আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-২৫১: দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচার উপায় কি ?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-২৫১: সম্মানিত শায়খ গণের কাছে আমার জানার বিষয়: 

১। দুর্ভিক্ষের সময় আমাদের করণীয় কি?

২। দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচার উপায় কি ?

কোরআন এবং হাদিসের আলোকে জানতে চাই। তারিখ-১৯/০৮/২০২২ ইং 

মোঃ মফিদুল ইসলাম ঢাকা -থেকে----




জবাব: نحمده ونصل على رسول الكريم اما بعد

হামদ ও ছানার পর শুরুতে সম্মানিত ভাইয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, পেশাগত ও পারিবারিক ঝামেলার কারণে অনেক সময় জবাব দিতে দেরি হওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। যাইহোক আপনার প্রশ্নর আলোকে জবাবকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করছি।




(০১) দুর্ভিক্ষের সময় করণীয় সমূহ: 

 দুর্ভিক্ষের সময় মানব সমাজের বিশেষ করে মুসলমানদের অনেক কিছু কারণে আছে নিচে কয়েকটি উল্লেখ করছি:


(ক) আল্লাহর পরীক্ষা মনে করে ধৈর্যধারণ করতে হবে। 

যেমন যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,


আয়াত নং-০১

Surah Al-Baqara, Verse 155:

وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ

এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।

সূরা বাকারা-১৫৫


আয়াত নং-০২

Surah Al-Baqara, Verse 177:

لَّيْسَ الْبِرَّ أَن تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَٰكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَىٰ حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّائِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاءِ وَالضَّرَّاءِ وَحِينَ الْبَأْسِ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ

সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার। সূরা বাকারা-১৭৭


(খ) বেশি বেশি তওবা ও এস্তেগফার প্রার্থনা করা:


আয়াত নং-০১ 

فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا(01) يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا (11) وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَلْ لَكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَلْ لَكُمْ أَنْهَارًا(21)

অর্থ: অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন। সূরা নুহ,১০-১২


 আয়াত নং-০২ 

 وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

 অর্থ: মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।

সূরা নুর-৩১


 হাদিস নং-০১ 

وَعَنِ الْأَغَرِّ بْنِ يَسَارٍ الْمُزَنِيِّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ الله ﷺيَا أَيُّهَا النَّاسُ تُوبُوا إِلٰى اللهِ واسْتَغْفِرُوهُ فَإِنِّي أتُوبُ في اليَومِ مِئَةَ مَرَّةٍ رواه مسل

অর্থ: আগার ইবনে য়্যাসার মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহর সমীপে তওবা কর ও তাঁর নিকট ক্ষমা চাও! কেননা, আমি প্রতিদিন ১০০ বার করে তওবাহ ক’রে থাকি। তাখরিজ:মুসলিম ৭০৩৪, আবূ দাঊদ ১৫১৫


 হাদিস নং-০২

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَن رَسُولِ اللهِ ﷺ أَنَّهُ قَالَ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ : أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي وَأَنَا مَعَهُ حَيْثُ يَذْكُرُنِي وَاللهِ للهُ أفْرَحُ بِتَوبَةِ عَبْدِهِ مِنْ أحَدِكُمْ يَجِدُ ضَالَّتَهُ بالفَلاَةِ وَمَنْ تَقَرَّبَ إلَيَّ شِبْراً تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ ذِرَاعاً وَمَنْ تَقَرَّبَ إِلَيَّ ذِرَاعاً تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ بَاعاً وَإِذَا أقْبَلَ إِلَيَّ يَمْشِي أقْبَلْتُ إِلَيْهِ أُهَرْوِلُ متفقٌ علي

অর্থ: আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ আযযা অজাল্ল বলেন, ’আমি সেইরূপ, যেরূপ বান্দা আমার প্রতি ধারণা রাখে। আমি তার সাথে থাকি, যখন যে আমাকে স্মরণ করে। আল্লাহর কসম! নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার তওবায় তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অপেক্ষা বেশি খুশী হন, যে তার মরুভূমিতে হারিয়ে যাওয়া বাহন ফিরে পায়। আর যে ব্যক্তি আমার দিকে এক বিঘত পরিমাণ অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক হাত পরিমাণ অগ্রসর হই। যে আমার দিকে এক হাত পরিমাণ অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে দুই হাত পরিমাণ অগ্রসর হই। আর সে যখন আমার দিকে হেঁটে অগ্রসর হয়, আমি তখন তার দিকে দৌড়ে অগ্রসর হই। তাখরিজ:বুখারী ৭৮০৫ , মুসলিম ৭১২৮


 হাদিস নং-০৩

وعنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رضِي اللَّه عنْهُما قَال: قالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: منْ لَزِم الاسْتِغْفَار، جَعَلَ اللَّه لَهُ مِنْ كُلِّ ضِيقٍ مخْرجًا، ومنْ كُلِّ هَمٍّ فَرجًا، وَرَزَقَهُ مِنْ حيْثُ لاَ يَحْتَسِبُ رواه أبو داود

অর্থ: আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি কেউ বেশি বেশি কাছে ক্ষমা চায়, আল্লাহতায়ালা তাকে সব প্রকার দুর্দশা থেকে মুক্তি দান করেন, হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে পরিত্রাণ দান করেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দান করেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না। তাখরিজ: আবু দাউদ-১৫২০, ইবনে মাজাহ_৩৮১৯



(গ) পাপ ছেড়ে দেওয়া:

 সাওবান (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সৎকর্ম ছাড়া অন্য কিছু আয়ুষ্কাল বাড়াতে পারে না এবং দোয়া ছাড়া অন্য কিছুতে ভাগ্য পরিবর্তন হয় না। মানুষ তার পাপ কাজের দরুন তার প্রাপ্য রিজিক থেকে বঞ্চিত হয়। তাখরিজ: ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪০২২


(ঘ) সৎ ও যোগ্য খাদ্য মন্ত্রী নিয়োগ দেয়া: মিশরের দুর্ভিক্ষকালে হজরত ইউসুফ আ. খাদ্য ছিলেন। যেমন, কুরআনের ভাষায়,


Surah Yusuf, Verse 55:

قَالَ اجْعَلْنِي عَلَىٰ خَزَائِنِ الْأَرْضِ إِنِّي حَفِيظٌ عَلِيم

ইউসুফ বললঃ আমাকে দেশের ধন-ভান্ডারে নিযুক্ত করুন। আমি বিশ্বস্ত রক্ষক ও অধিক জ্ঞানবান। সূরা ইউসুফ-৫৫


(ঙ) সংযত হওয়া অর্থাৎ অল্পে তুষ্ট থাকা:

নবীজি (সা.)-এর যুগে যখন মদিনায় দুর্ভিক্ষ এসেছিল, এই দুর্ভিক্ষ থেকে উম্মতকে বাঁচাতে সবাইকে তিনি জীবনাচারে সংযত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। জাবালা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা মদিনায় কিছুসংখ্যক ইরাকি লোকের সঙ্গে ছিলাম। একবার আমরা দুর্ভিক্ষের কবলে পতিত হই, তখন ইবনে জুবায়ের (রা.) আমাদের খেজুর খেতে দিতেন। ইবনে উমর (রা.) আমাদের কাছ দিয়ে যেতেন এবং বলতেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) কাউকে তার ভাইয়ের অনুমতি ছাড়া একসঙ্গে দুটো করে খেজুর খেতে নিষেধ করেছেন। তাখরিজ: বুখারি, হাদিস : ২৪৫৫


(চ) বেশি বেশি দুআ করা

 নবীজি (সা.) দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি পেতে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছিলেন। আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, নবীজি (সা.)-এর যুগে (অতিবৃষ্টির কারণে) মানুষ দুর্ভিক্ষের শিকার হলে একদিন জুমার দিন রাসুল (সা.) মিম্বারে উপবিষ্ট হয়ে লোকদের সামনে জুমার খুতবা দিচ্ছিলেন। এক বেদুইন দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, ধন-সম্পদ বরবাদ হয়ে গেল, সন্তান-সন্ততি ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ছে। ...রাসুল (সা.) বলেছেন, হে আল্লাহ, আমাদের চারপাশে, আমাদের ওপর নয়। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসুল (সা.) হাত দিয়ে যেদিকেই ইশারা করেছেন, সঙ্গে সঙ্গে সেদিকেই ফরসা হয়ে গেছে। এমনকি আমি মদিনাকে আয়নার মতো পরিষ্কার দেখতে পেলাম। এদিকে ‘কানাত’ নামক প্রান্তরে এক মাস ধরে পানির ধারা বয়ে গেল। যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউই এসেছে সে-ই অতিবৃষ্টির সংবাদ দিয়েছে। তাখরিজ: মুসলিম, হাদিস : ১৯৬৪


(ছ) খাদ্য গুদামজাত নিষিদ্ধ: স্বাভাবিক অবস্থায় খাদ্য গুদামজাতকরণ নিষিদ্ধ নয় তবে কৃত্রিম খাদ্য সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য এবং দুর্ভিক্ষের সময় খাদ্য গুদামজাত করণ জায়েজ নেই,হারাম । দলিল:


হাদিস নং-০১

 যে ব্যক্তি খাদ্যশস্য মজুদ রাখে, আল্লাহপাক তার ওপর দরিদ্রতা চাপিয়ে দেন। তাখরিজ: আবু দাউদ- ৫৫


হাদিস নং-০২

"যে ব্যক্তি খাদ্যশস্য গুদামজাত করে সে অভিশপ্ত।" তাখরিজ: ইবনে মাজাহ


হাদিস নং-০৩

من احتكر طعاما أربعين ليلة فقد برئ من الله، وبرئ الله منه "

"যে ব্যক্তি ৪০ দিনের খাবার মজুদ রাখে (খাদ্য সংকটের সময়), সে আল্লাহর জিম্মা থেকে বেরিয়ে যায়।" তাখরিজ: মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ২০৩৯৬



(০২) দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচা উপায় সমূহ:

 উম্মতি মোহাম্মদের প্রতি কিয়ামত পর্যন্ত আনিত ফিতনার মধ্যে সবচেয়ে বড় ফেতনা হল দাজ্জালের ফিতনা। যাইহোক ফেতনা থেকে বাঁচার জন্য কয়েকটি আমল:


আমল নং- ১

এই দোয়া বেশি বেশি পড়া,

দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করাঃ আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ “আমি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে নামাযের ভিতরে দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাইতে শুনেছি ।[21] তিনি নামাযের শেষ তাশাহুদে বলতেনঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ عَذَابِ النَّارِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কাবরি, ওয়া মিন আজাবিন্নারি, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাতি, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাসিহিদ দাজ্জাল।


অর্থ : হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে কবরের শাস্তি, জাহান্নামের শাস্তি, জীবন-মৃত্যুর ফেতনা ও দাজ্জালের ফেতনা থেকে আশ্রয় চাই।


হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা: উল্লিখিত দোয়া পাঠ করতেন। তাখরিজ: বুখারি, হাদিস : ১৩৭৭


আমল নং-০২

দাজ্জাল থেকে দূরে থাকা: হজরত আবুদ দাহমাহ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, আমি হজরত ইমরান ইবনুল হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

مَن سَمِعَ مِن الدَّجَّالِ فلينأ مِنهُ ؛ من سَمِعَ من الدَّجَّالِ فلينأ منهُ ؛ فإنَّ الرَّجلَ يأتيهِ يحسِبُ أنَّهُ مؤمنٌ فما يزالُ بِه لما معَه منَ الشُّبَه حتَّى يتَّبعَه


الراوي : عمران بن الحصين | المحدث : ابن كثير | المصدر : نهاية البداية والنهاية | الصفحة أو الرقم : 1/146 | خلاصة حكم المحدث : إسناده جيد | التخريج : أخرجه أبو داود (4319)، وأحمد (19968) باختلاف يسير

অর্থ: কেউ দাজ্জালের আবির্ভাবের কথা শুনলে সে যেন তার থেকে দূরে চলে যায়। আল্লাহর কসম! যে কোনো ব্যক্তি তার কাছে এলো তাকে ঈমানদার মনে করে তার অনুসরণ করতে শুরু করবে; তার মধ্যে যেসব সংশয় সৃষ্টি হয়েছে সে কারণে। তাখরিজ: আবু দাউদ-১৪১৯; মুসনাদে আহমদ-১৯৯৬৮


আমল নং-০৩

সূরা কাহাফ পাঠ করা: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাজ্জালের ফিতনার সম্মুখিন হলে মুমিনদেরকে সূরা কাহাফ মুখস্থ করতে এবং তা পাঠ করতে আদেশ করেছেন। তিনি বলেনঃ “যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা হতে হেফাযতে থাকবে । তাখরিজ: মুসলিম,কিতাবুল ফিতান অধ্যায়


মহান আল্লাহতালা আমাদের সবাইকে দাজ্জালের ফেতনা সহ সমস্ত ফেতনা থেকে হেফাজত করুন।