আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৪১: খেলা-খুলার জন্য দুআ করা জায়েজ ?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৪১: খেলা-খুলার জন্য দুআ করা জায়েজ ? তারিখ-১২/০৬/২০২২ 


জবাব: খেলাধুলায় জায়েজ না নাজাজের শর্ত:


ইসলাম নির্দিষ্ট কোনো খেলাধুলাকে জায়েজ বা নাজায়েজ বলে নাই; বরং তিনটি শর্তের সঙ্গে জায়েজ-নাজায়েজের সম্পর্ক। তা হলো, (১) শারীরিক উপকার সাধন (২) ইসলামি শরিয়াতের কোনো বিধান লঙ্ঘন না হওয়া (৩) আর্থিক ক্ষতিসাধন না হওয়া। এ তিনটি শর্ত যে খেলার মাঝে পাওয়া যাবে তা জায়েজ, আর পাওয়া না গেলে জায়েজ নয়।


যেসব শর্তে খেলাধুলা জায়েজ:


এর ওপর ভিত্তি করে ইসলামি ফকিহরা আরো কিছু বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ফাতোয়া তুলে ধরেছেন। যেকোনো ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ হওয়ার জন্য তাতে নিম্নোক্ত শর্তগুলো উপস্থিত থাকতে হবে-


(১) ধর্মীয় জরুরি কর্তব্য পালন থেকে উদাসীন না করা:


কোনো খেলা বৈধ হতে হলে তার মধ্যে এ বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে যে তার নেশার ঘোর যেন মহান আল্লাহর কোনো ফরজ বিধান পালনের কথা দিব্যি ভুলিয়ে না দেয়। খেলার ছলে যেন ফরজ ছুটে না যায়। যেমন কোনো ফরজ নামাজের সময় খে…


ক্রিকেট খেলার বিধান

যে কোনো ধরনের খেলা নিম্ন প্রদত্ত শর্তসাপেক্ষে জায়েজ আছে।১. খেলার একমাত্র শরীর চর্চা ও মানসিক প্রফুল্লতার উদ্দেশ্যে হওয়া। ২. খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ না করা। ৩. খেলায় জুয়া না থাকা। জয়ী পক্ষকে পরাজিত পক্ষ হতে কোন ধরনের অর্থ প্রদানের শর্ত করা। ৪. শরয়ী সতরের সীমারেখা লংঘন না করা। ৫. শারীরিক ক্ষতি বা অঙ্গহানির আশঙ্কা না থাকা উল্লিখিত শর্তাবলী পাওয়া না গেলে কোনো খেলাই জায়েজ নেই। আর বর্তমানে প্রচলিত ক্রিকেট খেলায় উপরোক্ত শর্তসমূহ পাওয়া গেলে তা জায়েজ হবে। (আল-মাওসূয়াতল ফিক্বহিয়্যা-৩৫/২৬৮, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া- ২৯/২৬৯)



খেলায় জয়লাভের জন্য দুয়া করার বিধান


বর্তমান ক্রিকেট বা ফুটবল খেলায় একাধিক শরীয়ত বিরোধী কাজ থাকায় তা নাজায়েজ। আর শরীয়তে নাজায়েজ কাজের প্রার্থনা করাও নাজায়েজ। তাই খেলায় কোনো এক পক্ষ জেতার দুয়া করাও নাজায়েজ হবে।(ফাতাওয়া শামী-৯/৫৬৫, আল-মাওসূয়াতল ফিক্বহিয়্যা-২/২৬৫)


 


নেট থেকে সংগ্রহিত, মাওলানা শাহজাহান