দু‘আ-১৭৪
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْۤ أَعُوْذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوْبَتِكَ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْكَ لَاۤ أُحْصِيْ ثَنَآءً عَلَيْكَ، أَنْتَ كَمَاۤ أَثْنَيْتَ عَلٰى نَفْسِكَ. اَللّٰهُمَّ إِنَّا نَعُوْذُ بِكَ مِنْ أَنْ نَزِلَّ أَوْ نُزِّلَ، أَوْ نُضِلَّ أَوْ نَظْلِمَ أَوْ يُظْلَمَ عَلَيْنَا، أَوْ نَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيْنَا، أَوْ أَضِلَّ أَوْ أُضَلَّ، أَعُوْذُ بِنُوْرِ وَجْهِكَ الْكَرِيْمِ الَّذِيْ، أَضَآءَتْ لَهُ السَّمٰوٰتُ، وَأَشْرَقَتْ لَهُ الظُّلُمَاتُ، وَصَلُحَ عَلَيْهِ أَمْرُ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ أَنْ تُحِلَّ عَلَيَّ غَضَبَكَ وَتُنْزِلَ عَلَيَّ سَخَطَكَ، وَلَكَ الْعُتْبٰى حَتّٰى تَرْضٰى، وَ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِكَ. اَللّٰهُمَّ وَاقِيَةً كَوَاقِيَةِ الْوَلِيْدِ. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ الْأَعْمَيَيْنِ : السَّيْلِ وَالْبَعِيْرِ الصَّؤُوْلِ.
ইয়া আল্লাহ! আমি আশ্রয় নিচ্ছি আপনার অসন্তুষ্টি থেকে আপনার সন্তুষ্টির, আপনার শাস্তি থেকে আপনার ক্ষমা ও নিরাপত্তার এবং আশ্রয় নিচ্ছি আপনার কাছ থেকে আপনারই কাছে। আমি আপনার গুণ-গান করে শেষ করতে পারব না। আপনি তো ঐ প্রশংসারই উপযুক্ত, যা স্বয়ং নিজের সম্বন্ধে করেছেন।১৭৭ ইয়া আল্লাহ! আমরা আপনার আশ্রয় নিচ্ছি পদস্খলিত হওয়া থেকে বা পদস্খলিত করা থেকে কিংবা কাউকে পথভ্রষ্ট করা থেকে অথবা কারো উপর জুলুম করা থেকে বা কারো জুলুমের শিকার হওয়া থেকে, অজ্ঞতাসুলভ আচরণ থেকে কিংবা অজ্ঞতার শিকার হওয়া থেকে কিংবা গোমরাহ হওয়া থেকে বা কাউকে গোমরাহ করা থেকে। আমি আপনার পবিত্র সত্তার ঐ জ্যোতির আশ্রয় নিচ্ছি, যা আকাশমণ্ডলীকে আলোকিত করেছে এবং যার দ্বারা আঁধারসমূহ ঝলমল করে উঠেছে আর যার দ্বারা দুনিয়া-আখিরাতের সকল বিষয় দুরস্ত হয়েছে।১৭৮ (আশ্রয় নিচ্ছি) যেন আমার উপর আপনার গজব ও নারাজি আপতিত না হয়। আপনিই তোশামোদ পাবার হক্বদার রাজি হওয়া পর্যন্ত। আর (গুনাহ থেকে) সুরক্ষা ও (নেক আমলের) শক্তি শুধু আপনারই সাহায্যে হয়। ইয়া আল্লাহ! আমি শিশুর মতো তত্ত্বাবধান চাই।১৭৯ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুই অন্ধের অনিষ্ট থেকে - (পানির) ঢল ও আক্রমণকারী উট। (আরবে অতর্কিত বিপদ বোঝাবার জন্য এ দুটি বিষয়কে দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়।)১৮০
-কানযুল উম্মাল
সনদসহ মতন:
أخرجه أحمد في "مسنده" (751) ، والترمذي في "سننه" (3566) ، وأبو داود في "سننه" (1747) ، من حديث علي بن أبي طالب رضي الله عنه ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ فِي آخِرِ وِتْرِهِ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ ، لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ ، أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ .
১৭৭. বড় বড় আরিফও অবশেষে হাল ছেড়ে দিয়ে এ কথাই বলেছেন যে, আপনার হামদ ও ছানার হক্ব আমরা আদায় করতে পারব না। তা শুধু আপনার পক্ষেই সম্ভব।
اے بروں از وہم وقال وقیل من
خاک بر فرق من و تمثیل من
হে মহান! যিনি আমাদের সকল বর্ণনা ও কল্পনার ঊর্ধ্বে, ছাই আমাদের মিল ও অমিল বর্ণনায়। আরো কিছু বিষয়ের জন্য দেখুন টীকা ১০৯।
১৭৮. অর্থাৎ আপনার সত্ত্বার জ্যোতিই দুনিয়া-আখিরাতের সকল বিষয়কে স্থিতিতে রেখেছে।
وَاَشْرَقَتْ لَهُ الظُّلُمَاتُ অর্থাৎ যদি ঐ জ্যোতি না হত, তাহলে আজ যত আলোর উদ্ভাস সবই হত অন্ধকার।
১৭৯. অর্থাৎ মমতাময়ী মা যেভাবে তার শিশু সন্তানকে এক মুহূর্তের জন্যও চোখের আড়াল হতে দেন না, অনুক্ষণ তার যতœ ও তত্ত্বাবধান করেন, এ বান্দা নিজের জন্যও সব বিষয়ে এমনই তত্ত্বাবধান প্রার্থনা করছে।
১৮০. আরবে অতর্কিত বিপদ বোঝাবার জন্য এ দুটি বিষয়কে দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়।