জিজ্ঞাসা-১২৯২৪:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমার জানার বিষয় আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়ায় রোজার কোন ক্ষতি হয় কিনা ।
তারিখ: ১৮/০৩/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা কামরুল ইসলাম বাগেরহাট থেকে।
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, রোজা অবস্থায় আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া অনিচ্ছাকৃতভাবে নাকে বা গলার ভেতরে চলে গেলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া ইচ্ছাকৃতভাবে নাক দিয়ে টেনে ভেতরে নিলে রোজা ভেঙে যাবে; কিন্তু আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া ছাড়া শুধু ঘ্রাণ নিলে রোজা নষ্ট হবে না। দলিল -
ولا يلزم من قول الجمهور بأن وصول الدخان إلى الحلق يفسد الصوم أنه يفسده في كل حاله بل أنهم استثنوا من ذلك ما وصل من غير قصد وهذا بإجماع منهم، وبهذا يتبين فساد هذه الفتوى وضعف ما بنيت عليه وأن الدخان مفطر
অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমদের মত হলো, গলদেশের অভ্যন্তরে ধোঁয়া ইত্যাদি প্রবেশ করলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে তাদের এই মতামত সকল ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য নয়। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে এর কিছুটা ব্যতিক্রমও রয়েছে। যেমন কারো গলায় অনিচ্ছাকৃতভাবে ধোঁয়া ইত্যাদি প্রবেশ করে ফেললো। তখন কিন্তু সর্বসম্মতভাবেই রোজা ভঙ্গ হবেনা।
এতটুকু আলোচনার মাধ্যমেই সুস্পষ্ট হয়ে গেলো যে, সেই ফতোয়াটি সঠিক নয়।এবং যেই মূলনীতির উপর নির্ভর করে ফতোয়াটি দেওয়া হয়েছে, তার ভিত্তিও নিতান্তই দুর্বল। সুতরাং ঢালাওভাবে একথা বলা যাবেনা যে, ধোঁয়া মুখগহ্বরে প্রবেশ করলেই রোজা ভেঙে যাবে। বরং ইচ্ছাকৃতভাবে ধোঁয়া গ্রহণ করলে ( যেমন ধূমপান) তবে রোজা ভাঙবে। অন্যথায় নয়। সূত্র: ফিকহুল ইবাদাত, মুফসিদাতুল সওম-১০১১৯ (ফতোয়া নং)
সারকথা হলো, আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া অনিচ্ছাকৃতভাবে নাকে বা গলার ভেতরে চলে গেলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া ইচ্ছাকৃতভাবে নাক দিয়ে টেনে ভেতরে নিলে রোজা ভেঙে যাবে।
والله اعلم بالصواب