আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩০০৭: তুমি মিথ্যা বলা ছেড়ে দাও। এ হাদিসটির রেফারেন্স কী?

No Comments

 




জিজ্ঞাসা-১৩০০৭: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আসসালামুয়ালাইকুম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তিকে নসিহত করার সময় বলেছিলেন তুমি মিথ্যা ছেড়ে দাও। হাদীসটি রেফারেন্স সহ প্রয়োজন। জাঝাকাল্লাহ। 

তারিখ: ২৯/০৫/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা আসাদ  ঢাকা থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, আপনার প্রশ্নের বর্ণনা মোতাবেক হাদিসটি নিম্নরূপ:

 قال رجل للنبي صلى الله عليه وسلم : أنا أستسر بخلال أربع : الزنا ، والسرقة ، وشرب الخمر ، والكذب ، فأيتهن شئت تركت لك يا رسول الله ؟

قال : دع الكذب .

فلما تولى همَّ بالزنا ، فقال : يسألني ، فإن جحدت نقضته ما جَعلتُ له ، وإن أقررت حددت أو رجمت .

ثم هم بالسرقة ، ثم في شرب الخمر ، ففكر في مثل ذلك .

فرجع إليه فقال : قد أخذت علي السبيل ، قد تركتهن أجمع " انتهى.

ومثله في كتاب " التذكرة الحمدونية " (ص/301)، والكامل في الأدب للمبرد (2/156)


অর্থাৎ জনৈক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লামকে বললেন, আমি গোপনে চারটি মন্দ অভ্যাসের সাথে জড়িত। ব্যভিচার, চুরি, মদ পান ও মিথ্যা বলা। আল্লাহ রাসুল, এগুলোর মধ্যে হতে যে অভ্যাসটি আপনি চাইবেন, আপনার সম্মানার্থে আমি তা চিরতরে বর্জন করব । তখন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বললেন, তুমি মিথ্যা ছেড়ে দাও। 


অতঃপর যখন নবীজির দরবার থেকে ফেরত আসলো, তখন তার মনে ব্যভিচার করার বাসনা জাগ্রত হল। কিন্তু তখনই তার মনে এই ভাবনার উদয় হল যে, আমি করেছে কিনা জানতে চাওয়া হলে, আমি যদি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অস্বীকার করে বসি, তাহলে তো আল্লাহর রাসূলকে দেওয়া অঙ্গীকার ভেঙে ফেলা হবে। আর যদি ব্যভিচার করেছি বলে স্বীকার করি, তাহলে তো আমার ওপর শরীয়ত নির্ধারিত শাস্তি মোতাবেক আইন কার্যকর হবে। এবং আমাকে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করা হবে। এই কথা ভেবে সে ব্যভিচার থেকে নিবৃত থাকল। 

পরক্ষণেই তার মনে চুরি  করার আগ্রহ জাগ্রত হল। সে আগের কথা ভেবে এখান থেকেও বিরত থাকলো।  পরক্ষণেই তার মনে মদ পান   করার নেশা জাগ্রত হল। সে আগের কথা ভেবে এখান থেকেও বিরত থাকলো।


তারপর সে নবীজির  দরবারে ফেরত এসে বলল, আমি সঠিক পথের সন্ধান পেয়েছি। আমি সকল মন্দ অভ্যাস বর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ( আত-তাযকিরাতুল হামদানিয়্যাহ- ৩০১,  মুবাররাদ প্রণীত আল-কামিল ফিল আদাব- ২/১৫৬)

  والله اعلم بالصواب