জিজ্ঞাসা-২৭৭: সম্মানিত শায়েখদের প্রতি প্রশ্ন।
প্রত্যেক পুরুষের হাদীসটি জানা উচিত এবং তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।
ইমাম আবু সুলইমান খাত্তাবী রহ. (মৃ: ২৮৮ হি:) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে নিজ সনদে বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন-
– ‘অবশ্ই মানুষের উপর (এমন) জামানা আসবে, (যখন বদদ্বীনীর কারণে দ্বীন মতো চলা এত কঠিন হয়ে যাবে যে), দ্বীনদার ব্যাক্তির জন্য তার দ্বীনকে নিয়ে শিয়ালের কৌশলে পালানোর ন্যায় এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে, এক চুড়া থেকে অন্য চুড়া’য় এবং এক পাহাড়ী-গুহা থেকে অন্য পাহাড়ী-গুহা’য় পালিয়ে ফেরা ছাড়া (কেউ তার দ্বীনকে) নিরাপদে রাখতে পারবে না।
জিজ্ঞেস করা হল: সেটা কখন হবে -ইয়া রাসুলাল্লাহ?
তিনি বললেন: যখন (উপার্জনের উপায়-উপকরণের মধ্যে নাজায়েয বিষয় এত ব্যপকভাবে জড়িত থাকবে যে, তখন) আল্লাহ তাআলা’র (অসন্তুষ্টি ও) ক্রধ ব্যতীত আয়-রোজগার করা যাবে না। যখন এরকম জামানা হবে, তখন অবিবাহিত থাকাকে হালাল করে নিবে।
বলা হল: সেটা কেমন করে হতে পারে -ইয়া রাসূলাল্লাহ, অথচ আপনি আমাদেরকে বিয়ে করার নির্দেশ দিয়েছেন?
তিনি বললেন: কারণ, যখন সেই জামানাটি আসবে, তখন পুরুষ তার পিতা-মাতার হাতে বরবাদ হয়ে যাবে। যদি সে তার পিতা-মাতার হাতে (বরবাদ) না হয়, তাহলে সে তার স্ত্রী ও সন্তানের হাতে (বরবাদ হবে)। যদি তার স্ত্রীর হাতেও না হয়, সন্তানের হাতে না হয়, তাহলে সে তার আত্বীয়-স্বজনের হাতে (বরবাদ হবে)।
লোকেরা জিজ্ঞেস করলো: (সেটা) কেমন করে হবে, ইয়া রাসুলাল্লাহ?
রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ বললেন: তারা তাকে (সামাজিকতার খাতিরে ভাল মানের) আয়-রোজগার করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে জোড়াজুড়ি করতে থাকবে, পরে তারা তার উপর (এমন মানসিক ও সামাজিক) বোঝা চাপিয়ে দিবে, যা সে ধারন করতে পারবে না। অবশেষে সে (অর্থকড়ি উপার্জনের জন্য নাজায়েয ও) বরবাদীর উপকরনাদির দিকে ধাবিত হবে’। আল-উযলাহ, ইমাম খাত্তাবী– ১/১০ হাদিস ৯; আল-যুহদুল কাবীর, বাইহাকী হাদিস ৪৪৫
এ হাদীসের আরবি ইবারতসহ সনদের মান জানালে উপকৃত হতাম।। তারিখ-২১/০৯/২২ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা নেছার উদ্দিন কঙ্গো থেকে-------
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
হামদ-সানা ও দরুদের পর , আপনার প্রশ্নে বর্ণিত হাদিসর আরবি ইবারত নিচে দেওয়া হলো,
دَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَلْمَانَ النَّجَّادُ , قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُونُسَ الْكُدَيْمِيُّ , قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ الْجُشَمِيُّ , قَالَ : حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ سَالِمٍ , قَالَ : حَدَّثَنَا السَّرِيُّ بْنُ يَحْيَى ، عَنِ الْحَسَنِ ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ , قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يأتي على الناسِ زمانٌ لا يَسْلَمُ لذي دينٍ دِينُه إلا من فَرَّ به من شاهقٍ إلى شاهقٍ، أو من جُحْرٍ إلى جُحْرٍ ؛ كالثعلبِ بأشبالِه، قالوا : متى يكونُ ذلك ؟ قال : في آخِرِ الزمانِ ؛ إذا لم تُنَلِ المعيشةُ إلا بمعصيةِ اللهِ، فإذا كان كذلك حَلَّتِ العُزْبَةُ . قالوا : أنت تأمرُنا بالتزويجِ ؛ فكيف تَحِلُّ العُزْبَةُ ؟ قال : يكون في ذلك الزمانِ هلاكُ الرجلِ على يَدَيْ أبويه ؛ إن كان له أَبَوانِ، فإن لم يكن له أَبَوانِ فعلى يَدَيْ زوجتِه وولدِه، فإن لم يكن زوجةٌ ولا ولدٌ، فعلى يَدَيْ الأقاربِ والجيرانِ ؛ يُعَيِّرونه بِضِيقِ المعيشةِ، حتى يُورِدَ نفسَه المواردَ التي يَهلَكُ فيها-
হাদিসটির সনদ সম্পর্কে কতক মুহাদ্দিস বলেছেন যয়িফ আর শায়েখ আলবানি রহ. এটাকে মুনকার বলেছেন। তবে এর কাছাকাছি/একই বর্ণনা হজরত ইবনে মাসউদ রা. থেকেই ছহিহ মারফু হাদিস এসেছে।
والله اعلم بالصواب