জিজ্ঞাসা-১৩০৬৪:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। একজন মৃত ব্যক্তির একটা হাত হাসপাতালে রয়েগেছে এমতাবস্থায় হাত ব্যতীত এ ব্যক্তকে দাফন করা যাবে কি না?
তারিখ: ২৭/০৮/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা মুর্শিদ আলম থেকে।
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, হাসপাতালটি যদি কাছাকাছি হয়, তাহলে একসাথে দাফন করবে, আশা যদি অসম্ভব হয়, তাহলে হাত ছাড়াই জানাজা করে দাফন করবে।
আর হাসপাতালে একটি হাত রয়ে গেছে, সেখানে স্থানীয়ভাবে দাফন করে দিতে হবে। কেননা মানুষ সম্মানিত তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সম্মানিত। দলিল-
وأخرج ابن أبي شيبة في «المصنف» (25661)، قال: حدثنا وكيع، عن عبد الجبار بن عباس، عن رجل من بني هاشم، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم، أمر بدفن الشعر، والظفر، والدم
ইবনে আবি শায়বাহ “আল-মুসান্নাফ” (25661) এ বর্ণনা করেছেন, বলেছেন: ওয়াকি আমাদেরকে আবদ আল-জাব্বার ইবনে আব্বাস থেকে বনু হাশিমের এক ব্যক্তির সূত্রে বলেছেন যে, আল্লাহর রসূল! সালাত (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুল, নখ ও রক্ত দাফনের নির্দেশ দিয়েছেন। তাখরিজ: মুসান্নেফে ইবনে আবি শায়বা-২৫৬৬১
فالأصل حرمة نبش القبر لحرمة الميت وكرامته، ولا يجوز إلا لمصلحة راجحة أو ضرورة تدعو إلى ذلك، كما بينا في الفتوى رقم: 22870 وكذلك تشريح الجثة بعد الدفن، فإنه لا يجوز إلا لمصلحة قوية راجحة تغلب ما فيه من المفسدة، كما في الفتوى رقم: 56764 والفتوى رقم: 6777.
এক্ষত্রে মূলনীতি হলো, একবার দাফন করা হয়ে গেলে মৃতব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদার দিকে লক্ষ্য রেখে পুনরায় কবর খনন করা নিষিদ্ধ। বিশেষ কোন প্রয়োজন ছাড়া কবর খনন করা বৈধ নয়।
সূত্র: ফিকহুল ইবাদাত, আলজানাযা-৬৬৩৪৩ (ফতোয়া নং)
সারকথা হলো, হাসপাতাল থেকে হাত নিয়ে আসা সম্ভব হয়, তাহলে একসাথে দাফন করে দিবে আর যদি সম্ভব না হয়, তাহলে হাত ছাড়াই দাফন করে দিবে এবং হাতটি হাসপাতালের আশপাশে নিরাপদ জায়গায় বা যেকোনো জায়গায় দাফন করে দিবে। উক্ত ব্যক্তির কবর খনন করা জায়েজ নেই, প্রয়োজন নেই।
والله اعلم بالصواب