে দোয়া করা যাবে কি?

তারিখ:  ০৩/০৪/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  আব্দুল মজিদ  যশোর থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, অমুসলিমদের জন্য রহমত- মাগফেরাতের জন্য দোয়া করা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। যেমন-

আল্লাহ তাআলা বলেন-

مَا كَانَ لِلنَّبِیِّ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَنْ یَّسْتَغْفِرُوْا لِلْمُشْرِكِیْنَ وَ لَوْ كَانُوْۤا اُولِیْ قُرْبٰی مِنْۢ بَعْدِ مَا تَبَیَّنَ لَهُمْ اَنَّهُمْ اَصْحٰبُ الْجَحِیْمِ

“নবী ও যারা ঈমান এনেছে তাদের পক্ষে মুশরিকদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা সংগত নয়, তারা তাদের আত্মীয়-স্বজন হলেই বা কি এসে যায়, যখন একথা সুষ্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা জাহান্নামেরই উপযুক্ত।”(সূরা আত তওবা : ১১৩)


ইমাম নববী রহ. বলেন,

الصلاة على الكافر والدعاء له بالمغفرة : حرام بنص القرآن والإجماع

অমুসলিমের জন্য রহমত ও মাগফিরাতের দোয়া করা কোরআনের বক্তব্য ও সকলের ঐক্যমতে হারাম। (আলমাজমু’ ৫/১১৯)


দ্বিতীয় কথা হলো, হেদায়েতের জন্য তাদের জন্য দোয়া করা, ইসলামী শিক্ষা, এটা কাম্য। দলিল -

قَالَ : إِنَّ دَوْسًا قَدْ عَصَتْ وَأَبَتْ ، فَادْعُ اللَّهَ عَلَيْهِمْ ، فَقَالَ : اللَّهُمَّ اهْدِ دَوْسًا وَأْتِ بِهِمْ

আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তুফায়েল ইবনু আমর রাযি. রাসূল ﷺ–এর কাছে এসে বললেন, দাওস গোত্র হালাক হয়ে গেছে। তারা নাফরমানী করেছে এবং (দীনের দাওয়াত) গ্রহন করতে অস্বীকার করেছে। সুতরাং আপনি তাদের প্রতি বদদোয়া করুন। তখন রাসূল ﷺ বললেন, হে আল্লাহ্! দাওস গোত্রকে হেদায়েত দান করুন এবং (দীনের দিকে) নিয়ে আসুন। (বুখারী ২৯৩৭ মাগাযী অধ্যায়)


তৃতীয় কথা হলো, স্বাভাবিক অবস্থায় মানবিক দিক বিবেচনায় অমুসলিমদের রোগমুক্তির জন্য আল্লাহপাকের নিকট প্রার্থনা করা যাবে। দলিল -


أبي هريرة رضي الله عنه قَال: قَالَ رسولُ الله صلى الله عليه وسلم : "إنَّ اللهَ عز وجل يَقُولُ يَومَ القِيَامَةِ: يَا ابْنَ آدَمَ، مَرِضْتُ فَلَمْ تَعُدنِي! قَالَ: يَا رَبِّ، كَيْفَ أعُودُكَ وَأنْتَ رَبُّ العَالَمِينَ؟!، قَالَ: أمَا عَلِمْتَ أنَّ عَبْدِي فُلاَناً مَرِضَ فَلَمْ تَعُدْهُ! أمَا عَلِمْتَ أنَّكَ لَوْ عُدْتَهُ لَوَجَدْتَني عِنْدَهُ! يَا ابْنَ آدَمَ، اسْتَطْعَمْتُكَ فَلَمْ تُطْعِمنِي! قَالَ: يَا رَبِّ، كَيْفَ أطْعِمُكَ وَأنْتَ رَبُّ العَالَمِينَ؟! قَالَ: أمَا عَلِمْتَ أنَّهُ اسْتَطْعَمَكَ عَبْدِي فُلانٌ فَلَمْ تُطْعِمْهُ! أمَا عَلِمْتَ أنَّكَ لَوْ أطْعَمْتَهُ لَوَجَدْتَ ذَلِكَ عِنْدِي! يَا ابْنَ آدَمَ، اسْتَسْقَيْتُكَ فَلَمْ تَسْقِنِي! قَالَ: يَا رَبِّ، كَيْفَ أسْقِيكَ وَأنْتَ رَبُّ العَالَمينَ؟! قَالَ: اسْتَسْقَاكَ عَبْدِي فُلاَنٌ فَلَمْ تَسْقِهِ! أمَا عَلِمْتَ أنَّكَ لَوْ سَقَيْتَهُ لَوَجَدْتَ ذَلِكَ عِنْدِي".  

[صحيح] - [رواه مسلم]

আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন বলবেন, ‘হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ ছিলাম, তুমি আমাকে দেখাশুনা করনি।’ সে বলবে, ‘হে আমার রব! কিভাবে আমি আপনাকে দেখাশুনা করব, আপনি তো সৃষ্টিকুলের রব?’ তিনি বলবেন, ‘তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল? অথচ তুমি তাকে দেখাশুনা করনি। তুমি কি জানতে না যে, তুমি যদি তাকে দেখাশুনা করতে, তাহলে অবশ্যই তুমি আমাকে তার কাছে পেতে? হে আদম সন্তান! আমি তোমার কাছে খাবার চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে খাওয়াওনি।’ সে বলবে, ‘হে আমার রব! আমি আপনাকে কিভাবে খাওয়াব, আপনি তো সৃষ্টিকুলের রব?’ আল্লাহ বলবেন, ‘তোমার কি জানা ছিল না যে, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, কিন্তু তাকে তুমি খাবার দাওনি? তোমার কি জানা ছিল না যে, যদি তাকে খাওয়াতে, তাহলে অবশ্যই তা আমার কাছে পেতে? হে আদম সন্তান! তোমার কাছে আমি পানি পান করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে পানি পান করাওনি।’ বান্দা বলবে, ‘হে আমার রব! আপনাকে কিরূপে পানি পান করাবো, আপনি তো সকল সৃষ্টির রব?’ তিনি বলবেন, ‘আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে পানি চেয়েছিল, তুমি তাকে পানি পান করাওনি। তুমি কি জানতে না যে, যদি তাকে পানি পান করাতে, তাহলে তা অবশ্যই আমার কাছে পেতে?’’। তাখরিজ: মুসলিম-২৫৬৯


সারকথা হলো,  রোগ মুক্তির জন্য অমুসলিমদের জন্য দুআ জায়েজ আছে, তবে মাগফিরাতের দুআ করা হারাম।



  والله اعلم بالصواب


জিজ্ঞাসা-১২৯৪৭: রমজানের মাসের শেষ জুমাআর বিশেষ ফজিলত সংক্রান্ত হাদিসগুলো কি সহিহ?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৯৪৭: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। রমজান মাসের শেষ জুমার দিনে চার রাকাআত নামাজ প্রতি রাকায়াতে সূরা কাওসার ১৫ বার ও আয়াতুল কুরসি ৭বার পরে চার রাকায়াত নামাজ পড়লে সাতশত বছরের কাজা নামাজের কাফফারা হয়ে যাবে হাদিসটির ব্যাপারে কোন সহী দলিল আছে কিনা জানালে উপকৃত হব আসসালামু আলাইকুম। 


তারিখ:  ০৫/০৪/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেনথেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, মাহে রমজানের ফজিলত সহি এবং জয়িফ দ্বারা প্রমাণিত, কিন্তু রমজানের শেষ শুক্রবারে বিশেষ ফজিলত সংক্রান্ত কোনো হাদিস অনুসন্ধানে আমরা খুঁজে পাইনি। 

বরং মুহাদ্দিস কিরাম এই সকল বর্ণনাকে জাল হিসেবে অভিহিত করেছেন। যেমন,

শাওকানী রাহ. তাঁর জাল হাদীস বিষয়ক রচনা আলফাওয়াইদুল মাজমুআতে রমযানের শেষ জুমার নামায বিষয়ে আরেকটি জাল বর্ণনা উল্লেখ করেছেন-


এদিন যে ব্যক্তি সারা দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামায (গুরুত্বের সাথে) আদায় করবে, এর দ্বারা তার সারা বছরের ছুটে যাওয়া নামাযের কাযা আদায় হয়ে যাবে। এটি উল্লেখ করার পর তিনি বলেন-

هَذَا مَوْضُوعٌ لا إِشْكَالَ فِيهِ.

প্রশ্নাতীতভাবে এটি একটি জাল বর্ণনা। সূত্র: আলফাওয়াইদুল মাজমূআহ, বর্ণনা ১১৫


সারকথা হলো,  আপনার প্রশ্নের বর্ণিত রেওয়াতগুলো মুহাদ্দিস কিরামের নিকট জাল।


  والله اعلم بالصواب


জিজ্ঞাসা-১২৯৪৫: তাহাজ্জুদ নামাজ জামাতের সাথে আদায় করার বিধান কি?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৯৪৫:  

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। তাহাজ্জুদের নামাজ জামাতে পড়ার দলিল দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। 

তারিখ:  ০২/০৪/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  জামাল হোসাইন  " থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো,

তাহাজ্জুদ নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা কোন ইমামের মতে সুন্নত বা মুস্তাহাব নয়, অধিকাংশ ইমামদের মতই মাকরূহ। 

হাদীস ও সীরাতের বর্ণনানুযায়ী নবী-যুগে একটি অথবা দুটি ঘটনাই এমন পাওয়া যায় যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদের নামাজ শুরু করার পর, কোনো সাহাবী এসে তার পেছনে নিয়ত করেছেন। এ জাতীয় এক দুটি ঘটনা ছাড়া, (জামাত যেখানে ঘটনাচক্রে হয়ে গিয়েছিল।) তাহাজ্জুদের জামাতের অন্য কোনো দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না। 

وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، كِلاَهُمَا عَنْ جَرِيرٍ، - قَالَ عُثْمَانُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، - عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَطَالَ حَتَّى هَمَمْتُ بِأَمْرِ سَوْءٍ قَالَ قِيلَ وَمَا هَمَمْتَ بِهِ قَالَ هَمَمْتُ أَنْ أَجْلِسَ وَأَدَعَهُ .

১৬৮৮। উসমান ইবনে আবি শাঈবা ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আবু ওয়াইল (রাহঃ) এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে (রাতের) নামায আদায় করছিলাম। তিনি এত দীর্ঘ করলেন যে, আমার মন্দ ইচ্ছা উদিত হচ্ছিল। বর্ণনাকারী আবু ওয়াইল (রাহঃ) বলেন, তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, কি মন্দ ইচ্ছা উদিত হচ্ছিল? তিনি বললেন, ″আমি ইচ্ছা করছিলাম যে, আমি বসে পড়ব এবং তাঁকে (তাঁর ইক্তিদা) ছেড়ে দেব।″

—সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৬৮৮ (আন্তর্জাতিক নং ৭৭৩-১)


প্রশ্ন: ক। এ বিষয়ে ইমামদের মতামত কি?

উত্তর: অধিকাংশ ইমামদের মতে জামাআতের সঙ্গে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা মাকরুহ। যেমন,

وفي "الموسوعة الفقهية" (25/ 283): " قال الحنفية : تكره الجماعة في صلاة النوافل .

وقال المالكية كذلك : تكره الجماعة في النوافل , لأن شأن النفل الانفراد به , كما تكره صلاة النفل في جمع قليل بمكان مشتهر بين الناس .

وإن لم تكن الجماعة كثيرة والمكان مشتهرا : فلا تكره.

وقال الشافعية : تستحب الجماعة في التراويح والوتر في رمضان , ولا يستحب فعل سائر الرواتب جماعة .

وقال الحنابلة : يجوز التطوع جماعة ومنفردا " انتهى

"হানাফী মাযহাবের মতে: নফল নামায জামাতে নামায পড়া মাকরুহ। 

মালেকীগণ বলেনঃ নফল জামাতে নামায পড়া অপছন্দনীয়, কেননা নফল নামায একাকী আদায় করাই শান। তেমনি জনগণের মধ্যে প্রসিদ্ধ স্থানে স্বল্প ভিড়ে নফল নামায পড়াও মাকরুহ। .

দল বড় না হলে এবং জায়গাটা বিখ্যাত হলে মাকরুহ হয় না।

শাফেঈ বলেছেন: রমজানে তারাবীহ ও বিতরের নামায জামাতে আদায় করা বাঞ্ছনীয়, তবে অন্যান্য ফরয নামায জামাতে আদায় করা বাঞ্ছনীয় নয়।

হাম্বলী বলেছেন: দলবদ্ধভাবে বা একা নফল নামাজ করা জায়েয। সূত্র: আল-মাওসুআহ আল-ফিকহিয়্যাহ" (25/283)


প্রশ্ন: খ। ফকিহদের মতামত কি?

উত্তর: খ। ইমাম বদরুদ্দীন আইনী রহ. বলেন,

وصلاة النفل بالجماعة مكروهة ما خلا قيام رمضان وصلاة الكسوف لأنه لم يفعلها الصحابة، ولو فعلوا لاشتهرت، كذا ذكره الولوالجي

 রমজানের কিয়ামুল লাইল ও সালাতুল কুসূফ ব্যতীত সকল নফল নামায জামাতে পড়া মাকরূহে তাহরীমী। কেননা এটা সাহাবায়ে কেরাম করেন নি। কেউ যদি তা করে থাকে তবে তা বিধি সম্মত হবে না। যেমন তা ওয়াল ওয়ালিজি নিজ কিতাবে বলেছেন। (আল বেনায়া শরহুল হেদায়া ২/৫৫৮)


قال النووي رحمه الله في "المجموع" (3/548) : " قد سبق أن النوافل لا تشرع الجماعة فيها إلا في العيدين والكسوفين والاستسقاء

ইমাম নববি রহ. বলেছেন: "ইতিপূর্বে বলা হয়েছে যে দুটি ঈদ, দুটি সূর্যগ্রহণ এবং সালাতুল ইসতেকা ছাড়া জামাতে নফল নামায আদায় করা শরয়ি সম্মত নয়।" সূত্র: "আল-মাজমু' (3/548)


প্রশ্ন: গ। একাকী নফল নামাজ আদায় করার কোন দলিল আছে কী?

উত্তর: গ। তাহাজ্জুদ বা অন্যান্য নফল নামাজ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

فَعَلَيْكُمْ بِالصَّلاَةِ فِي بُيُوتِكُمْ، فَإِنَّ خَيْرَ صَلاَةِ المَرْءِ فِي بَيْتِهِ إِلَّا الصَّلاَةَ المَكْتُوبَةَ

সুতরাং তোমাদের উচিত যে, তোমরা ঘরেই নামাজ আদায় করবে। কারণ ফরজ ছাড়া অন্য নামাজ নিজ নিজ ঘরে পড়াই উত্তম। (বুখারী ৬১১৩ মুসলিম ৭৮১)


প্রশ্ন: ঘ। কতজন তাহাজ্জুদ নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা জায়েয?

উত্তর: ঘ।ঘোষণা দিয়ে জামাত করে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। আগে থেকে ঘোষণা দিলেও তিনজনের বেশি ব্যক্তি জামাত করে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। দলিল-

ইমাম শামসুল আইয়িম্মাহ হালওয়ানী রহ. বলেন,

إنْ كَانَ سِوَى الْإِمَامِ ثَلَاثَةٌ لَا يُكْرَهُ بِالِاتِّفَاقِ وَفِي الْأَرْبَعِ اخْتَلَفَ الْمَشَايِخُ وَالْأَصَحُّ أَنَّهُ يُكْرَهُ. هَكَذَا فِي الْخُلَاصَةِ.

ইমাম ছাড়া ৩ জন মুকতাদি হলে সকলের ঐক্যমতে মাকরূহ হবেনা আর ৪ জন হয়ে গেলে এখতেলাফ আছে, কিন্তু বিশুদ্ধ মতে মাকরূহ তাহরীমী হবে। যেমন তা খুলাছা কিতাবে আছে। (ফাতাওয়া আল হিন্দিয়্যাহ ১/৯২, বৈরত)


সারকথা হলো,  বুখারী শরীফসহ অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে মসজিদে এসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবাগণের সাথে যে নামায পড়েছিলেন তিন দিন। মুহাদ্দিসগণ ও ফুক্বাহায়ে কেরামের বক্তব্য অনুপাতে তা তারাবীহ নামায ছিল। তাহাজ্জুদ নামায নয়।

ফিকহে হানাফীর ফাতাওয়া হল, তাহাজ্জুদের নামাজ রোজার মাসে পড়া হোক কিংবা অন্য মাসে, একাকী পড়া উচিত। জামাতের সাথে তাহাজ্জুদ পড়া ঠিক নয়। তবে কেউ যদি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া কোনো ব্যক্তির ইক্তিদা করে ফেলে তাহলে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু এটাকে নিয়ম বানিয়ে ফেলা সুন্নত পরিপন্থী কাজ।


  والله اعلم بالصواب


আমল ও দুআ-২২৫: ইয়া আল্লাহ! দুনিয়াকে আমার দ্বীনের জন্য সহায়ক করুন এবং তাকওয়াকে আমার আখিরাতের জন্য।

No Comments

 



দু‘আ-১৭৯

اَللّٰهُمَّ أَعِنِّيْ عَلٰى دِيْنِيْ بِالدُّنْيَا، وَعَلٰۤى اٰخِرَتِيْ بِالتَّقْوٰى، وَاحْفَظْنِيْ فِيْمَا غِبْتُ عَنْهُ، وَلَا تَكِلْنِيْ اِلٰى نَفْسِيْ فِيْمَا حَضَرْتُهٗ. يَا مَنْ لَّا تَضُرُّهُ الذُّنُوْبُ وَلَا تَنْقُصُهُ الْمَغْفِرَةُ، هَبْ لِيْ مَا لَا يَنْقُصُكَ، وَاغْفِرْلِيْ مَا لَا يَضُرُّكَ، إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ. أَسْأَلُكَ فَرَجًا قَرِيْبًا وَّصَبْرًا جَمِيْلًا، وَرِزْقًا وَّاسِعًا، وَالْعَافِيَةَ مِنْ جَمِيْعِ الْبَلَآءِ. وَاَسْأَلُكَ تَـمَامَ الْعَافِيَةِ، وَاَسْأَلُكُ دَوَامَ الْعَافِيَةِ، وَاَسْأَلُكَ الشُّكْرَ عَلَى الْعَافِيَةِ، وَاَسْأَلُكَ الْغِنٰى عَنِ النَّاسِ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ الْعَلِّيِّ الْعَظِيْمِ.

ইয়া আল্লাহ! দুনিয়াকে আমার দ্বীনের জন্য সহায়ক করুন এবং তাকওয়াকে আমার আখিরাতের জন্য।১৯০ আমার দৃষ্টির অগোচরের সকল বিষয়ে আপনি হোন আমার রক্ষাকর্তা। আর যা কিছু আমার দৃষ্টির সম্মুখে তাতেও আমাকে নিজের উপর অর্পণ কোরেন না। হে ঐ সত্তা, গোনাহ যাঁর কোনোই ক্ষতি করতে পারে না আর ক্ষমা যাঁর কোনো কিছু হ্রাস করে না।১৯১ আমাকে ঐ জিনিস দান করুন, যা আপনার কিছুই হ্রাস করবে না। আমাকে মাফ করে দিন, যা আপনার কোনো ক্ষতি করবে না। আপনিই তো বড় দাতা।১৯২ আমি আপনার কাছে চাই আশু মুক্তি ও সুন্দর ধৈর্য,১৯৩ প্রশস্ত রিযিক ও সকল বিপদ থেকে নিরাপত্তা। আমি আপনার কাছে চাই পূর্ণ নিরাপত্তা, চাই স্থায়ী নিরাপত্তা।১৯৪ আর চাই এই শান্তি ও নিরাপত্তার উপর শোকরগোজারির তাওফীক। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি মাখলুকের তরফ থেকে অমুখাপেক্ষিতা। আর সমুচ্চ সুমহান আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমার না আছে (গুনাহ থেকে) বেঁচে থাকার ক্ষমতা, না আছে (নেক আমল) সম্পাদনের শক্তি।


-আল-হিযবুল আ’যম, কানযুল উম্মাল-৫১১০



সনদসহ মতন:

جابر بن عبد الله" عن جابر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: "اللهم أعني على ديني بدنياي، وعلى آخرتي بتقواي، اللهم أوسع علي من الدنيا، وزهدني فيها، ولا تزوها عني، وأقر عيني فيها، اللهم إنك سألتني من نفسي ما لا أملك إلا بك، فأعطني منها ما يرضيك منها، اللهم أنت ثقتي حين ينقطع رجائي، حين يسوء ظني بنفسي، اللهم لا تخيب طمعي، ولا تحقق حذري، اللهم إن عزيمتك عزيمة لا ترد، وقولك قول لا يكذب، فأمر طاعتك فلتحل في كل شيء مني أبدا ما بقيت، وأمر معاصيك فلتخرج من كل شيء مني، ثم حرم عليها الدخول في كل شيء مني أبدا ما أبقيتني يا أرحم الراحمين". "طب في الدعاء والديلمي" وفيه عبد الرحمن بن إبراهيم المدني قال "ن


১৯০. অর্থাৎ আমার দুনিয়া যেন দ্বীনের কাজে আসে এবং আমার তাকওয়া যেন আখিরাতে আমার নিরাপত্তার উপায় হয়।

১৯১. অর্থাৎ গোটা দুনিয়া গুনাহ ও নাফরমানীতে ডুবে গেলেও আপনার কোনো ক্ষতি নেই। আর সকলকে মাফ করে দিলেও আপনার খাযানায় কিছুমাত্র কমবে না।

১৯২. অর্থাৎ আমাকে আপনার মাগফিরাত দ্বারা সৌভাগ্যবান করুন; আমার গুনাহ যত বড় ও যত বেশিই হোক মাফ করুন।

১৯৩. এ দুটি বিষয় প্রার্থনার তাৎপর্য এই যে, আমি তো আপনার কাছে মুক্তিই প্রার্থনা করি; কিন্তু আপনার হিকমতের দাবি যদি হয় বিপদগ্রস্ত করা, তাহলে যেন সুন্দর ধৈর্যের তাওফীক পাই।

১৯৪. অর্থাৎ শান্তি ও নিরাপত্তা যেন পূর্ণ ও স্থায়ী হয়।

ইতিহাস-৩১: মুসলমানদের স্মরণীয় ২৮টি আবিষ্কার"

No Comments

 




আপনি কি জানেন ? "মুসলমানদের স্মরণীয় ২৮টি আবিষ্কার" না জানলে জেনে নিন, আমরা ও পারি "অন্য ধর্মের লোকেরা সবসময় বলে থাকেন জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলিমদের কোনো অবদান নেই। আজকের এই পোস্টে সকল অবিশ্বাসীদের জন্য যারা ইসলাম ধর্মকে ছোট করে দেখে। আপনাদের জন্য "জ্ঞানবিজ্ঞানে মুসলিমদের কি কি অবদান আছেঃ

.

"মুসলমানদের স্মরণীয় আবিষ্কার গুলিঃ-

১. রসায়নের জনক - (জাবির ইবনে হাইয়ান)

২. বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভূগোলবিদ - (আল-বেরুনি)

৩. আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক - (ইবনে সিনা)

৪. হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল আবিষ্কারক - (ইবনুল নাফিস)

৫. বীজগর্ণিতের জনক - (আল-খাওয়ারিজমি)

৬. পদার্থ বিজ্ঞানে শূন্যের অবস্থান নির্ণয়কারী - (আল-ফারাবি)

৭. আলোক বিজ্ঞানের জনক - (ইবনে আল-হাইছাম)

৮. এনালিটিক্যাল জ্যামিতির জনক - (ওমর খৈয়াম)

৯. সাংকেতিক বার্তার পাঠোদ্ধারকারী - (আল-কিন্দি)

১০. গুটিবসন্ত আবিষ্কারক - (আল-রাজি)

১১. টলেমির মতবাদ ভ্রান্ত প্রমাণকারী - (আল-বাত্তানি)

১২. ত্রিকোণমিতির জনক - (আবুল ওয়াফা)

১৩. স্টাটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা - (ছাবেত ইবনে কোরা)

১৪. পৃথিবীর আকার ও আয়তন নির্ধারণকারী - (বানু মুসা)

১৫. মিল্কিওয়ের গঠন শনাক্তকারী - (নাসিরুদ্দিন তুসি)

১৬. এলজাব্রায় প্রথম উচ্চতর পাওয়ার ব্যবহারকারী - (আবু কামিল)

১৭. ল’ অব মোশনের পথ প্রদর্শক - (ইবনে বাজ্জাহ)

১৮. এরিস্টোটলের দর্শন উদ্ধারকারী - (ইবনে রুশদ)

১৯.ঘড়ির পেন্ডুলাম আবিষ্কারক - (ইবনে ইউনূস)

২০. পৃথিবীর ব্যাস নির্ণয়কারী - (আল-ফরগানি)

২১. পৃথিবীর প্রথম নির্ভুল মানচিত্র অঙ্কনকারী - (আল-ইদ্রিসী)

২২. বিশ্বের প্রথম স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের আবিষ্কারক - (আল-জাজারি)

২৩. সূর্যের সর্বোচ্চ উচ্চতার গতি প্রমাণকারী - (আল-জারকালি)

২৪. মানবজাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস প্রণেতা - (আবুল ফিদা)

২৫. বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের অগ্রদূত - (ইবনে আল-শাতির)

২৬. ভূগোলে বিশ্বকোষ প্রণেতা - (আল-বাকরি)

২৭. প্ল্যানেটারি কম্পিউটার আবিষ্কারক - (আল-কাশি)

২৮. বীজগণিতের প্রতীক উদ্ভাবক -(আল-কালাসাদি )

"হে আল্লাহ বিশ্বের সকল মোসলমানদের কে তুমি হেফাজত কর , তাহাদের সম্মান বৃদ্ধি করে দাও আমিন।

প্রবন্ধ-৪৭: মুমিন হয়েও জাহান্নামে যাবে যেসব কারণে

No Comments

 



মুমিন হয়েও জাহান্নামে যাবে যেসব কারণে


মুফতি আনিছুর রহমান:।। কুরআন সুন্নাহ গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে বুঝা যায়, মহান আল্লাহ তায়ালা কিয়ামত দিবসে পৃথিবীর সব মানুষকে মৌলিকভাবে চার ভাগে বিভক্ত করে বিচার কার্য পরিচালনা করবেন।


প্রথমত, যারা পৃথিবীর জীবনে মোটেও ঈমান গ্রহণ করেনি। যতই ভালো কাজ করুক না কেন তারা হিসাব ব্যতীতই জাহান্নামে যাবে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেন, “বলুন! আমি তোমাদেরকে কি সংবাদ দেব নিজেদের আমালের ক্ষেত্রে কারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত? তারা হল সেসব লোক; দুনিয়ার জীবনে যাদের চেষ্টা সাধনা ব্যর্থ হয়ে গেছে আর তারা নিজেরা মনে করছে যে, তারা সঠিক কাজই করছে। তারা হল সেসব লোক, যারা তাদের প্রতিপালকের নিদর্শন ও তাঁর সাথে সাক্ষাৎকে অমান্য করে।



যার ফলে তাদের যাবতীয় আমাল নিস্ফল হয়ে গেছে। কিয়ামাতের দিন আমি তাদের (কাজের) জন্য কোন ওজন কায়িম করব না (অর্থাৎ তাদের এসব আমাল ওজনযোগ্য হিসেবে গণ্য করা হবে না)। এটাই তাদের প্রতিফল জাহান্নাম। কারণ তারা কুফুরী করেছে আর আমার নিদর্শন ও রসূলদেরকে হাসি-তামাশার বিষয় বানিয়েছে। (সুরা কাহাফ: ১০৩-১০৬)।


দ্বিতীয়ত, যারা পৃথিবীতে ঈমান গ্রহণ করেছিল। তাদের সত্তর হাজার লোক বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সহীহ বুখারী: ৫৭৫২)।

তৃতীয়ত, যারা ঈমান গ্রহণ করেছিল এবং দুনিয়ার জীবনে নেক ও পাপ উভয়টিই করেছে তবে তাদেরকেও আল্লাহ তায়ালার দয়া বা কোনো নবী বা শহীদ কিংবা নাবালক শিশু অথবা রোজা বা নেককার মানুষ কিংবা কুরআন এবং বিভিন্ন নেক আমলের সুপারিশের মাধ্যমে জান্নাত দেয়া হবে।




চতুর্থত, যারা ঈমান এনেছিল বটে এমনকিছু মারাত্মক গুনাহ দুনিয়ার জীবনে করেছিল। এবং তাদের ভাগ্যে আল্লাহর দয়া বা কোনো সুপারিশ না জুটার কারণে তাদেরকে সরাসরি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হতে হবে এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে সাজা ভোগ করতে হবে। যেসকল গুনাহের কারণে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে সে গুনাহ সমূহের কয়েকটি নিম্নরূপ:



১। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা। যারা অন্যায়ভাবে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করবে তাদের যতই নেক আমল থাকুক না কেন; প্রথমে তাদেরকে জাহান্নামে যেতেই হবে।


এ সম্পর্কে হজরত যুবাইর ইবনু মুতইম রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবি করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (সহীহুল বুখারী:৫৯৮৪)।


অন্য বর্ণনায় হযরত আয়শা রাদিআল্লাহু আনহা বলেন, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রহিম অর্থাৎ আত্মীয়তা বা রক্তের সম্পর্ক আল্লাহর আরশের সাথে ঝুলন্ত রয়েছে। সে বলে, যে ব্যক্তি আমার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবে আল্লাহ তার সাথে সম্পর্ক ঠিক রাখবেন। আর যে আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে আল্লাহ তার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করবেন। (সহীহুল মুসলিম: ৬৪১৩)।


২। প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া। এ সম্পর্কে হযরত আবু হুরায়রাহ রাদিআল্লাহু আনহুর সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তির অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকেনা, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (সহীহুল মুসলিম: ৭৬)।অপর এক হাদিসে আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! অমুক মহিলা বেশি বেশি (নফল) নামায পড়ে এবং সিয়াম রাখে ও দান-খয়রাত করে বলে উল্লেখ করা হয়; কিন্তু সে নিজ যবান দ্বারা (অসভ্য কথা বলে বা গালি দিয়ে) প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়।


তার ব্যাপারে আপনার অভিমত কী? তিনি বললেন, সে দোযখে যাবে। লোকটি আবার বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! অমুক মহিলা অল্প (নফল) নামায পড়ে ও সিয়াম রাখে এবং দান-খয়রাত করে বলে উল্লেখ করা হয়; কিন্তু সে নিজ যবান দ্বারা (অসভ্য কথা বলে বা গালি দিয়ে) প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় না। তার ব্যাপারে আপনার অভিমত কী? তিনি বললেন, সে বেহেশতে যাবে। (মুসনাদে আহমাদ: ৯৬৭৫)। এ হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, প্রতিবেশী যে ধর্মের বা বর্ণেরই হোকনা কেন কোনোভাবেই তাকে কষ্ট দেয়া জায়েজ হবেনা।



৩। অহংকার করা। ইহা এমন একটি মারাত্মক গুনাহ যা আমলনামায় থাকলে যতই নেকি থাকুক আগে জাহান্নামে যেতে হবে। আমাদের চিরচেনা শত্রু ইবলিশ একমাত্র অহংকারের জন্যই অভিশপ্ত হয়েছিল। এ বিষয়ে কুরআনুল কারিমে একাধিক আয়াত রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “নিশ্চয় আল্লাহ কোনো উদ্যত, অহংকারীকে পছন্দ করেননা।” (সুরা লোকমান: ১৮)।


অন্যত্রে ঘোষণা করেন, “নিশ্চয় যারা অহংকারে আমার ইবাদতে বিমুখ তারা অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্চিত হয়ে।” (সুরা গাফির: ৬০)। এবং হাদিসে কুদসীতে এসেছে ‘মহান আল্লাহ বলেন, অহংকার হলো আমার চাঁদর এবং মহত্ব হলো আমার লুঙ্গি। যে কেউ এর কোন একটি নিয়ে আমার সাথে ঝগড়া করবে, আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪০৯০)।


৪। অধিনস্থদের হক আদায় না করা ও খিয়ানত করা। আমরা প্রত্যেকেই স্বীয় জায়গা থেকে দায়িত্বশীল এবং এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সচেতন থাকা আবশ্যক যেন কারো হকের ব্যপারে খিয়ানত না হয়ে যায়। কেননা হাদিসে এসেছে হযরত হাসান বসরি (রহঃ) থেকে বর্ণিত, আমরা মা’কিল ইবনে ইয়াসারের কাছে তার সেবা-শুশ্রূষার জন্য আসলাম।


এ সময় উবাইদুল্লাহ্ প্রবেশ করল। তখন মা’কিল রাদিআল্লাহু আনহু বললেন, আমি তোমাকে এমন একটি হাদিস বর্ণনা করে শোনাবো যা আমি রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছি। তিনি বলেন, কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি মুসলিম জনসাধারণের দায়িত্ব লাভ করল আর তার মৃত্যু হলো এই হালতে যে, সে ছিল খিয়ানাতকারী। তাহলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন। (সহিহুল বুখারী: ৭১৫১)।


এছাড়াও বহু গুনাহ এমন রয়েছে, যেগুলার দ্বারা মানুষ মুমিন হওয়া সত্বেও সর্বাগ্রে জান্নাতে না গিয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এসকল গর্হিত কাজ সমূহ থেকে হেফাজতের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের তাওফিক দান করুন।


লেখক: ইমাম ও খতীব, পূবাইল বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ গাজীপুর ঢাকা।

জিজ্ঞাসা-১২৫২৫: ইতেকাফ কি প্রতিটি জুমাআর মসজিদে করতে হবে।

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৫১৯: 

আমাদের ইউনিটের অধীনে১০টি ক্যাম্প রয়েছে হিলে। প্রতি ক্যাম্পেই জুমার নামাজ হয়। প্রশ্ন হলো ইতেকাফ কি সকল ক্যাম্পের মসজিদেই থাকতে হবে? নাকি রুখসত আছে?

তারিখ:  ০৭/০৪/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 

হাফেজ মাওলানা  নুরুল ইসলাম দিনাজপুর থেকে।


   জবাব:  وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 

 

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বছর অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। দলিল:  


হাদিস নং-০১

أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ كَانَ يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الْأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ، حَتّى تَوَفّاهُ اللهُ عَزّ وَجَلّ، ثُمّ اعْتَكَفَ أَزْوَاجُهُ مِنْ بَعْدِهِ.

আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রা. বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকালের আগ পর্যন্ত রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। নবীজীর পর তাঁর স্ত্রীগণও ইতিকাফ করতেন। সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৭২; সহীহ বুখারী, হাদীস ২০২৬



হাদিস নং-০২

كَانَ يَعْرِضُ عَلَى النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ القُرْآنَ كُلّ عَامٍ مَرّةً، فَعَرَضَ عَلَيْهِ مَرّتَيْنِ فِي العَامِ الّذِي قُبِضَ فِيهِ، وَكَانَ يَعْتَكِفُ كُلّ عَامٍ عَشْرًا، فَاعْتَكَفَ عِشْرِينَ فِي العَامِ الّذِي قُبِضَ فِيهِ.

হযরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, জিবরীল প্রতি বছর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একবার কুরআন শোনাতেন। কিন্তু যে বছর তাঁর ওফাত হয় সে বছর দুই বার শোনান। নবীজী প্রতি বছর দশ দিন ইতিকাফ করতেন। কিন্তু ইন্তেকালের বছর তিনি বিশ দিন ইতিকাফ করেন। সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৯৯৮, ২০৪৪



উপরোক্ত হাদিসগুলো দলিল হিসেবে গ্রহণ করেছেন সম্মানিত তিন ইমাম। যেমন,


الحنابلة قالوا: يكون سنة مؤكدة في شهر رمضان وآكده في العشر الأواخر منه.

الشافعية قالوا: إن الاعتكاف سنة مؤكدة في رمضان وغيره، وهو في العشر الأواخر منه آكد.

الحنفية قالوا: هو سنة كفاية مؤكدة في العشر الأواخر من



অর্থাৎ ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ, ইমাম শাফিয়ি রহ এর মতে রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা এবং ইমাম আবু হানিফা এর  মতে রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। সূত্র: কিতাবুল ফিকহি আলাল মাজাহিবিল আরবাআ-১/৫২৯



 দ্বিতীয় কথা হলো, কোনো মসজিদ মহল্লায় কয়েকজন বা কোনো একজন আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হবে। আর কেউই আদায় না করলে সবাই সুন্নাত তরকের দায়ে দায়ী থাকবে। 

الاعتكاف على تقدير كونه سُنَّةُ كفاية كما هو الحق، هل هو سُنَّة كفايةٍ على أهلِ البلدة (٣) ، كَصَلاة الجنازة (٤) ، أم سُنَّة كفايةٍ على أهلِ كُلِّ مَحلَّةٍ، كصلاةِ التراويح بالجمَاعة (٥) ؟

অর্থাৎ ইতিকাফ হলো  সুন্নাতে কিফায়া,  এটি কি শহরের লোকদের জন্য  সুন্নাতে কিফায়া। যেমন জানাজার নামাজ বা শহরের লোকদের জন্য সুন্নাতে কিফায়া? প্রতিটি এলাকা, যেমন তারাবীহ নামায জামাআতের সাথে আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। সূত্র: কিতাবুল ইনসফি ফি হুকমিল ইতেকাফ -৩৬ পৃষ্ঠা।



সারকথা হলো, রমজানের শেষ দশকে পুরুষের জন্য জামাতে নামায হয় এমন মসজিদে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুআক্কাদা আলা কিফায়া। সুতরাং আপনার প্রশ্নের বর্ণনা মোতাবেক প্রতিটি ক্যাম্পেই ইতেকাফ করতে হবে। সূত্র: কিতাবুল মাসায়েল-২/১৮২


  1. والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি

দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি

No Comments

 

[3/29, 11:08 AM] RT Mawlana Gias Uddin Ahmed: আল বোরহান আমাদের প্রেরণা জোগায়, বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়ে দালিলিক উপস্থাপনা পেতে আল বুরহানের ভূমিকা অসাধারণ,   

বিজ্ঞ মুফতি মুহতারাম আঃ রাজ্জাক সাহেবের ইলম ও আমলে আল্লাহ তায়ালা বারাকাহ দান করুন।

আরসিও গিয়াস উদ্দিন আহমাদ, ৫ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন কুমিল্লা।

[3/29, 11:09 AM] RT Nozrul Noyakhali: আল বুরহানের পথ চলাকে মহান আল্লাহ আরো মসৃণ করুক। আরসিও নজরুল ইসলাম।৩৫ বীর সাঃ ব্যাটাঃ।নোয়াখালী।


[3/29, 11:19 AM] RT Kamal Vai Barishal: আগে বিভিন্ন মাসয়ালার দালিলিক উত্তরদানে অনেক সময় পেরেশান হয়ে যেতাম কারণ দলিল সহ দিতে হবে৷ এখন বুরহান হচ্ছে একজন যোগ্য অভিভাবক তুল্য ৷ আমি বুরহানের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি ৷ পাশাপাশি আরসি ও আঃ রাজ্জাক ভাই সহ সংশ্লিষ্ট সকলের মাগফিরাত ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি ৷ আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন ৷

[3/29, 11:20 AM] RT Kamal Vai Barishal: RCO - মোঃ কামাল হোসেন

অর্ডন্যান্স ডেপো, যশোর ৷

[3/29, 11:24 AM] RT md Sabbir Hossain Sylhet: আলহামদুলিল্লাহ আল-বুরহান নামের সাথে কাজ যথাযথ। আমরা অনেকেই মাসলা-মাসায়েল জানি বাট দলিল ভিত্তিক মাসায়েলের ক্ষেত্রে আল-বুরহান এক অনুপম দৃষ্টান্ত। আমি এর এডমিনের নেক হায়াত ও সুস্থতা কামনা করছি।আমিন

[3/29, 11:25 AM] RT md Sabbir Hossain Sylhet: আরসিও মোঃ ছাব্বির হোসাইন। ২৬ ইবি রামু কেন্টনমেন্ট।

[3/29, 11:25 AM] RT Mostakim: أللهم تقبل خدمة البرهان لأمة المسلمين خاصة لمسئول الناصح الديني- يا رب العالمين

[3/29, 11:26 AM] RT Md Rahmat 17 Bir: আল বুরহানের দুই বৎসর পূর্তিতে পরিচালকের প্রতি রইল শুভ কামনা। আশা করি অতিতের ন্যায় ভবিষ্যতেও আপনার এই খেদমতে খালক,খেদমতে দ্বীন চালিয়ে যাবেন। আল্লাহ আপনার সহায় হউন। মোঃ রহমত উল্লাহ নারায়ণ গন্জ।

[3/29, 11:29 AM] RT Aminul Islam Denazpur: আস্ সালামুআলাইকুম,আল বুরহান অনলাইনে আলেমদের একটি বৃহৎ মিলন কেন্দ্র। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থেকেও আল বুরহানের কল্যাণে একই সুতোয় আবদ্ধ।দালিলীক মাসয়ালা মাসায়েল ও পেশাগত অনেক সাহায্য পেতে বুরহান ধন্য করেছে।আল বুরহানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের উত্তোরত্তর উন্নতি অগ্রগতি , প্রচার,প্রসার ও স্থায়িত্ব কামনা করছি।

[3/29, 11:30 AM] RT Nozrul Chadpur: আসসালামু আলাইকুম

আমরা ধর্মীয় শিক্ষক বা ধর্মীয় পরামর্শদানকারী কর্মকর্তা হিসেবে যেহেতু দায়িত্ব পালন করে আসছি আমাদের সবার ই কাজ হলো ইউনিটের ধর্মীয় সকল কাজ আঞ্জাম দেওয়া।এক্ষেত্রে অধিনায়ক থেকে শুরু করে ধুপি বারবার পর্যন্ত যেকেউই আমাদের নির্দ্বধায় প্রশ্ন করে কিছু জানতে চায়।অনেক সময় এমন কিছু প্রশ্ন করে বসে যার উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা পেরেশান হয়ে যেতাম।যখনি আল বুরহান নামে এই গ্রুপে আমাকে এড করা হয় আমি না বুঝেই লিভ নিয়ে নেই।পরবর্তীতে যখন ব্যাচভিত্তিক গ্রুপ বা অঞ্চল ভিত্তিক গ্রুপ গুলোতে কোন মাসয়ালা জানতে চাইতাম তখন সবাই বলত আল বুরহানে এর সমাধান পাবেন।এরপরে আবার আমাকে সেখানে এড করার পর যখন ই যে প্রশ্ন করেছি আলহামদুলিল্লাহ সাথে সাথে তার সমাধান পেয়েছি।এখনো অএয়ে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।আজকে আল বুরহান ৩০০+ সদস্যের গ্রুপ আমি চাই আলবুরহান আলেমদের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত থাকুক।এজন্য এর এডমিন মডারেটর মহোদয় গণের প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ।আল্লাহ তাদের সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ূ ও ইলমে বরকত দান করুক।আমিন

[3/29, 11:34 AM] RT Saiful Noyakhali: *AL-BURHAN* is the another Google *search engine* for all RCO's.

Happy birthday to AL-BURHAN


Md. Saiful Islam Noakhali.

*RCO, 7 Signal bn*

Cox’s Bazar, Ramu Cantt.

[3/29, 11:38 AM] RT Romjan Sir: ভাই আ রাজ্জাক এর কষ্ট, সাধনা চেষ্টা, দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী জিজ্ঞাসার সুন্দর উপস্থাপন, সর্বোপরি আল বুরহান ইসলামী জিজ্ঞাসা ও জবাবের নির্ভরতার অনন্য নাম।

[3/29, 11:39 AM] RT Shohid: আলহামদুলিল্লাহ। আল বোরহান আমাদের নিত্য নতুন মাসআলার দালিলিক সমাধান এবং মোটিভেশন ক্লাসসহ আরো কিছু বিষয়ে অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আল বোরহানের আরো উন্নতি ও অগ্রগত কামনা করছি। সেই সাথে বোরহানের পরিচালক, এডমিনের সকলের কল্যাণ কামনা করে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

মোহাম্মদশহিদুর রহমান, জামালপুর।

আরসিও, ৯ ফিল্ড,রামু সেনানিবাস।

[3/29, 11:39 AM] RT Abu Nayem Jomuna: Alhamdulillah.Alborhan is an excellent platform of knowing authentic 

answers about Shariah and our life related subjects. I pray for its bright future and long lastin journey. 

Rco Abu Naim,15 Re BBS,Tangail.

[3/29, 11:42 AM] RT Abdul Jolil: আল বোরহানের মাধ্যমে যে খেদমত হচ্ছে তা আমাদের দুনিয়া আখেরাতের জন্য সহায় হোক এবং বোরহানের পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক ভাইকে আল্লাহ বরকত দান করুন এবং এই দ্বীনি খেদমতের মাধ্যমে তিনি আমাদের উপকৃত করেছেন তার প্রতিদান আল্লাহ তাকে দান করুন। আমীন

[3/29, 11:44 AM] RT md mizan Cumillah: আরসিও গণের পেশাগতম সহযোগিতার পাশাপাশি দ্বীনি খেদমতে আনজমদানে আল বোরহান যে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে আসছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পাশাপাশি উত্তরোত্তর এর উন্নতি কামনা করছি। আল বোরহান এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার পাশে ইনশাআল্লাহ

[3/29, 11:46 AM] RT Shamsul Alam Navy: ধর্মীয় পরামর্শদানকারী কর্মকর্তাদের আত্মার বন্ধন হিসেবে আল বোরহানকে যুগের পর যুগ আল্লাহতায়ালা কামিয়াবির সাথে কবুল করুন। পাশাপাশি এই গ্রুপের প্রধান সমন্বয়কারী মুহতারাম ধর্মীয় পরামর্শদানকারী কর্মকর্তা জনাব মাওলানা মুফতি আব্দুর রাজ্জাক হাফিজাহুল্লাহ কে ইলম ও আমল পূর্ণতা দান করুনএবং মানবতার কল্যাণে কবুল করুন। পাশাপাশি এর সাথে আমরা যারা সংশ্লিষ্ট আছি আল্লাহ সকলকে কবুল করুন।

[3/29, 11:48 AM] RT Zunaid Coxsbazar: আল বুরহানের দুই বৎসর পূর্তিতে আল বুরহান ও প্রতিষ্ঠাতার প্রতি শুভ কামনা রইল। আশা করি অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও দীনের এই খেদমত অব্যাহত থাকবে। আমি এই দিনে আল বুরহানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও সমৃদ্ধি এবং প্রিয় মুফতী আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের সুস্থতা ও নেক হায়াত কামনা করছি। -মুহাম্মদ জুনাইদ আল কাউকাব, কক্সবাজার।

[3/29, 11:48 AM] RT MD Rejaul Karim Raju Tanggail: সমসাময়িক মাসআলার যুগোপযোগী সমাধানে আল_বুরহান অামাদের পেশাগত জীবনের জন্য অনন্য সহায়ক নির্দেশক। দালিলিক প্রমাণ সহ সহজেই সমস্যা সমাধান পাওয়ার জন্য আল_বুরহানের পরিচালক আর সহায়তাকারী সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আল_বুরহান তার অগ্রসরতা বজায় রাখুক শুভকামনা থাকল আমিন। RCO মীর মোঃ রেজাউল করিম রাজু, সখিপুর টাংগাইল। CMH momenshahi

[3/29, 11:59 AM] RT Hadiul Islam Air Force: হাটিহাটি পা পা করে "আল বুরহান "আজ দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ সত্যিই আনন্দ আর ঊচ্ছাসের! আলহামদুলিল্লাহ!! আল বুরহানের জন্যে রইল অনেক শুভ কামনা। আরো নতুন নতুন ফিচার আর প্রবন্ধ নিবন্ধে ভরে উঠবে এর পুস্প কানন। দূতি ছড়াবে এলমী গগণের প্রতিটি স্রোত ধারায়। সেই প্রত্যাশায়......

 এম হাদিউল ইসলাম

সিনিয়র রিলিজিয়ন কাউন্সিলিং অফিসার, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।


[3/29, 12:00 PM] RT Nesar Uddin Hobigonj: মুহতারাম, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। বোরহান যে খেদমত দিয়ে যাচ্ছে তার প্রশংসা করার মতো আমার কাছে কোন ভাষা নেই ।আমি শুধু তাদের জন্য এই কামনা করব যাতে তারা এই খেদমত অব্যাহত রাখতে পারে ,সেই দোয়া করে যাব ইনশাআল্লাহ। বোরহানের সংশ্লিষ্ট সকল সদস্য বিশেষ করে মুফতি মাওলানা আব্দুল রাজ্জাক এর অবদান অতি অতুলনীয় এবং সর্বাধিক প্রশংসনীয়। মুফতি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক সহ তার সঙ্গীদের সকলের নেক হায়াত এবং দুনিয়া আখেরাতের অফুরন্ত কল্যাণ কামনা করছি ।আল্লাহুম্মা আমীন।

[3/29, 12:02 PM] RT Hafez Ahsan Habib Naoga: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

আলহামদুলিল্লাহ। আমার অত্যন্ত প্রিয়ভাজন বিজ্ঞ আলেমে দীন মুফতি আব্দুর রাজ্জাক, ধর্মীয় পরামর্শদানকারী কর্মকর্তা কর্তৃক সম্পাদিত আল- বুরহান, আমাদের বিভিন্ন যুগ জিজ্ঞাসার দলিল ভিত্তিক উত্তর প্রদানের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। আমি আল- বুরহান এর সাফল্য কামনা করি।

[3/29, 12:03 PM] RT Siraz: আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত সকল আরসিও স্যারবৃন্দ!


সকলের জন্য রামাদানের পবিত্রতা কামনা করছি, 

পূর্বে আরটিদের কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ দলিল বা তথ্যের জন্য বহু কষ্টের মধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমের সহযোগিতা নিতে হতো, বিষয়টি ব্যক্তি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ ছিল যার মাধ্যমে অন্য আরটিরা উপকৃত হতেন না।

আলহামদুলিল্লাহ "আল-বুরহান আমাদেরকে এক প্লাটফর্মে আনতে সক্ষম হয়েছে, আল-বুরহানের মাধ্যমে রিলিজিয়ন কাউন্সেলিং অফিসারবৃন্দ ও সশস্ত্র বাহিনী ধর্মীয় দৃষ্টিকোন হতে কতটা শক্তিশালী উপকৃত হয়েছে বা হচ্ছে তা আমরা সকলেই জ্ঞাত, আমি হৃদয়ের গভীর থেকে আল-বুরহানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি সাথে সাথে এর সঞ্চালক সম্মানিত আরসিও আব্দুর রাজ্জাক ও তাকে বিভিন্নভাবে প্রেরনা ও সহযোগীতা প্রদানকারী সকলকে মোবারকবাদ জানাই জাযাকাল্লাহ খাইরান, 

মহান আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হোন। 


আরসিও-০০১

মুহাম্মাদ সিরাজুল হক 

রিলিজিয়ন কাউন্সেলিং অফিসার,

সদর দপ্তর 

ডিজিএফআই

ঢাকা শাখা,

ঢাকা সেনানিবাস। 


নিজ জেলা-বরিশাল সদর।

[3/29, 12:06 PM] RT Shamsul Huda Ansari: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আল্লাহ তায়ালার যিনি আল বোরহান এর মাধ্যমে আমাদেরকে সঠিক তথ্য উপাত্ত জানার বুঝার তাওফিক দিচ্ছেন। আমি আল বোরহান এর সাথে সম্পর্কিত সকল সদস্য এবং আল বোরহানের উত্তরোত্তর উন্নতি অগ্রগতি ও একাত্মতা কামনা করছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সহায় হউন। আমিন।

[3/29, 12:19 PM] RT masumbillah Vola: আলহামদুলিল্লাহ। আল বোরহান যুগোপযোগী ইসলামিক বিভিন্ন প্রশ্নের সঠিক সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে ।জাতির কল্যাণের জন্য আল্লাহ তায়ালা আল বোরহানের খেদমত কবুল করুন।

[3/29, 12:21 PM] RT-12423 Morshed Alom: আল-বুরহান থেকে অনেক মাসআলা অনেক সমস্যার সমাধান সহজেই পাই। জাযাকাল্লাহু।

আরসিও-১২৪২৩ মোরশেদ আলম, 36EB রামু সেনানিবাস, 

বাড়ি- কুমিল্লা

[3/29, 12:31 PM] Rt Deen Muhammad: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

আল-বুরহানের এডমিন ও সকল সদস্যদের কে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন, আধুনিক বিভিন্ন বিষয়ের যুগোপযোগী ও সঠিক সমাধানের যে খেদমত আল- বুরহান এর মাধ্যমে আমরা পাচ্ছি, তা আমাদের সকলের কল্যাণ বয়ে আনবে ইনশাআল্লাহ

[3/29, 12:33 PM] RT Md Amj Hossain Rongpur: আলহামদুলিল্লাহ্ ।আল বুরহান এর দুই বছর পুর্তীতে পরিচালক ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ সকলকে আন্তরিক মোবারকবাদ ।আল বুরহানে যুগোপযোগী এবং বাস্তব ধর্মী প্রশ্নোত্তর আমাদের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি। জাযাকুমুললাহ ওয়া হাইইয়াকুমুল্লাহ ।

[3/29, 1:59 PM] RT Kafi Vai: আল-বুরহানের খিদমাহ আল্লাহ কবুল করুন এবং তা কিয়ামত পরযন্ত অব্যাহত থাকুক।

[3/29, 2:08 PM] RT Abdur Roshid Denazpur: আসসালামু আলাইকুম। সন্মানিত আল বুরহান এডমিন প্যানেল। জাযাকুমুল্লাহ খাইরান, ২ বছর সফলতার সাথে পথচলার জন্য। আজকের দিনে আমি মনে করি আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও যোগ্যতার এক অনন্য প্লাটফর্মে পরিনত হয়েছে।সকলের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করছি। আমি কামনা করছি আগামী দিনের পথ চলা আরও অনেক বিস্তৃত ও মসৃণ হোক। ফি-আমানিল্লাহ।আরসিও আব্দুর রশীদ দিনাজপুর

[3/29, 2:08 PM] RT Mahbub Norail: আল-বুরহান এর দুই বছর পূর্তিতে পরিচালক ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক মুবারকবাদ জানাচ্ছি এবং এর খিদমাহ যেন জারি থাকে সেজন্য মহান আল্লাহর কাছে কামনা করছি।

[3/29, 2:10 PM] RT Abul Kalam Azad 55MP: আল-বুরহানের খিদমাহ আল্লাহ কবুল করুন এবং তা অব্যাহত থাকুক এই কামনা করি।

[3/29, 2:12 PM] RT Abdul Hahim: কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি,,,

[3/29, 2:13 PM] RT WALIULLAH 12 Sigl: আসসালামু আলাইকুম। আলহামদুলিল্লাহ। সন্মানিত আল বুরহান এডমিন প্যানেল। জাযাকুমুল্লাহ খাইরান, ২ বছর সফলতার সাথে পথচলার জন্য। আজকের দিনে আমি মনে করি আপনার অক্লান্ত পরিশ্রম ও যোগ্যতার এক অনন্য প্লাটফর্মে পরিনত হয়েছে। আপনার সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করছি। আমি কামনা করছি আগামী দিনের পথ চলা আরও অনেক বিস্তৃত ও মসৃণ হোক। ফি-আমানিল্লাহ।

[3/29, 2:17 PM] RT MD Iqbal Husain Pgr: السلام عليكم ورحمة الله আল বুরহানের বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে এডমিন মহোদয়সহ সকলকে শুভেচ্ছা ।আরসিও দের পেশাগত জ্ঞান যোগ্যতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে এর ভুমিকা অনস্বীকার্য।যুগোপযোগী মাসয়ালা মাসায়েল উপস্থাপনার ক্ষেত্রে আরো উদ্যমী ও সাহসী হয়ে আমাদের যেন বারাহিনে ক্বাতিআ হয়ে উঠে এটাই প্রত্যাশা।

[3/29, 2:18 PM] RT Nurul Alam Khulna: AL-BURHAN is excellent.

[3/29, 2:21 PM] RT anwarulambia93@gmail.com: আল-বুরহানের খিদমাহ আল্লাহ কবুল করুন এবং তা অব্যাহত থাকুক এই কামনা করি।

[3/29, 2:21 PM] RT Muzzammil Cumillah: আল বুরহানের ০২ বৎসর পূর্তিতে পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি রইলো আন্তরিক অভিনন্দন।  

বর্ষপূর্তির শুভক্ষণে আল বোরহানের নিকট আমাদের প্রত্যাশা:

অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও যুগোপযোগী এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য উপাত্ত দিয়ে খেদমতে খালক,খেদমতে দ্বীন চালিয়ে যাবেন। আল্লাহ সহায় হোন।


নিরন্তর শুভ কামনায়...

আরসিও-১২৫৬৮ মোজাম্মেল হোসেন 

মিলিটারি ফার্ম, কুমিল্লা।

গ্রামের বাড়ি বরুড়া-কুমিল্লা।

[3/29, 2:22 PM] RT Kamrul: আলহামদুলিল্লাহ। আল বোরহান আমাদের নিত্য নতুন মাসআলার দালিলিক সমাধান এবং মোটিভেশন ক্লাসসহ আরো কিছু বিষয়ে অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আল বোরহানের আরো উন্নতি ও অগ্রগতী কামনা করছি। সেই সাথে বোরহানের পরিচালক, এডমিনের সকলের কল্যাণ কামনা করে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

মো: কামরুল হাসান এসটিসিএন্ড এস

যশোর

[3/29, 2:25 PM] RT SM Mahbubur Rahman Navy: আছছালামু আলাই কুম ওয়ারহমাতুল্লহ। 

"আল-বুরহানে" এর সুনাম,সুখ্যাতি এবং মহাসাফল্যের সাথে দু'বছর পূর্তিতে মহান আল্লাহ পাকের দরবারে অসংখ্য শুকরিয়া আদায় করছি, রাছুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে দুরুদ ও ছালাম পেশ করছি

[3/29, 2:28 PM] RT Aminur Rahman Jashor: আল বোরহানের দুই বছর পূর্তিতে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে বোরহানের উত্তরোত্তর উন্নতি অগ্রগতি ও একাত্মতা কামনা করছি । সাথে সাথে আল্লাহ তায়ালা তাদের সকল অবদানকে কবুল করুন।

[3/29, 2:31 PM] RT Abul Fazal 3EB: আল বুরহানের দুই বৎসর পূর্তিতে আল বুরহান প্রতি শুভ কামনা রইল। সমসাময়িক মাসআলার যুগোপযোগী সমাধানে আল_বুরহান অামাদের পেশাগত জীবনের জন্য অনন্য সহায়ক নির্দেশক। দালিলিক প্রমাণ সহ সহজেই সমস্যা সমাধান পাওয়ার জন্য আল_বুরহানের পরিচালক আর সহায়তাকারী সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞত। আমি এই দিনে আল বুরহানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও সমৃদ্ধি এবং প্রিয় মুফতী আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের সুস্থতা ও নেক হায়াত কামনা করছি।

[3/29, 2:31 PM] RT Harun Jashor: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আল বোরহানের এডমিন প্যানেলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। প্রতিষ্ঠানগ্ন থেকে এটি আমাদের জন্য অসাধারণ খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধিতে ও যুগ উপযোগী মাসালার সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। এজন্য বিশেষভাবে আল বোরহানের প্রতিষ্ঠাতা আমাদের সবার প্রিয় শ্রদ্ধেয় আব্দুর রাজ্জাক ভাইকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই।আমি আল বোরহানের দুই বছর পূর্তিতে এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের নেক হায়াত , দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

[3/29, 2:33 PM] RT MD. RAFIQUL ISLAM 119 Fd Wksp: আলহামদুলিল্লাহ সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। আমার প্রিয় গ্রুপ আল বোরহানের দুই বছর পূর্তিতে পরিচালক ও এডমিন প্যানেলের সদস্যবৃন্দ সকলকে অভিনন্দন ও মোবারকবাদ। সময়োপযোগী বিভিন্ন মাসলা মাসালের দলিল ভিত্তিক সমাধান দিয়ে আসতেছে আল কুরআন। যার মাধ্যমে আমাদের শত শত ধর্মীয় পরামর্শদানকারী কর্মকর্তাগণের কর্মজীবনে অপরিসীম উপকার সাধিত হচ্ছে। আমি আল বোরহানের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই শুভ ক্ষণে আল বোরহানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও সমৃদ্ধি, আমার প্রিয় বন্ধু আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের সুস্থতা এবং তার ইলমি যোগ্যতার আরো অনেক উন্নতি সাধিত হোক এই কামনা করছি।শুভ জন্মদিন আল বোরহান।

[3/29, 2:35 PM] RT Neser Sherpur: আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু আল বুরহানের ০২ বৎসর পূর্তিতে পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।  

বর্ষপূর্তির এই শুভক্ষণে আল বোরহানের নিকট আমাদের প্রত্যাশা:

অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও যুগোপযোগী এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য উপাত্ত দিয়ে খেদমতে আরসিও, খেদমতে খালক,খেদমতে দ্বীন চালিয়ে যাবেন। আল্লাহ সহায় হোন।


শুভ কামনায়...

আরসিও-১২৩২৯ মোঃ নেছার উদ্দিন শেরপুর ।

[3/29, 2:36 PM] RT Fariduzzaman Jamalpur: Al Burhan is an excellent platform for the Religion Counselling Officers of Armed Forces. It helps us to find out any query of Shariah with authentic document. It started it journey at the end of RTAC-16. I feed proud that I was the raising admin member of Al Burhan. I wish it's great success so that it may fulfill the demand of Religion Counselling Officers of Armed Forces. May Allah accept us all.

[3/29, 2:42 PM] Mizanur Rahman: আসসালামু আলাইকুম

আল বুরহান এর দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আল বুরহান পরিবার ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক, পরিচালক সকলের পরিচিত , সবার প্রিয় , অতি আপন মানুষ জবাব হযরত মাওলানা মুফতী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ভাইজানের অক্লান্ত পরিশ্রম , আন্তরিকতা ও যোগ্যতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যার জন্য আমরা অনেক মাসলা মাসায়েল ও হঠাৎ কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে এত দ্রুত সমাধান পাই যা আজীবন সম্মাননা পাওয়ার যোগ্য।

আল বুরহান কে এ জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে ও সাথে থাকবে বলে আমি মনে করি, ইনশাআল্লাহ।

আলহামদুলিল্লাহ জন্ম দিনে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আল বুরহান এর প্রতি।

[3/29, 2:45 PM] Mizanur Rahman: আরসিও ১২৫০৭ ধর্মীয় পরামর্শদানকারী কর্মকর্তা

মোঃ মিজানুর রহমান সাভার ঢাকা।

[3/29, 2:46 PM] RT Moyen Vola: আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আল-বুরহান এর সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি ।

 বিশেষ করে আল-বুরহানের মুহতারাম পরিচালক, পরিচালনা পর্ষদসহ যাদের সার্বিক দিকনির্দেশনায়, সহযোগীতায় এবং নিরলস সীমাহীন প্রচেষ্টায় আল-বুরহান মাত্র দুই বছরে সবচেয়ে দ্রুত, উপকারী এবং জরুরী অনলাইন সেবা ও যুগোপযোগী আধুনিক মাসআলা-মাসায়েল সমাধান হিসেবে সকলের মন জয় করতে সার্থক হয়েছে । 

আগামী দিনগুলোতে আল-বুরহান আরো কল্যাণমুখী পদক্ষেপ নিয়ে জাতির সেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা রাখি । মহান আল্লাহর দরবারেও সে ফরিয়াদ করি- আল-বুরহান যেন যুগ যুগ ধরে মানুষের কল্যাণে নিবেদিত থাকতে পারে মহান আল্লাহ সেই তৌফিক দান করুন । আমীন

والله في عون العبد ما كان العبد في عون اخيه.

[3/29, 2:47 PM] RT Md,Sadequl Islam: আলহামদুলিল্লাহ। "আল বুরহানের দুই বছর পূর্তিতে" আল বুরহানের নাম প্রণয়ন ও প্রতিষ্ঠা পূর্ব প্রস্তাবের প্রথম সমর্থক আমি মোঃ ছাদেকুল ইসলাম ইহার উত্তরোত্তর উন্নতি, অগ্রগতি কামনা করছি।

[3/29, 2:51 PM] RT sahajalm Meletary Fram Saver: আল বুরহান কে তার দু বছর পুরতিতে অভিনন্দন জানাই, অগ্রগতি, উন্নতি কামনা করছি,আরসিও মুহাম্মাদ শাহজমাল,মিলিটারি ফারম সাভার ঢাকা, জেলা:শারিয়তপুর,👍

[3/29, 2:51 PM] RT Kamal Hossain Dosto: আল বোরহান তার জন্ম লগ্ন থেকে যে খেদমত করে যাচ্ছে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমার জানামতে বাংলাদেশের কোন গ্রুপে এত দ্রুত এত সুন্দর সহজ সাবলিলভাবে ইসলামী বিষয়ে সমাধান দেওয়া হয়নি। আল বোরহানের খেদমত আল্লাহ তাআলা কবুল করুন এবং পরিচালকদেরকে নেক হায়াত দান করুন। আমিন।

[3/29, 2:53 PM] RT SM Mahbubur Rahman Navy: সাথে সাথে আন্তরিক মুবারকবাদ, অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এর এডমিন এবং পাঠকদের। 


** বর্তমান প্রেক্ষাপটে সঠিক কথা হচ্ছে, মাসায়েল বলার বহু আলেম আছে, একচেটিয়া মতামত পেশকরার এবং নিজের মতকে প্রতিষ্ঠিত করার স্ব পক্ষে বাছাই করা মুষ্টিমেয় বুরহান পেশকরার কিছুসংখ্যক আলেম ও আছে। 


কিন্তু চাহিদাকৃত প্রত্যেকটি মাসায়েলের মাযহাবী ইখতিলাফ সহ লা-মাযাহাবিদের বুরহান এবং তার জবাব দেয়ারমত আলেমের সংখ্যা বিরল। "আল-বুরহান " সে বিরলের মধ্যে অন্যতম। তাই আমি তার ("আল-বুরহানে") কিয়ামত পর্যন্ত স্থানীত্ত কামনা করছি।

[3/29, 2:58 PM] RT SM Mahbubur Rahman Navy: আছছালামু আলাই কুম ওয়ারহমাতুল্লহ। 

"আল-বুরহানে" এর সুনাম,সুখ্যাতি এবং মহাসাফল্যের সাথে দু'বছর পূর্তিতে মহান আল্লাহ পাকের দরবারে অসংখ্য শুকরিয়া আদায় করছি, রাছুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে দুরুদ ও ছালাম পেশ করছি

[3/29, 2:58 PM] RT SM Mahbubur Rahman Navy: সাথে সাথে আন্তরিক মুবারকবাদ, অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এর এডমিন এবং পাঠকদের। 


** বর্তমান প্রেক্ষাপটে সঠিক কথা হচ্ছে, মাসায়েল বলার বহু আলেম আছে, একচেটিয়া মতামত পেশকরার এবং নিজের মতকে প্রতিষ্ঠিত করার স্ব পক্ষে বাছাই করা মুষ্টিমেয় বুরহান পেশকরার কিছুসংখ্যক আলেম ও আছে। 


কিন্তু চাহিদাকৃত প্রত্যেকটি মাসায়েলের মাযহাবী ইখতিলাফ সহ লা-মাযাহাবিদের বুরহান এবং তার জবাব দেয়ারমত আলেমের সংখ্যা বিরল। "আল-বুরহান " সে বিরলের মধ্যে অন্যতম। তাই আমি তার ("আল-বুরহানে") কিয়ামত পর্যন্ত স্থানীত্ত কামনা করছি।

[3/29, 2:58 PM] RT Mahmudul Hasan Kumillah: আলহামদুলিল্লাহ ওয়াস শুকরু লিল্লাহ। আল-বুরহান বর্তমানকালে সময় ও যুগের চাহিদার আলোকে ইসলামিক বিভিন্ন প্রশ্নের সঠিক, নির্ভুল ও দালিলিক সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ কাজ আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। এতে করে আমাদের প্রত্যাশিত অনেক মাসয়ালা ও জিজ্ঞাসার চাহিদা পূরণ হচ্ছে। জাতির ইলমী ইস্তিফাদা ও কল্যাণের জন্য আল্লাহ তায়ালা আল বুরহানের খেদমত কবুল করুন। আমি আল বুরহানের সাথে সম্পর্কিত সম্মানিত এডমিন, মুয়াজ্জাজ সকল সদস্য এবং আল বুরহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, অগ্রগতি ও একাত্মতা কামনা করছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে কবুল করুন আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।

[3/29, 2:59 PM] RT Saiful Islam Cox's Bazaar: আলহামদুলিল্লাহ্‌


আল বুরহান আমাদের অনুপ্রেরণা প্রয়োজনের সঙ্গী।


আল বুরহানের পরিচালককে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।


এই প্লাটফরম চালু থাকুক।

[3/29, 3:00 PM] Rt Yunus Vai: السلام عليكم و رحمة الله !

 আমি সহ আল বুরহানের সকল আরাকীন,লেখক,ব্লগার ও কলামিস্ট এবং সকল পর্যায়ে হিতাকাংখীদের প্রতি রইল আন্তরিক মোবারকবাদ ৷ তাৎক্ষণিক উদ্ভাসিত ও সংঘটিত বহুমুখী দ্বীনি সমস্যার সমাধানে আল-বুরহান যারপরনাই স্বয়ংক্রিয়তা ও তাহকীকানা আন্দাজ বজায় রেখেছে নিঃসন্দেহে ৷আল বুরহানের সামনের পথচলা প্রশংসার্হ হোক ৷৷আ মীন,বিহুব্বি সাইয়্যিদিল মুরসালীন ৷৷

[3/29, 3:02 PM] RT Abdul Mannan Kumillah: আলহামদুলিল্লাহ আল- বুরহানের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে এডমিনকে জানাই মোবারকবাদ। আমি আল- বুরহানের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি । 


আরসিও-১২৩৪৩

মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান

২৯ ইস্টবেঙ্গল ঘাটাইল 

কুমিল্লা

[3/29, 3:04 PM] RT Sanaullah Rab: Assalamualaikum warahmatullah .All praises be to Allah .Alhamdulillah. I am very glad that 'the Burhan ' already has been passed two years very successfully .I would like to thanks from my heart to the founder & chief patroon Mufti Moulana Abdur Razzaque ( hafizahulla taala) I think that Burhan is going to fulfill our requirements relevant to Islamic various questions not only locally but also internationally .May Allah grant 'The Burhan ' as a Sadakayee Zaria .Warm regards Md Sana ullah Tangail.

[3/29, 3:05 PM] RT Nurul Islam Denazpur: আল বুরহান বিশেষ করে আমাদের আরসিওদের জন্য খেদমত করে যাচ্ছে অবিরাম। আল্লাহ তায়ালা আল বুরহান ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে কবুল করুন, আমীন।

[3/29, 3:08 PM] RT Helal Kobir Cox's Bazar: আলহামদুলিল্লাহ,,,,🤲

আল-বুরহানের এই দ্বীনের খেদমত আল্লাহ তা'আলা কবুল করুন। এডমিন প্যানেলের সকলকে যারা শরিয়তের জটিল কটিন মাসালা মাসা'ইল লিপিবদ্ধ করে উম্মতের কল্যাণে নিরলসভাবে কষ্ট করে যাচ্ছেন তাদের 'জাযাকুমুল্লাহ আহসানাল জাযা'। 

বিশেষ করে যার কথা না বললেই নয়, যিনি এই 'আল-বোরহান' ওয়েবসাইটটি ডেভলপ করেছেন তার এই খেদমতকে সাদকাহ জারিয়াহ হিসেবে কবুল করুন। 

পরিশেষে, দু'আ করি আল-বুরহানের খেদমত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ুক, এর সফর আরো মশৃন হোক।


ধর্মীয় পরামর্শদানকারী কর্মকর্তা

মুহাম্মদ হেলাল উদ্দীন 

মহেশখালী, কক্সবাজার।

কন্টাক্ট- ০১৮১৫৭২০৬৩৩

[3/29, 3:14 PM] RT SHARIFUL ISLAM 40 Fd: আসসালামু আলাইকুম 

আলহামদুলিল্লাহ 

দলিল ভিত্তিক মাসয়ালা মাসায়েল এর অন্যতম প্লাটফর্ম "আল বোরহান" এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর রিলিজিয়ান কাউন্সেলিং অফিসারগণ মাসয়ালা মাসায়েল এর ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য দলিল প্রমাণের ভিত্তিতে যুগের চাহিদার আলোকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দ্রুততম সময়ের মধ্যে পেয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জনপ্রিয় রিলিজিয়ন কাউন্সিলিং অফিসার মুফতি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক স্যার সহ যারা এ প্লাটফর্মটি তৈরি করেছেন বা পরিচালনা করছেন তাদেরকে আল্লাহ তা'আলা দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দান করুন। এই প্রত্যাশা আল বোরহানের দ্বিতীয় বর্ষ সমাপনান্তে।

আরসিও- শরীফুল ইসলাম ৩৯ এসটি ব্যাটালিয়ান চকরিয়া, কক্সবাজার 

(বরুড়া, কুমিল্লা)

[3/29, 3:17 PM] RT Shohidul Islam: সালামুআলাইকুম ধন্যবাদ দিয়ে আল বোরহানকে খাটো করতে চাই না

[3/29, 3:17 PM] RT Ashraful Islam Navy: আলহামদুলিল্লাহ। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য নিবেদিত যিনি আমাদেরকে আল বুরহানের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার দালিলিক সমাধানের সুযোগ করে দিয়েছেন।দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী মুহাম্মদ (স:)এর উপর।আল বুরহানের দ্বিতীয় বছর পূর্তিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও মুবারকবাদ।বিশেষ করে আল বুরহানের প্রধান উপদেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষক আমাদের সবার প্রিয় মুফতি আব্দুর রাজ্জাক ভাই, যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে কুরআন - সুন্নাহ ভিত্তিক বিভিন্ন বিষয়ের সমাধান দিচ্ছেন। আল্লাহ পাক ভাই এর কর্মস্পৃহাকে আরো বিস্তৃত ও সাফল্য মন্ডিত দান করুন এবং নেক হায়াত বৃদ্ধি করুন। পরিশেষে আল বুরহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।

[3/29, 3:18 PM] RT Mohammad Abdul Momen: السلام عليكم ورحمة الله وبركاته.  

মহান আল্লাহর দরবারে হাজারো শুকরিয়া। আল-বোরহান তৃতীয় বছরে পদার্পণ করছে। গত দুই বছরে এটি আমাদের আলেম সমাজের জন্য অসামান্য অবদান রেখেছে। সমসাময়িক মাসআলার দালিলিক সমাধান, বিভিন্ন হাদিসের তথ্যসূত্র, বিভিন্ন বিষয়ের মোটিভেশন ক্লাসের লেসন প্লান, ফজিলতপূর্ণ দোয়া, স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধগুলো সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি আশা ভবিষ্যতেও এই গ্রুপটি তার সাফল্যের ধারা বজায় রাখবে। আল-বোরহানের এডমিন প্যানেলসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বিশেষ করে আল-বোরহানের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুর রাজ্জাক ভাইকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি আল-বোরহানের দুই বছর পূর্তিতে সংশ্লিষ্ট সকলের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। মহান রব আমাদের সকলকে কবুল করুক। আমিন। 

মীর মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন। 

আরসিও, সদর দপ্তর ২১পদাতিক ব্রিগেড। যশোর সেনানিবাস।

[3/29, 3:19 PM] RT Shohidul Islam: আচছলামূ আলাইকূম শূধূ ধন্যবাদ দিয়ে আলবুরহানকে খাটো করতে চাই না

[3/29, 3:23 PM] RT Robiul Mp: সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য । মহান আল্লাহ আল-বুরহানকে তাঁর দ্বীনের জন্য কবুল করুন। আমীন

[3/29, 3:24 PM] RT ABDUL Hai Sirajgong: আলহামদুলিল্লাহ ! আল বুরহান ইলমী জগতে সহযোগিতার যে শাখা-প্রশাখা ছড়িয়েছে তা আজ ফুলে- ফলে সুশোভিত , ২ বছরে আমরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়েছি , জরুরী মাসয়ালার সমাধান , লেসন প্লান , প্রয়োজনী নথিপত্র পেতে অনেক সময় গলদঘর্ম হতে হয় , আল বুরহানের মাধ্যমে এগুলো খুব সহজে পেয়েছি , 

এ জন্য আল বুরহানের এডমিন , সুধী , উপকারভোগী 

পাঠক সহ সংশ্লিষ্ঠ সকলের জন্য মহান রবের দরবারে উভয় জগতের কল্যাণ কামনা করছি , জাযাকুমুল্লাহু খাইরান ফিদ্দারাইন

[3/29, 3:27 PM] RT Akhter Lalmunihat: আসসালামু আলাইকুম,

আন নাবা ও আল- বোরহানের সদস্য , সন্মানীত ধর্মীয় পরামর্শ দানকারী কর্ম-কর্তাগণ, আপনাদের সকলকে মুবারাক বাদ , দোয়া করছি সবাইকে আল্লাহ পবিত্র ও দীর্ঘ জীবন দান করুন, বিশেষ আমাদের প্রাণ প্রিয় আরসিও , সন্মানীত আব্দুর রাজ্জাক ভাইকে যিনি আমাদের আন-নাবা এবং আল বোরহান উপহার দিয়েছেন যার মাধ্যমে আমরা টেকনাফ হতে তেতুলিয়া পর্যন্ত আরসিও ভাইদের বিভিন্ন জ্ঞান গর্ভ জ্ঞানের কথা, বিভিন্ন মাসয়ালার তাৎক্ষণিক সমাধান লাভ করে থাকি , ফলে সেনা বাহিনীর সেনা সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান অতি সহজ দিতে সক্ষম হই, বিভিন্ন বিষয়ের পাঠ পরিকল্পনা প্রয়োজীয় মূহুর্তে খুবই দ্রুত কারোনা কারো কাছে পেয়ে যাই , আলহামদু লিল্লাহ ,সত্যি গ্রুপ গুলো আমাদের আরসিও ভাইদেরকে একটা পরিবারের সদস্যের মত অতি কাছে নিয়ে এসেছে, আল্লাহ আমাদেরকে এভাবেই অতি কাছে নিয়ে আসুক এটাই কামনা করি ,দোয়া করি সকলকে বিশেষ করে সন্মানীত আরসিও আব্দুর রাজ্জাক ভাইকে তিনি আসলেই ধৈর্য্য ও বুদ্দি মত্তাদিয়ে সবাইকে ধরে রাখতে পেরছেন আল্লাহ তাকে দীর্ঘ জীবন দান করুন , আন নাবা ও আল- বোরহানকে দীর্ঘ স্থায়ী করুন ,আমীন

[3/29, 3:34 PM] Rt Yunus Vai: "فَلَوۡلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرۡقَةࣲ مِّنۡهُمۡ طَائفَةࣱ  لِّیَتَفَقَّهُوا۟ فِی ٱلدِّین--" 

( التوبة : ١٢٢)

الرحبة و الدعآء اولا لأخينا العزيز محقق عبد الرزاق حفظه الله المنان مع الأراكن و النواظم ل-'البرهان' الذي يدل الأمة المسلمة بالبراهن القاطعة والادلة الرافعة منذ عامين ، نحن نرجو و ندعوه بالبركة لتمديد حياته و فلاحه في الدارين مع اصحابه المكرمين ، والحمد لله رب العلمين *

اخوكم الراجي الي الله المتعالي : الموظف للارشاد الديني محمد يونس علي عفي عنه ، داكا*

[3/29, 3:40 PM] RT Maw Mohibbullah AFMC: আসসালামু আলাইকুম। 

সর্ব প্রথমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আল্লাহ তায়ালার যিনি আল- বুরহানের মাধ্যমে আমাদেরকে সঠিক তথ্য জানার ও বুঝার তৌফিক দিচ্ছেন।আলহামদুলিল্লাহ, আল বুরহান আমাদেরকে এক প্লাটফর্মে আনতে সক্ষম হয়েছে। আমি হৃদয়ের গভীর থেকে আল- বুরহানের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি। সাথে সাথে এর সঞ্চালক আরসিও আব্দুর রাজ্জাক ভাইকে আন্তরিক দোয়া ও মোবারকবাদ জানাই।

আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

আরসিও-

মোঃ মহিববুল্লাহ।

এ এফ এম সি।

ঢাকা সেনানিবাস।

[3/29, 3:42 PM] Rt Nurul Haq: আলহামদুলিল্লাহ। আল বুরহানের দুই বছর পূর্তিতে বোরহান পরিবারের সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা। মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা আল বুরহান যেভাবে প্রয়োজনীয় মাশয়ালা - মাশায়েল ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে আগামীতে আরো বেশী বেশী করতে পারে। এবং আল বুরহান এর পরিচালক এর জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন সকল পরিশ্রমের উত্তম প্রতিদান দান করুন । আল বুরহানের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

[3/29, 3:43 PM] Rt Shamsu 12 bir: আল বুরহানের দুই বৎসর পূর্তিতে যোগ্য পরিচালকের প্রতি শুভ কামনা রইলো।বুরহান দীর্ঘ ২ বসর আমাদের বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ মাসয়ালা, ক্লাশের বিষয় প্রফেশনাল কাজের প্রয়োজনে বিশাল ভুমিকা রাখছে।যা অসাধারন ও অতুলনীয়।আশা করি অতিতের ন্যায় ভবিষ্যতেও আপনি এ

Stylo

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাদের ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম। পোষ্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর কোন পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্সে করে যোগাযোগ করুন। জাযাকাল্লাহু খাইর