জিজ্ঞাসা-১৩০১২:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। মুহতারাম, মুসাফির অবস্থায় জুমুয়ার নামাজের হুকুম কি? অনুগ্রহ পূর্বক জানাবেন।
তারিখ: ০৭/০৬/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা ওবায়দুর রহমান ফরিদপুর থেকে।
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, আলেমদের ঐক্যমতে মুসাফিরের ওপর জুমুআর নামাজ আদায় করা ওয়াজিব/ফরজ নয়। যেমন-
لا جُمُعةَ على المسافِرِ، وهذا باتِّفاقِ المذاهبِ الفقهيَّةِ الأربعة: الحَنَفيَّة، والمالِكيَّة، والشافعيَّة، والحَنابِلَة، وهو قولُ طائفةٍ مِن السَّلَفِ وبه قال أكثرُ العلماءِ، وحُكيَ الإجماعُ على ذلك
الأدلَّة
মুসাফিরের জন্য জুমার নামায নেই এবং এটি চারটি মাযহাবের সাথে একমত: হানাফী, মালেকী, শাফেয়ী এবং হাম্বলী মাযহাবের, একদল সালাফের মত এবং অধিকাংশ ওলালামের মতামত, এবং ইজমা বা ঐকমত্য বর্ণিত হয়েছে।
দলিল-
হাদিস নং-০১
عن جابرٍ رَضِيَ اللهُ عنه، أنَّ النبيَّ صلَّى اللهُ عليه وسلَّم: ((لَمَّا وصَل بَطنَ الوادي يومَ عرفةَ نزَلَ فخَطَبَ النَّاسَ، ثم بعدَ الخُطبةِ أَذَّنَ بلالٌ، ثمَّ أقام فَصلَّى الظهرَ، ثمَّ أقام فصلَّى العَصرَ ))
জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: (আরাফাতের দিনে তিনি উপত্যকায় পৌঁছে অবতরণ করেন এবং লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন, তারপর খুতবা শেষে বিলাল সালাতের জন্য আযান দিলেন, তারপর একাত্ম দিলেন এবং যোহরের সালাত আদায় করলেন, তারপর তিনি ইকামত দিলেন এবং আসরের সালাত আদায় করলেন। তাখরিজ: মুসলিম-১২১৮
নোট: বিশাল হাদিস শরিফের অংশ বিশেষ।
হাদিস নং-০২
وعن جابر ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : { من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فعليه الجمعة يوم الجمعة ، إلا مريضا ، أو مسافرا ، أو امرأة ، أو صبيا ، أو مملوكا } . رواه الدارقطني
جابر بن عبدالله | المحدث : الشوكاني | المصدر : نيل الأوطار
الصفحة أو الرقم : 3/279 | خلاصة حكم المحدث : في إسناده ابن لهيعة ومعاذ بن محمد
অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন জুমার দিনে জুমাআর সালাত আদায় করে। তবে অসুস্থ, মুসাফির, নারী-শিশু, গোলাম এর ওপর আবশ্যক নয়। সূত্র: নায়লুল আওতার-৩/২৭৯
হাদিস নং-০৩
ليس على مسافِرٍ جمعَةٌ
الراوي : عبدالله بن عمر | المحدث : الألباني | المصدر : صحيح الجامع
الصفحة أو الرقم: 5405 | خلاصة حكم المحدث : صحيح
التخريج : أخرجه الطبراني في ((المعجم الأوسط)) (818)، والدارقطني (2/4)
অর্থ: মুসাফিরের জন্য জুমাআর সালাত নেই। তাখরিজ: তাবারানি-৮১৮
সারকথা হলো, মুসাফির অবস্থায় জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ না হলেও সময় সুযোগ থাকলে আদায় করাই উত্তম। দলিল-
Surah Al-Baqara, Verse 184:
فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ وَأَن تَصُومُوا خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার। সূরা বাকারা-১৮৪
والله اعلم بالصواب