স্ত্রী কষ্ট পাবে ভেবে একাধিক বিয়ে না করা সাওয়াবের কাজ।
যোগ্যতা অর্জন হলে ও ইনসাফ ঠিক রাখতে পারলে যদিও একাধিক বিয়ে বৈধ, কিন্তু স্ত্রীর কষ্ট বুঝে কোন স্বামী যদি তার এই বৈধ হকটা ছেড়ে দেয় ও একাধিক বিয়ে না করে এক স্ত্রীর উপর সন্তুষ্ট থাকে, তাহলে আল্লাহর কাছে সে সাওয়াবের অধিকার লাভ করবে।
আল্লামা উমর ইবনে নুজাইম রহ. বলেন,
আর যদি কেউ একাধিক বিয়ে ছেড়ে দেয়, যাতে স্ত্রীর কোমল অন্তর কষ্ট না পায়, এবং স্ত্রীর উপর সহজ করে, তাহলে ঐ স্বামী সাওয়াবের অধিকারী হবে। কেননা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উম্মতের উপর সদয় হবে আল্লাহ তাআলা তার উপর সদয় হবেন। (কানজুল উম্মাল নং ৫৪১০)
স্ত্রীকে দুশ্চিন্তা থেকে বাঁচাতে একাধিক বিয়ে না করা সাওয়াবের কাজ বলে গণ্য করা হবে।
এইজন্য ইমাম আবু হানিফা রহ. স্বাধীন একজন স্ত্রীর উপর সীমাবদ্ধতাকে উত্তম হিসেবে গ্রহণ করেছেন। (আন নাহরুল ফায়েক খ.২ পৃ.১৯৭)
ولو لم يفعل (أي لم يزد على واحدة) كي لا يدخل الغم على ضعيف القلب ورَقَّ عليها فهو مأجور، قال عليه الصلاة والسلام: «من رق لأمتي رق الله له». {كنز العمال رقم: ٥٤١٠}، وتركُ إدخال الغم عليها يُعد من الطاعة، والإمام اختار في هذا أفضلية الاكتفاء بالواحدة الحرة. [النهر الفائق شرح كنز الدقائق، ١٩٧/٢].
ফাতওয়ায়ে শামীতে রয়েছে,
কিন্তু স্ত্রীকে দুশ্চিন্তা থেকে বাঁচানোর জন্য অন্য বিয়ে ছেড়ে দিলে সাওয়াব পাবে। কেননা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে আমার উম্মতের উপর সদয় হবে আল্লাহ তাআলা তার উপর সদয় হবেন।
ﻟﻜﻦ ﻟﻮ ﺗﺮﻙ (أي التزوج بأخرى) ﻟﺌﻼ ﻳﻐﻤﻬﺎ ﻳﺆﺟﺮ ﻟﺤﺪﻳﺚ «ﻣﻦ ﺭﻕ ﻷﻣﺘﻲ ﺭﻕ اﻟﻠﻪ ﻟﻪ» ﺑﺰاﺯﻳﺔ.•
الدر المختار ٤٨/٣
আল্লামা ইবনে নুজাইম মিসরী রহ. বলেন, ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
যদি স্বামী তার স্ত্রীর উপর একাধিক বিয়ে না করে, যাতে সে তার কাছে থাকাকালীন দুশ্চিন্তাগ্রস্থ না হয়, তাহলে এই স্বামী সাওয়াবের অধিকারী হবে।
قالوا: إذا ترك التزوج على امرأته كيلا يدخل الغم على زوجته التي عنده كان مأجورا. [البحر الرائق ١٨٧/٣]
ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতেও এমনটি রয়েছে,
والامتناعُ أولى، ويُؤجر بترك إدخال الغم عليها ﻛﺬا ﻓﻲ اﻟﺴﺮاﺟﻴﺔ.
الفتاوى الهندية ٣٤١/١
ফাতওয়ায়ে তাতারখানিয়াতেও এমনটি রয়েছে,
ويُؤجر بترك إدخال الغم عليها
الفتاوى التاتارخانية ٣٦٠/٤
🖋️ মাওলানা নূরুল আজিম হাফিঃ