জিজ্ঞাসা-১২৯৩১:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। যদি কোন লোকের এক দিনের খতমে তারাবীহ ছুটে যায় তবে সেই পারা হাফেজ সাহেবের মাধ্যমে পরে পড়ে নিলে কোন সমস্যা হবে কী?
তারিখ: ২৩/০৩/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা মোর্শেদ আলম থেকে।
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, হাফেজ সাহেবের মাধ্যমে শোনা যেতে পারে তবে তারাবীহতে খতম করার সওয়াব তো হবেনা এবং তারাবিহ এর নামাজে কুরআন খতম করার সুন্নত ও আদায় হবেনা। বাকি কুরআন তিলাওয়াত শুনার সওয়াব তো অবশ্যই হবে।
দ্বিতীয় কথা হলো, হাফেজ সাহেব যদি খুশি মনে কোন চাপ ছাড়া শুনাতে রাজি হয় তাহলে জায়েজ হবে। নইলে তাকে জোর করে, চাপ দিয়ে তার থেকে শোনা জায়েজ নেই। কেননা মুসলমানকে কষ্ট দেওয়া হারাম। দলিল-
Surah Al-Ahzab, Verse 58:
وَالَّذِينَ يُؤْذُونَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ بِغَيْرِ مَا اكْتَسَبُوا فَقَدِ احْتَمَلُوا بُهْتَانًا وَإِثْمًا مُّبِينًا
যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে। সূরা আহযাব-৫৮
حذيفة بن أسيد رضي الله عنه: أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: ((من آذى المسلمين في طرقهم، وجبَتْ عليه لعنتهم))[23]، وظاهر الحديث أنه يجب لعنه وإسماعه ذلك؛ لينزجر عن فعل الأذى[24].
أخرجه الطبراني في الكبير 3: 179 برقم 3050، وذكره الهيثمي في المجمع 1: 483 برقم 1001، وقال: رواه الطبراني في الكبير، وإسناده صحيح.
হযরত হুজাইফা ইবনে উছায়িদ রা. থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তাদের পথে মুসলমানদের কষ্ট দিবে/ক্ষতি করবে সে তাদের অভিশাপের অধীন হবে। তাখরিজ: তাবারানি-৩০৫০; আলমাজমু-১০০১
والله اعلم بالصواب