* শাসকের সাথে আলিমের সম্পর্ক ***
* ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত যে,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- আমার উম্মতের মধ্যে কিছু লোক এমন আছে, যারা ইলম হাসিল করে এবং কুরআন পড়ে আর বলে, আমরা দুনিয়ামুখী শাসকগোষ্ঠীর কাছে গিয়ে পার্থিব চাহিদা পূরণ করি, তবে আমাদের দ্বীনদারিকে তাদের অনিষ্টতা থেকে রক্ষা করি। নবীজি সাঃ বলেন- এটা তো হতে পারে না। কাঁটাদার বৃক্ষ থেকে কাঁটা ছাড়া যেমন কিছুই পাওয়া যায় না। অনুরুপ বস্তুবাদী শাসকগোষ্ঠীর কাছে পাপ ছাড়া আর কিছুই অর্জন হয় না। (মিশকাত)
* উক্ত সাহাবী থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি বলেছেন- যারা গ্রামে-গঞ্জে বাস করে, তারা নির্বোধ হয়। যারা শিকারের পেছনে ছুটে, অকর্মণ্য হয়। যারা শাসকের দরবারে গমন করে, তারা ফিতনায় পড়ে। (মুসনাদে আহমদ, তিরমিযি, নাসাঈ)
* আবু দাউদ শরিফের একটি বর্ণনায় আছে, যারা শাসকের দুয়ারে যায়, তারা ফিতনায় লিপ্ত হয়। আর যে ব্যক্তি শাসকের যতো নিকটে যাবে, সে আল্লাহ থেকে ততো দূরে চলে যাবে।
* হুজাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- হে আলিম সমাজ! সত্য ও সঠিক পথে অবিচল থাকো। কেননা, মর্যাদায় তোমরা অনেকদূর এগিয়ে গেছো। এখন তোমরা যদি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ো, তাহলে চরম গোমরাহিতে নিপতিত হবে।
* ইবনে মাজা শরিফে বর্ণিত আছে- আল্লাহ তা’য়ালার কাছে ঐ আলিম ভীষণ অপছন্দনীয় যে বিত্তশালী ও শাসকদের সাথে যোগাযোগ রাখে।
*ইমাম আওযায়ী বলেন- আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত ঐ আলিম যে শাসকের সাথে যোগাযোগ রাখে।
* উবাদাহ বিন সামেত রাঃ বলেন- শাসকের সাথে দ্বীনদার আলিমের হৃদ্যতা নিফাকি আর বিত্তবানের সাথে তার হৃদ্যতা রিয়া বা লৌকিকতা।
* ইবনে মাসউদ রাঃ বলেন- মানুষ শাসকদের দরবারে দ্বীন নিয়ে যায় আর সেখান থেকে বের হয় দ্বীনহীন হয়ে। জিজ্ঞেস করা হলো, এমন কেন? বললেন- কারণ সে শাসককে সন্তুষ্ট করে আল্লাহর অসন্তোষের মাধ্যমে।
* ফুযাইল রঃ বলেন- মানুষ শাসকের যতো নিকটবর্তী হয়, আল্লাহর কাছ থেকে তত দূরে সরে যায়।
* ওহাইব রঃ বলেন- যারা শাসকগোষ্ঠীর দরবারে যায় তারা উম্মাহর জন্য জুয়াড়ীর চেয়ে বেশি ক্ষতিকর।
* মুহাম্মদ বিন সালামা বলেন- শৌচাগারের মশা দরবারি আলিমদের চেয়ে উত্তম ।
[উপরোক্ত হাদিস ও আসারসমূহ নেয়া হয়েছে মুফতিয়ে আজম ফয়জুল্লাহ রহি. এর কিতাব থেকে]