আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

স্বাস্থ্য পরামর্শ-৮৪: শিশু খেতে না চাইলে করণীয়

No Comments

 



শিশু খেতে না চাইলে করণীয়

 ডা. আবু সাঈদ শিমুল

 প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৪ | ২৩:০৩ দৈনিক সমকাল 


অনেক মা অভিযোগ করেন, তাঁর শিশু খেতে চায় না। খাওয়ানোর ব্যাপারে অনিয়মই হচ্ছে শিশুর খেতে না চাওয়ার প্রধান কারণ। অনেক মা শিশুর খাবারের মাঝখানে তাকে অনিয়মিতভাবে বিস্কুট, ফল, চকলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি খেতে দেন। কেউ কেউ নিয়ম করে ৬টায় দুধ, ৮টায় ডিম, ১০টায় দুধ, ১২টায় স্যুপ এ রকম ইচ্ছামতো চার্ট বানিয়ে খাওয়ান। অনেকে আবার শিশুকে নিয়ম অনুযায়ী খাওয়ানোর মাঝে কান্না মাত্রই মায়ের দুধ খাওয়ান। কোনো কোনো বাড়িতে শিশু নিজের খাওয়ার সময় ছাড়া অন্য সময়েও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে খায়। আবার অনেক মা তাঁর শিশু ৭টার সময় পেট ভরে খায়নি বলে ৮টার সময় তাকে আরেকবার খাবার দেন, ৯টার সময় আবার চেষ্টা করেন এবং এমনিভাবে সারাদিন ধরেই চেষ্টা চলতে থাকে। এসব অভ্যাসই শিশুর জন্য ক্ষতিকর। একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন, খাবার হজম হলেই শিশুর খিদে লাগবে। আপনি যদি খাওয়ার সুনির্দিষ্ট সময় ছাড়া অন্য সময়ে শিশুকে কিছু খাওয়ান, তবে ক্ষতি হবে। অনেক শিশু স্কুল থেকে ফিরেই বিস্কুট, ফল বা ফলের রস ইত্যাদি খায়। তার এক ঘণ্টা পরই হয়তো তার দুপুরের খাওয়ার সময়। তখন শিশু ঠিকমতো সে খাবারটা আর খেতে চাইবে না। কারণ, এরই মধ্যে তার খিদে নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক শিশু সারাদিন ইচ্ছামতো যখন-তখন বিস্কুট, চকলেট, আইসক্রিম, ফল ইত্যাদি খেয়ে পেট ভর্তি করে রাখে; কিন্তু খাওয়ার সময় কিছুই খায় না। এসব অভ্যাসও ক্ষতিকর। 

কিছু টিপস

• প্রথমেই বয়স অনুযায়ী শিশুর কী পরিমাণ সুষম খাদ্য প্রয়োজন, তা মাকে জানতে হবে ।

• খাওয়া নিয়ে জোর করবেন না; তাহলে খাওয়ার প্রতি তার কোনো উৎসাহ থাকবে না।

• সব ধরনের খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। শুধু মুরগির মাংস, গরুর মাংস বা ডিম দিয়েই ভাত খাবে– এমন অভ্যাস করাবেন না। খাবার পরিবেশনে একটু ভিন্নতা আনতে পারেন।

• খিদে বাড়ানোর জন্য তাদের খেলতে দিন। শিশুকে খাবার শেষ করার জন্য প্রাইজ দিন। এতে সে উৎসাহিত হবে।

দু-তিন বছর বয়স থেকেই শিশুকে নিজ হাতে খেতে দিন।

শিশুকে ঘরে তৈরি খাবারের সঙ্গে অভ্যস্ত করুন। শিশুর পছন্দ-অপছন্দের দিকে লক্ষ্য রাখুন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবারের ব্যাপারে প্রাধান্য দিতে হবে।

• শিশুকে একনাগাড়ে বেশি খাওয়াবেন না। অল্প অল্প করে ঘন ঘন খাওয়াতে চেষ্টা করুন।

• বাজার করার সময় যদি সম্ভব হয় আপনার শিশুকে নিয়ে যান। নানা ধরনের শাকসবজি, ফলমূল, মাছ চেনাতে থাকুন।

লেখক: শিশু বিশেষজ্ঞ


Shishu khete na chayle