*খুবই শিক্ষণীয় ঘটনা। মোটামুটি দীর্ঘ। তবে আপনাদের মূল্যবান সময়ের কথা মাথায় রেখে একদম ছোট করে লিখছি।*
আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ুতি র. এর কিতাবাদি থেকে আল্লামা ইবনে হাজার হাইতামি র. রসদ সংগ্রহ করে নিজ কিতাবের রওনক বৃদ্ধি করেন।
কিন্তু যে কারণেই হোক, হাইতামি র. সে ক্ষেত্রে আল্লামা সুয়ুতি র. এর ঋণ স্বীকার করেননি।
ব্যাপারটা নিয়ে দুজন মুখোমুখি হন। শায়খুল ইসলাম যাকারিয়া আনসারি র. কে সালিস মেনে দেনদরবারও হয়।...
যাই হোক, হাইতামি র. এর এহেন কাজে সুয়ুতি র. মনে খুবই কষ্ট পান। নাখোশ ও অসন্তুষ্ট হন।
এত বড় মানুষ! বেযার(নারাজ) হলে উপায় আছে?
ফলে, আল্লামা হাইতামি পণ করলেন— যে করেই হোক, আল্লামা সুয়ুতির নারাযি দূর করতে হবে।
অতএব, সংকল্পানুযায়ি তিনি পায়ে হেটে কায়রো থেকে রওয়ানা হন। গন্তব্য আস-ইয়ুত, আল্লামা সুয়ুতির আবাসস্থল। বহুদূরের পথ।
শেষমেশ আল্লামা সুয়ুতির দরজায় পৌঁছে তিনি আওয়াজ দেন। সুয়ুতি জানতে চাইলেন, কে?
হাইতামি বললেন, আমি আহমাদ। খালি পা ও খালি মাথায় আপনার দরজায় দাঁড়িয়ে আছি। উদ্দেশ্য, আপনার মনের কষ্ট দূর করে আপনাকে খুশি করা।
সুয়ুতি র. ভেতর থেকেই উত্তর দিলেন — আমি মন থেকে সকল কষ্ট ঝেড়ে ফেলে দিলাম। ওয়াসসালাম...
*এরপর তিনি দরজাও খোলেননি। হাইতামির সাথে দেখাও করেননি।*
বাপরে বাপ, সাংঘাতিক ব্যাপার।
তাই কারো লেখা কপি করলে ঋণস্বীকার করা চাই।
বিষয়টিকে ছোট করে দেখা ভুল। এটা এক ধরনের মানসিক বৈকল্য। দাম্ভিকতার পরিচায়ক। যা লেখক বা সংগ্রাহকের মনকে ক্ষতাক্ত করে!
আল্লাহ আমাদের সুমতি দান করুন!
আমিন!
[বিস্তারিত জানতে 'যফরুল মুহাসসিলীন'-এ সুয়ুতির জীবনী দ্রষ্টব্য ]