জিজ্ঞাসা-১২৯২৯:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। খতমে তারাবীহতে মাঝে মধ্যে কুরআনের দোয়ার আয়াত যখন হাফেজ সাহেবগন পড়েন, তখন মুক্তাদির আমীন বলা যাবে কিনা
তারিখ: ০২/০৩/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা থেকে।
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, খতমে তারাবীহতে মাঝে মধ্যে কুরআনের দোয়ার আয়াত যখন হাফেজ সাহেবগন পড়েন, তখন মুক্তাদির আমীন বলা যাবে না। কেননা মনযোগ সহকারে কুরআন শোনা এবং চুপ থাকা ওয়াজিব। দলিল -
Surah Al-Araf, Verse 204:
وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়। সূরা আরাফ-২০৪
তাফসির:
هذا الأمر عام في كل من سمع كتاب اللّه يتلى، فإنه مأمور بالاستماع له والإنصات، والفرق بين الاستماع والإنصات، أن الإنصات في الظاهر بترك التحدث أو الاشتغال بما يشغل عن استماعه
অর্থাৎ এই আদেশটি প্রত্যেকের জন্য সাধারণ যে যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত শোনেন, কারণ তাকে এটি শোনার এবং চুপ থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে এবং শোনা এবং চুপ থাকার মধ্যে পার্থক্য হল যে শোনার অর্থ মনে হয় কথা বলা থেকে বিরত থাকা বা এমন কিছুতে ব্যস্ত হওয়া যা থেকে বিভ্রান্ত হয়। সূত্র: তাফসিরে সাদি আরাফ-২০৪
সারকথা হলো, দুআ মুখে বলা যাবেনা।
তবে মনে মনে অনুধাবন/বলা করা যাবে। কারণ চুপ করে তিলাওয়াত শুনা ওয়াজিব।
والله اعلم بالصواب