জিজ্ঞাসা-১৯৩: বিজ্ঞজনদের নিকট নিম্নোক্ত মাসয়ালার সমাধান কামনা করছি।
১, কেউ নিজের পালিত পশু দিয়ে কুরবানির নিয়ত করার পর তাতে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে শরীকী নিতে পারবে কিনা??
২, অথবা উক্ত নিয়তকৃত পশু বিক্রি করে শরীকী হয়ে কুরবানি করলে তার কুরবানী সহীহ হবে কিনা।
রেফারেন্স সহ উল্লেখ করলে উপকৃত হতাম। জাযাকাল্লাহ খায়রান
জবাব: যদি কেউ গরু, মহিষ বা উট একা কুরবানী দেওয়ার নিয়তে কিনে আর সে ধনী হয় তাহলে ইচ্ছা করলে অন্যকে শরীক করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে একা কুরবানী করাই শ্রেয়। শরীক করলে সে টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম। আর যদি ওই ব্যক্তি এমন গরীব হয়, যার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়, তাহলে সে অন্যকে শরীক করতে পারবে না। এমন গরীব ব্যক্তি যদি কাউকে শরীক করতে চায় তাহলে পশু ক্রয়ের সময়ই নিয়ত করে নিবে।-কাযীখান ৩/৩৫০-৩৫১, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১০
وان كان فقيرا معسرا فقد أوجب بالشراء فلا يجوز أن يشرك فيها، وكذا لو أشرك فيها ستة بعد ما أوجبها لنفسه لم يسعه لأنه أوجبها كلها لله تعالى، وإن أشرك جاز ويضمن ستة أسباعها (الفتاوى الهندية-5\304، جديد-5\351
অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি অর্থসংকটে নিপতিত হতদরিদ্র হয়ে থাকে, (তাহলে প্রাথমিকভাবে তার উপর কুরবানী আদায় করা আবশ্যক হবেনা।) তবে কুরবানির জন্য পশু ক্রয় করা মাত্রই পশুটিকে কুরবানি করা তার জন্য আবশ্যক হয়ে পড়বে। তখন সেই এই পশুতে অন্য কাউকে অংশীদার বা শরীকানা হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেনা। এটি করা তার জন্য বৈধ নয়। অনুরূপভাবে কোন ব্যক্তি যদি কুরবানীর পশুর সম্পূর্ণ অংশ নিজের জন্য ক্রয় করার পর আরো ৬ জনকে শেয়ারার বা অংশীদার হিসেবে গ্রহণ করে, তাহলে তার জন্য এমনটা করার অবকাশ নেই। তাসত্ত্বেও সে আরো ছয়জনকে তার কুরবানীর পশুর শেয়ারার বা অংশীদার বানালে কুরবানী তো আদায় হয়ে যাবে বিলক্ষণ, তবে তাকে সেই অবশিষ্ট ছয়ভাগের অর্থদন্ড (সাদাকা আদায়ের মাধ্যমে) দেয়া লাগবে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৩০৪/৫, জাদীদ-৩৫১/৫)
সুতরাং আপনার উপরোক্ত প্রশ্নের ছুরতে বলা যায়, উক্ত ব্যক্তি যদি ধনি হয়, তাহলে অন্যকে শরিক করতে পারবে
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিচ্ছেন,