আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

দ্বীনি সচেতনতা-৩৫: কাউকে কাফির বা ফাসিক বলার ক্ষেত্রে সতর্কতা

No Comments

 




কাউকে কাফির বা ফাসিক বলার ক্ষেত্রে সতর্কতা 

-----------------------------------


হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত হযরত থানবী (রহঃ) ইরশাদ । করেন যে, যে ব্যক্তির সামনে নিজের পরিণাম এবং পরকালের চিন্তা বিরাজমান থাকে তার মুখ অন্যের ব্যাপারে কখনই লাগামহীনভাবে খুলতে পারে না, সে ব্যক্তি কোন কাফেরকেও হীন দৃষ্টিতে দেখে না।

কারণ সে কাফেরের পরিণাম কি হবে তা যেমন তার জানা নেই তেমনি নিজের পরিণাম কি হবে তাও তো সে জানে না। যেমন ফার্সী কবির ভাষায়—


نے بیچ کا فر را بخواری منگرید که مسلمان بودنش باشد امید


অর্থাত, কোন কাফের ব্যক্তিকেও হীনতার নযরে দেখবে না। কেননা এমনও তো হতে পারে যে, লোকটা ইন্তেকালের পূর্বে মুসলমান হয়ে যাবে।


অতঃপর হযরত থানবী (রহঃ) বলেন যে, আহলে ফতওয়া আলেম তথা মুফতীগণকে বাধ্য হয়ে ফয়সালা করতে হয় যে, কোন্ লোকটি মুসলমান আর কোন্ লোকটি কাফের। কোন্ ব্যক্তি নেককার আর কোন্ ব্যক্তি ফাসেক। অন্যথায় কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে এ জাতীয় বিশেষণ আরোপ করা বড়ই কঠিন ব্যাপার। এক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।


 আর শুকরিয়ার কথা, আলহামদুলিল্লাহ! হক্কানী উলামায়ে কিরাম সর্বদাই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে লক্ষ্য রাখেন। তা সত্ত্বেও কিছু এমন লোক যারা চিন্তাশীল নয় তারা সম্মানিত আলেমগণের প্রতি তিরস্কারমূলক ভাষা ব্যবহার করে থাকে। তারা বলে, এই আলেমরাই লোকদেরকে ফতওয়া দিয়ে কাফের মুর্তাদ বানিয়ে দেয়, তাদের জবাবে আমি বলে থাকি যে, কাফের বানায় না বরং কাফের বাতায় অর্থাত যে ব্যক্তি নিজের ভ্রান্ত আকীদা-বিশ্বাসের কারণে কাফের হয়ে আছে কিন্তু তার কাফের হওয়াটা গোপন রয়ে গেছে। তার সম্পর্কে মুসলমানদেরকে সতর্ক করার জন্য বাতলে দেয় যে, এই লোকটি নিজের আমলের কারণে কাফের হয়ে গেছে।


📖 মাজালিসে হাকীমুল উম্মত ||| পৃষ্ঠাঃ১৯৮

────⊱◈🌼◈⊰─────