জিজ্ঞাসা-১২৯৯৩:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। স্বামী নিরুদ্দেশ হওয়ার ২ বছর পরে স্ত্রী অন্যত্র বিবাহ করেন। পরবর্তীতে পূর্বের স্বামী ফিরে আসলে এই স্ত্রী লোকের বিধান কি হবে দয়া করে জানালে ভালো হয়।
তারিখ: ১৪/০৫/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা মো. সাইফুল ইসলাম নোয়াখালী থেকে।
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো,
ইসলামি শরিয়াহ ও বাংলাদেশে মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ সাল মোতাবেক
স্ত্রী যেসব কারণে তালাক দেওয়ার অধিকার অর্জন করে:
- স্বামী যদি চার বছর নিরুদ্দেশ থাকেন।
শরয়ি দলিল-
স্বামী ৪ বছর নিরুদ্দেশ থাকলে, স্ত্রী তালাকের মাধ্যমে অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে তার দলিল হলো নিম্নরূপ:
হাদিস/ আসার নং -০১
عن عُمرَ رَضِيَ اللهُ عنه في امرأةِ المفقودِ أنَّه: (أمَرَها أن تتربَّصَ أربَعَ سِنينَ مِن حينَ رَفَعَتْ أمْرَها إليه، ثمَّ دعا ولِيَّه فطَلَّقَ، وأمَرَها أن تعتَدَّ أربعةَ أشهُرٍ وعَشرًا، قال: ثمَّ جئتُ بعدما تزوَّجَتْ فخَيَّرَني عمَرُ بينها وبين الصَّداقِ الذي أصدَقْتُ.أخرجه من طرقٍ: عبدُ الرزاق في ((المصنف)) (12320) واللفظ له، وابن أبي شيبة في ((المصنف)) (16985)، والبيهقي (15977). ذكَرَ الشافعي في ((الأم)) (8/657)، وابن تيمية في ((مجموع الفتاوى)) (20/576)، وابن القيم في ((إعلام
অর্থ: নিখোঁজ ব্যক্তির স্ত্রীর বিষয়ে উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর সূত্রে: (তিনি তাকে তার বিষয়টি তাঁর কাছে আনার সময় থেকে চার বছর অপেক্ষা করতে বলেছিলেন, তারপর তিনি তাকে ডাকলেন। তার অভিভাবক এবং তিনি তালাক দিয়েছিলেন, এবং তিনি তাকে চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালনের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিনি বলেন, তারপর আমি তার বিবাহের পর আসি এবং উমর আমাকে তার এবং তার মধ্যে যে মোহরানাটি বিশ্বাস করেছিলাম তা দিয়েছিলেন। তাখরিজ: মুসান্নেফে আব্দুর রাজ্জাক -১২৩২০; মুসান্নেফে ইবনে আবি শায়বা -১৬৯৮৫
হাদিস/ আসার নং -০২
عن ابنِ المسَيِّب: (أنَّ عُمَرَ وعُثمانَ قَضَيا في المفقودِ أنَّ امرأتَه تتربَّصُ أربَعَ سِنينَ وأربعةَ أشهرٍ وعَشرًا بعد ذلك، ثمَّ تُزَوَّجُ، فإن جاء زوجُها الأوَّلُ خُيِّرَ بين الصَّداقِ وبينَ امرأتِه.أخرجه عبد الرزاق في ((المصنف)) (12317) واللفظ له، وابن أبى شيبة في ((المصنف)) (16988). صحَّحه ابن حزم في ((المحلى)) (9/371).
অর্থাৎ ইবনুল মুসাইয়্যিব রহ থেকে বর্ণিত। উমর ও উসমান নিখোঁজ ব্যক্তির বিষয়ে রায় দেন যে তার স্ত্রী চার বছর, চার মাস এবং দশ দিন অপেক্ষা করেছিল, তারপরে তিনি বিয়ে করেছিলেন, এবং যদি তার প্রথম স্বামী আসে, তাকে যৌতুক এবং তার স্ত্রীর মধ্যে পছন্দ দেওয়া হয়েছিল।তাখরিজ: মুসান্নেফে আব্দুর রাজ্জাক -১২৩১৭; মুসান্নেফে ইবনে আবি শায়বা -১৬৯৮৮; আলমহল্লি-৯/৩৭১, ইবনে হাযম রহ.
সারকথা হলো, আপনার প্রশ্নের বর্ণনা মোতাবেক উক্ত স্ত্রীর দ্বিতীয় বিবাহ শুদ্ধ হয়নি, হারাম কবিরা গুনাহ হয়েছে, এখন খাঁটি দিলে তওবা করতে হবে। এখনও প্রথম স্বামীর স্ত্রী রয়েছে। তাই তাকে নিয়ে সংসার করতে পারবে।
والله اعلم بالصواب