আমি আমার দোস্ত- আহবাবগণকে পরামর্শ দিয়েছি যে, নিজের বিবিকে আপনারা তার খোরপোষ হিসেবে যা দিয়ে থাকেন, শরীয়ত সম্মতভাবে সে তার মালিক হয় না। কারণ, তা থেকে যদি কিছু বেঁচে যায় তবে তার মালিক থাকে স্বামীই। অবশ্য যদি কেউ দেয়ার সময় একথা বলে দেয় যে, যা তোমাকে দিলাম এর মালিক তুমিই, তবে সেক্ষেত্রেই স্ত্রী মালিক হয়।
এ কারণে যে টাকা ঘরের খরচের জন্য স্ত্রীকে প্রদান করা হয়, তা সাধারণ প্রয়োজনের বাইরে স্ত্রীর নিজস্ব প্রয়োজনে খরচ করার সুযোগ থাকে না। যেমন স্ত্রী তার কোন গরিব প্রিয়জনকে কিংবা কোন দুঃস্থ অসহায় ব্যক্তিকে সাহায্য করতে চাইলে সেক্ষেত্রে তাকে ঘরের প্রয়োজনে খরচ করতে দেয়া টাকা থেকে সাহায্য দেয়ার করার অধিকার নেই।
এজন্য উত্তম হচ্ছে, স্ত্রীকে প্রয়োজনীয় খোরপোষের টাকা ছাড়াও অতিরিক্ত কিছু টাকা তার হাত খরচ হিসেবে তাকে মালিক বানিয়ে দেয়া। যাতে করে সে স্বাধীনভাবে সে টাকা নিজের ইচ্ছামত খরচ করতে পারে এবং অন্যের কাছে মুখাপেক্ষী না থাকে।
একজন স্ত্রীর সবচাইতে বড় গুণ হচ্ছে, সে তার স্বামীর জন্য নিজের সকল সম্পৃক্ততাকে পরিহার করে দিয়ে স্বামীর কাছে চলে এসেছে। আমি তো তাসাউফের লাইনের লোকদের বলে থাকি যে, একজন অল্প বয়স্কা যুবতী মেয়ে যে কাজ মাত্র একদিনে করে দেখিয়ে দেয় তা কি বছরের পর বছর কেটে যাওয়ার পরও তোমরা আল্লাহপাকের জন্য করতে পেরেছো? অর্থাৎ যাবতীয় সংযোগ ও সম্পর্ককে কি আল্লাহ পাকের জন্য কুরবানী করে দিতে পেরেছো?
🖋️- মুজাদ্দিদ মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ.
📖 মাজালিসে হাকীমুল উম্মত ||| পৃষ্ঠাঃ২০৩