আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

দাম্পত্য জীবন পরামর্শ-১০: পুত্রবধূকে অনুগত রাখার ব্যবস্থা*

No Comments

 




*পুত্রবধূকে অনুগত রাখার ব্যবস্থা*


এক ব্যক্তি হযরত থানবী (র)-এর দরবারে এসে অভিযোগ করলো যে. পুত্রবধূ তার আনুগত্য করে না, তার কথা শুনে না। তখন থানবী (র) বললেন, পুত্রবধূকে অনুগত রাখার একমাত্র ব্যবস্থা হলো- ছেলেকে তার স্ত্রীসহ পৃথক করে দেয়া। তাদেরকে পৃথক করে দাও, এতে তারা তোমাদের অনুগত ও বশীভূত হতে বাধ্য হবে ইনশাআল্লাহ।


বর্তমান যুগের নারীরা এত বেশী স্বাধীনতা প্রিয় যে, বিয়ের পর স্বামীগৃহে পদার্পণ করা মাত্রই শ্বশুর-শাশুড়ী থেকে পৃথক হওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। স্বামীর পক্ষ হতে দু'চার টাকাকে তারা শ্বশুরের হাজার হাজার টাকার চেয়ে অধিক মূল্যবান মনে করে। ফলে পরিবারে শুরু হয়ে যায় ঝগড়া-কলহ ও বিবাদ-বিশৃংখলা ।


জনৈক হিন্দু হযরত থানবী (র)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে তার পুত্র ও পুত্রবধূ সম্পর্কে অভিযোগ করলো, তারা সব সময় তাদেরকে কষ্ট দেয়, পুত্রবধূ সংসারে কোন কাজ করে না। ছেলেও সর্বদা উত্ত্যক্ত করে। তখন থানবী (র) বললেন, এ সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো, তাদেরকে পৃথক করে দেয়া। তারা পৃথক থাকবে এবং তোমরা পৃথক থাকবে। তাহলে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।


অনেকে সমাজে দুর্নাম হওয়ার ভয়ে মা-বাবা থেকে পৃথক হতে চায় না। মা-বাবার সঙ্গে একসাথে থেকে সর্বদা বিভিন্ন সমস্যা-সংকট ও মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে থাকে। এটা মোটেই সমীচীন নয়। কেননা শান্তি ও সুনাম একসাথে পাওয়া যায় না। শান্তি পেতে হলে কিছু দুর্নাম কামাতেই হবে। আর সুনাম লাভ করার চেয়ে শান্তিতে থাকা পারিবারিক জীবনের জন্য অধিক জরুরী। অতএব, বিয়ের পর পরিবার থেকে পৃথক হয়ে যাওয়াই বর্তমান সময়ের দাবী। পৃথক থেকে আপন উপার্জন হতে সাধ্যমত মা-বাবার খিদমত করে যাবে।


📖 পারিবারিক জীবন 

✒️(আশরাফ আলী থানভী রহমাতুল্লাহি)