*হযরত আশরাফ আলী থানভী রহ. এর দুনিয়া বিমুখতা*
▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️▪️
হযরত থানবী (রহঃ) ইরশাদ করেন, আমি যখন দারুল উলূম দেওবন্দের শিক্ষা শেষ করে ফারেগ হলাম। তখন আমার ইচ্ছা ছিলো, এখন থেকে আমার খরচের বোঝা আমি আর আমার মুহতারাম পিতার উপর দিবো না। কোথাও ছোটখাট একটা কাজ করে আমার প্রয়োজন পূর্ণ করার ব্যবস্থা করবো। কিন্তু মাসে দশ টাকার অধিক উপার্জনের প্রতি কখনো খেয়ালও হতো না। (অথচ হযরত থানবী (রহঃ) ছিলেন একটি ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান তা সত্ত্বেও তিনি নিজের জীবনকে অত্যন্ত সাদাসিধাভাবে পরিচালনা করতে অভ্যস্ত ছিলেন।)
অতঃপর হাকীমুল উম্মত হযরত থানবী (রহঃ) বললেন, দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে ফারেগ হওয়ার পরপরই নিজের বুযুর্গ-মুরুব্বীগণের পরামর্শমতে কানপুরের জামিউল উলূম মাদরাসায় শিক্ষকতার দায়িত্বে নিয়োজিত হয়ে গেলাম। এবং সেখানে আমার মাসিক ওযীফা নির্ধারিত ছিলো পঁচিশ টাকা। তখন আমি মনে মনে বলতাম, এত টাকা দিয়ে আমি কি করবো।
হযরত থানবী (রহঃ) আরো বলেন যে, মানুষের মনে যেসব প্রশ্ন উদয় হতে থাকে তার জবাব কখনো কোন আলিমের মজলিসে উপস্থিত হলে কিংবা কোন বয়ান শুনলে এমনিতেই বুঝে এসে যায়। তবে এ ব্যাপারে স্বীকৃত কথা হলো, নিজে প্রশ্ন করে তার উত্তর লাভ করা একদিকে যেমন বেশী লাভজনক হয়, অপরদিকে তার প্রভাব প্রতিক্রিয়াও দীর্ঘস্থায়ী হয়।
📖 মাজালিসে হাকীমুল উম্মত ||| পৃষ্ঠাঃ১৯৪
────⊱◈🌼◈⊰─────