জিজ্ঞাসা-১২৯৪৯:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। হজ -ওমরায় ইহরাম অবস্থায় সেলাই যুক্ত জুতো পরিধান করা জায়েয হবে কি?
তারিখ: ০৬/০৪/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা থেকে।
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, হজ-ওমরায় ইহরাম অবস্থায় সেলাই যুক্ত জুতো পরিধান করা জায়েজ, তবে ফিকহি হানিফর মতে টাকনু ঢেকে রাখে এমন জুতো পরিধান করা জায়েয নেই। যেমন,
وذهب الحنفية إلى جواز لبس ما يستر القدم بشرط أن لا يكون ساتراً للكعبين ، فلو لبس حذاء يستر مقدم القدم وعقبها وظهرها : لا بأس بذلك ما دام لم يستر الكعبين .
واحتجوا : بأن النبي صلى الله عليه وسلم أرشد من لم يجد النعلين إلى أن يلبس الخفين ويقطعهما ليكونا أسفل من الكعبين : مما يفيد أنه بعد القطع انتقل من الصورة المحرمة للصورة المباحة ، فدل على إباحة لبس ما دون الكعبين .
قال الكاساني : " وَرَخَّصَ بَعْضُ مَشَايِخِنَا الْمُتَأَخِّرُونَ لُبْسَ الصَّنْدَلَةِ ، قِيَاسًا عَلَى الْخُفِّ الْمَقْطُوعِ ؛ لِأَنَّهُ فِي مَعْنَاهُ " انتهى من " بدائع الصنائع " (2/184)
হানাফীদের মতে পা ঢেকে রাখে এমন কিছু পরিধান করা জায়েয, তবে সে যদি পায়ের গোড়ালি ঢেকে না রাখে তবে সে যদি পায়ের সামনে, গোড়ালি এবং পায়ের পিছনের অংশ ঢেকে রাখে এমন জুতা পরিধান করে: তাতে দোষের কিছু নেই। যতক্ষণ না এটি টাকনু ঢেকে না রাখে। দলিল-
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنَ الثِّيَابِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَلْبَسُ الْقُمُصَ وَلاَ الْعَمَائِمَ وَلاَ السَّرَاوِيلاَتِ وَلاَ الْبَرَانِسَ وَلاَ الْخِفَافَ، إِلاَّ أَحَدٌ لاَ يَجِدُ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ، وَلْيَقْطَعْهُمَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ، وَلاَ تَلْبَسُوا مِنَ الثِّيَابِ شَيْئًا
আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যাক্তি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মুহরিম ব্যাক্তি কি প্রকারের কাপড় পরবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে জামা, পাগড়ী, পায়জামা, টুপি ও মোজা পরিধান করবে না। তবে কারো জুতা না থাকলে সে টাখ্নুর নিচ পর্যন্ত মোজা কেটে (জুতার ন্যায়) পরবে। তোমরা জাফরান বা ওয়ারস (এক প্রকার খুশবু) রঞ্জিত কোন কাপড় পরবে না।
আবূ ’আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, মুহরিম ব্যাক্তি মাথা ধুতে পারবে। চুল আঁচড়াবে না, শরীর চুলকাবে না। মাথা ও শরীর থেকে উকুন যমীনে ফেলে দিবে। তাখরিজ: বুখারি ১৫৪২
সারকথা হলো, পুরুষের জন্য শরীর বা কোনো অঙ্গের আকার অনুযায়ী তৈরিকৃত বা সেলাইকৃত কাপড় পরা নিষিদ্ধ। যেমন- পাঞ্জাবি, জুব্বা, শার্ট, সেলোয়ার, প্যান্ট, গেঞ্জি, কোট, সোয়েটার, জাঙ্গিয়া ইত্যাদি।
এবং পুরুষের জন্য পায়ের পাতার উপরের উঁচু হাড় ঢেকে যায় এমন জুতা পরিধান করা নিষেধ। তাই এমন জুতা বা স্যান্ডেল পরতে হবে যা পরলে ওই উচু অংশ খোলা থাকে। (রদ্দুল মুহতার ২/৪৯০)
والله اعلم بالصواب