⭕ হায়েজ যখন নারীদের জন্য উপহারস্বরুপ!
কারণঃ
১) যতখুশি যিকির করা যায়।
২) যতখুশি ইস্তেগফার করা যায়।
৩) জাহান্নামের ভয়াবহতা নিয়ে গভির চিন্তা করা যায়।
[কারণ হায়েজ অবস্থায় সময় বেশি পাওয়া যায়]
৪) জান্নাত নিয়ে গভির চিন্তার সাগরে ঢুবে থাকা যায়।
৫)অতিমাত্রায় দুরুদ পাঠ করা যায়।
৬) দোয়া কবুলের সময়গুলোতে বেশি বেশি দোয়া করা যায়।
৭) রাতের শেষাংশে অল্প সময়ের জন্য উঠে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়।
৮) সবথেকে বড় কথা, অতিমাত্রায় দোয়া, দুরুদ- যিকির, ইস্তেগফার পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় এবং নেকির পাল্লা ভারি করা যায় যা নাজাতের পথ।
[ হায়েজ অবস্থায় নারীদের কষ্ট হলেও, মুখে যত বেশি দোয়া, দুরুদ, যিকির ইস্তেগফার পাঠ করা যায়, যা পবিত্র থাকা অবস্থায় কখনোই সম্ভব হয় না]
⭕ যুবতীদের হায়েজ সর্বনিম্ন ৩ দিন ই থাকার কথা। এই ৩ দিন যদি সে শুধুই ইস্তেগফার করে তাহলে একেতো আল্লাহর ভালোবাসা পেলোই, তাছাড়া আল্লাহর ক্ষমার দ্বারা নিজে পবিত্র ও হয়ে যেতে পারে। কারণ আল্লাহ তায়ালা এমন নন যে, তার বান্দা টানা ৩ দিন ইস্তেগফার করবে অথচ আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন না।
⭕৩ দিন একটানা দুরুদ পাঠ করলে কতবার রহমত বর্ষণ হবে চিন্তা করতে পারেন? একবার দুরুদ পাঠ করলে ১০ বার রহমত নাযিল হয়।
তাহলে ৩ দিনে ৩০০০ বার দুরুদ পাঠ করলে রহমত বর্ষণ হয়, ৩০০০*১০=৩০,০০০ বার অর্থ্যাৎ ৩০ হাজার বার।
৩০ হাজার বার যদি রহমত বর্ষিত হয় তাহলে আপনার অবস্থান ৩ দিনে কোথায় যাওয়ার কথা? চিন্তা করেন?
আপনিতো রহমতের সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকবেন।
⭕ আপনি যদি ৩ দিনে ৩০০০ বার তাসবিহ পড়েন। তাহলে আসে কতো নেকি? ৩০০০*১০=৩০,০০০নেকি।
এটা কি কোন বুদ্ধিমানে ত্যাগ করে? হায়েজকেও কাজে লাগাতে হবে বুদ্ধি দিয়ে।আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে মা- বোনদেরকে এভাবে আমল করার তৌফিক দিন, আমিন! 💞