আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১২৯৪৮: স্ত্রীর রেখে যাওয়া স্বর্ণ-অলংকারের মালিক কে হবে? যা মোহরানা হিসেবে পেয়েছিল।

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৯৪৮: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমার জানার বিষয় হল মোহরানা হিসেবে স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীকে দেওয়া স্বর্ণ অলংকার রেখে কিছুদিন পরেই স্ত্রী মারা যান। স্ত্রী কাউকে বলে যান নাই যে এই সম্পদের মালিক ওমুক ব্যক্তি হবে। সেই ক্ষেত্রে এই সম্পদের মালিক কে হবে।

তারিখ:  ০৫/০৪/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা জামাল হোসেন  থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, মোহরানার হকদার স্ত্রী সুতরাং সে তার মালিক।


দ্বিতীয় কথা হলো, মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পদই হচ্ছে মীরাছ, যা মৃতের নিকটাত্মীয়রা লাভ করে।

মীরাছ হ’ল মৃত ব্যক্তি হ’তে তার জীবিত ওয়ারিছদের নিকট মালিকানা স্থানান্তরিত হওয়া। যা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অথবা শারঈ যেকোন হক হোক।


সুতরাং সুতরাং স্ত্রী পরিত্যক্ত সমুদয় সম্পদ ওসিয়াত এবং ঋণ পরিশোধের পর আত্মীয়দের মধ্য মিরাস অনুসারে বণ্টন হবে। দলিল -

Surah An-Nisa, Verse 12:

وَلَكُمْ نِصْفُ مَا تَرَكَ أَزْوَاجُكُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّهُنَّ وَلَدٌ فَإِن كَانَ لَهُنَّ وَلَدٌ فَلَكُمُ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْنَ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِينَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ وَلَهُنَّ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْتُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّكُمْ وَلَدٌ فَإِن كَانَ لَكُمْ وَلَدٌ فَلَهُنَّ الثُّمُنُ مِمَّا تَرَكْتُم مِّن بَعْدِ وَصِيَّةٍ تُوصُونَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ وَإِن كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلَالَةً أَوِ امْرَأَةٌ وَلَهُ أَخٌ أَوْ أُخْتٌ فَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ فَإِن كَانُوا أَكْثَرَ مِن ذَٰلِكَ فَهُمْ شُرَكَاءُ فِي الثُّلُثِ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَىٰ بِهَا أَوْ دَيْنٍ غَيْرَ مُضَارٍّ وَصِيَّةً مِّنَ اللَّهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَلِيمٌ

আর, তোমাদের হবে অর্ধেক সম্পত্তি, যা ছেড়ে যায় তোমাদের স্ত্রীরা যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি তাদের সন্তান থাকে, তবে তোমাদের হবে এক-চতুর্থাংশ ঐ সম্পত্তির, যা তারা ছেড়ে যায়; ওছিয়্যতের পর, যা তারা করে এবং ঋণ পরিশোধের পর। স্ত্রীদের জন্যে এক-চতুর্থাংশ হবে ঐ সম্পত্তির, যা তোমরা ছেড়ে যাও যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তবে তাদের জন্যে হবে ঐ সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ, যা তোমরা ছেড়ে যাও ওছিয়্যতের পর, যা তোমরা কর এবং ঋণ পরিশোধের পর। যে পুরুষের, ত্যাজ্য সম্পত্তি, তার যদি পিতা-পুত্র কিংবা স্ত্রী না থাকে এবং এই মৃতের এক ভাই কিংবা এক বোন থাকে, তবে উভয়ের প্রত্যেকে ছয়-ভাগের এক পাবে। আর যদি ততোধিক থাকে, তবে তারা এক তৃতীয়াংশ অংশীদার হবে ওছিয়্যতের পর, যা করা হয় অথবা ঋণের পর এমতাবস্থায় যে, অপরের ক্ষতি না করে। এ বিধান আল্লাহর। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। সূরা নিসা-১২


সারকথা হলো,  আপনার প্রশ্নের বাংলা মোতাবেক যেহেতু তিনি ওসীহত করে যাননি যদি কোন ঋণ থাকে তা পরিশোধ করার পর তাকে এদের মধ্যে মীরা সংসারে বন্টন করে নেবে।


  والله اعلم بالصواب