জিজ্ঞাসা-১২৯৩০:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। মেশিনে ছোলা মুরগী খাওয়া জায়েজ হবে কি?
তারিখ: ২২/০৩/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা শাকুর হাসান, খোলাহাটি দিনাজপুর থেকে।
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, দোকানগুলোতে সাধারণত যে পদ্ধতিতে মুরগী ড্রেসিং করা হয় তাতে ঐ মুরগীর গোশত খাওয়া নাজায়েয বা মাকরূহ হয়ে যায় না। কারণ, এক্ষেত্রে মুরগী গরম পানিতে যতটুকু সময় চুবিয়ে রাখা হয় এতে মুরগীর ভেতরের নাপাকীর প্রভাব গোশতে পৌঁছে না। বরং এর দ্বারা শুধু লোমকূপগুলো ঢিলা ও নরম হয়ে যায়। অবশ্য যদি এত বেশি সময় তপ্ত গরম পানিতে মুরগী চুবিয়ে রাখা হয়, যার ফলে নাপাকীর প্রভাব ও গন্ধ গোশতের ভেতর চলে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে ঐ মুরগীর গোশত খাওয়া নাজায়েয হয়ে যাবে। দলিল-
Surah An-Nahl, Verse 114:
فَكُلُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ حَلَالًا طَيِّبًا وَاشْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ
অতএব, আল্লাহ তোমাদেরকে যেসব হালাল ও পবিত্র বস্তু দিয়েছেন, তা তোমরা আহার কর এবং আল্লাহর অনুগ্রহের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর যদি তোমরা তাঁরই এবাদতকারী হয়ে থাক। সূরা নাহল-১১৪
আর যেসব মুরগী সাধারণ নিয়মে ড্রেসিং করা হয় (অর্থাৎ অধিক সময় ফুটন্ত পানিতে চুবিয়ে রাখা হয় না) সেগুলোও রান্না করার পূর্বে ভালোভাবে ধুয়ে পাক করে নেওয়া জরুরি।
উল্লেখ্য, ড্রেসিংয়ের প্রচলিত পদ্ধতি কিছুটা সংশোধনযোগ্য। এতে আপত্তিকর বিষয় রয়েছে।
সারকথা হলো, ড্রেসিং করার আগে মুরগির নাপাক অঙ্গ থেকে বর্জ্য অপসারণ করা উচিত। মুরগির রক্ত বা বিষ্ঠা বা অন্য কোন কারণে নাপাক থাকলে, সেই নাপাক পানিতে চুবানোর কারণে যদি গোশতের স্বাদ-ঘ্রাণে পরিবর্তন হলে, তাহলে সেই মুরগি খাওয়া হারাম। তবে গোশতের স্বাদ-ঘ্রাণে পরিবর্তন না হলে খাওয়া যাবে।
والله اعلم بالصواب