আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

আসলাফের আমল-১৯: হজরত হাতিম আসাম্মা রহ় এর সালাত কেমন ছিলেন।

No Comments

 



হযরত ঈছাম বিন ইউসুফ। উপস্থিত হলেন হযরত হাতিম আসাম্মা ( রহমাতুল্লাহি আলাইহি) - এর মজলিসে। 

প্রশ্ন করেন,"হে হাতিম! আপনি কিভাবে সালাত আদায় করেন? " 

উত্তরে তিনি বলেন, "প্রথমে প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্য     

দু'ভাবে ওযু করে নেই। "

হযরত ঈছাম অবাক হন। প্রকাশ্য ওযুর কথা জানি, অপ্রকাশ্য ওযু, সেটা আবার কী?

উত্তরে হযরত হাতিম বলেন, আমি সাতটি বস্তু থেকে নিজেকে পবিত্র করি। সেগুলো কী? 


হযরত হাতিম বলতে থাকেন—

* অতীত গুনাহের জন্য তওবা করা। 

* অনুশোচনা করা।

* দুনিয়ার ভালোবাসা বর্জন। 

* মানুষের প্রশংসা।

* ক্ষমতার লোভ।

* হিংসা। 

* বিদ্বেষ থেকে পবিত্র হই।

যখন সালাতে দাঁড়াই,আমি মনে করি আল্লাহ আমাকে দেখছেন, জান্নাত আমার ডানে, জাহান্নাম আমার বামে। মালাকুল মউত আমার পিছনে, আমি দাঁড়িয়ে পুলসিরাতের উপরে। 


সত্যিই অসাধারণ যুক্তি। আমরা তো অপ্রকাশ্য ওযু আজও করতে পারিনি। তাই আজও সালাতে স্বাদ মিটেনি। আমার রব দেখছেন। আমার মৃত্যু পিছনে জড়িয়ে। আমি আছি পুলসিরাতের উপর দাঁড়িয়ে। এমন ভয় তো দিলে ঢুকেনি, তাই আমাদের সালাতেও মন ঝুঁকেনি। 


আচ্ছা আমাদের নামাযে এই অনীহা কেন? একটাই উত্তর দুনিয়াদারি। আমরা নামায ছেড়ে প্রতিনিয়ত রুজি-রুটির সন্ধানে ছুটছি, অথচ সালাতের মাধ্যমে সব মিলে। 


আল্লাহ তায়ালা বলেন ---

" হে রাসূল! আপনি আপনার পরিবার - পরিজনকে নামাযের আদেশ করতে থাকুন। নিজেও তা সঠিকভাবে আদায় করুন। আমি তো আপনার কাছে রিযিক চাই না, রিযিকের ব্যবস্থা তো আমি আপনাকে করে দেব। " 

(সূরা - ত্বহা,আয়াতঃ ১৩২)