আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩০০৬: أكبر এর পরিবর্তে الله اكبار বললে নামাজ হবে কি

No Comments

 




জিজ্ঞাসা-১৩০০৬: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। কেউ যদি الله أكبر এর স্থলে بকে মদ করে পড়লে । যেমনঃ الله اكبار এবং حمده এর স্থলে م এবং د কে মদ করে পড়লে। যেমনঃ حميدا পড়লে অর্থগত দিক থেকে কতটুকু পরিবর্তন হবে এবং এরূপ পাঠ করার কারনে নামাজের কোন সমস্যা হবে কি না? 

তারিখ: ২৬/০৫/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  আবুল কালাম আজাদ কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি ।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো

الله أكبر 

এর অর্থ সবাই আমরা জানি, আল্লাহ মহান।

আর যদি 'বা' কে মদ করে اكبار

বললে অর্থ হবে ঢোল (তবলা- বাদ্যযন্ত্র)

الله اكبار

এর অর্থ হবে আল্লাহ ঢোল ওয়ালা

মূল কথা হলো অর্থটি পরিবর্তন হচ্ছে।



আর 

سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ

যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য প্রশংসা করেন, আল্লাহ তাআলা (ওই ব্যক্তির প্রশংসা) শোনেন।’ অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা (তাসবিহ/তাহমিদ) প্রশংসাকারীর প্রশংসা শোনেন।

এখন حمد (হামিদা) পরিবর্তে حميدا (হামিদান) পাঠ করলে অর্থের তেমন পরিবর্তন আসবে না। 

কারণ حميد  শব্দটি اسم فاعل مبالغة   আর ইসমে ফায়েলের মধ্যে ফেলের অর্থ রয়েছে।


আর حميدا শব্দটি المنصوب لاختصاص অর্থাৎ বিশিষ্টতাজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে নসব প্রদান করা হয়েছে।



সারকথা হলো,  الله أكبر এর পরিবর্তে الله اكبار বললে নামাজ ফাসাদ হয়ে যাবে।


حمد এর পরিবর্তে حميدا বললে নামাজের কোন ক্ষতি নেই।



  والله اعلم بالصواب