কেমন ছিলো প্রিয় রাসুল ﷺ এর শেষ দিনগুলো?
◽২৯সফর, সোমবার একটি জানাযা থেকে ফেরার পথে মাথা ব্যাথা শুরু হয়। এই অসুস্থতা ছিলো ওফাতকালীন রোগের সূচনা। প্রায় ১৩/১৪ দিন অসুস্থ ছিলেন।
◽ ওফাতের পাঁচদিন পূর্বে রোগ যন্ত্রণা আরো বেড়ে যায়। এটি ছিলো সফর মাসের শেষ বুধবার। বারবার অজ্ঞান হতে থাকেন। শরীরে প্রচুর পরিমাণ পানি ঢালার পর কিছুটা স্বস্তি মেলে।
তবে মাথায় পট্টি বাধা অবস্থায় মিম্বরে আসেন। ছোট একটি বক্তৃতা দেন। যার একটি অংশ ছিলো
اللَّهُمَّ لاَ تَجْعَل قَبْرِي وَثَناً يُعْبَدُ
তোমরা আমার কবরকে মূর্তি বানিওনা, যে তার উপসনা করা হবে। (মুয়াত্তা মালিক)
◽ওফাতের চারদিন আগে যন্ত্রণা আরও তীব্র হলো। বললেন, কাগজ কলম দাও। কিছু লিখে দেই। কিন্তু কষ্ট হবে বিধায় কাগজ কলম দেয়া হয়নি।
তিনি বলতে লাগলেন:
الصَّلَاةَ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ
নামাজ নামাজ, আর তোমাদের অধিনস্থদের প্রতি মনযোগী হও। (সহিহ বুখারী)
◽ওফাতের তিনদিন আগে। যেন আর দাড়াতেই পারছেন না। মাত্রাতিরিক্ত ব্যাথা, যন্ত্রণা।
◽ওফাতের দুইদিন আগে। সকল দাস মুক্ত করে দেন। সাতটি স্বর্ণমুদ্রা ছিলো। তা দান করে দেন।
◽জীবনের শেষ দিন। ফজরের ওয়াক্তে আবু বকর রাদিআল্লাহু আনহুর ইমামতিতে নামাজ চলছিলো। পর্দা সরিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখানো হলো। তিনি মুচকি হাসি দিলেন।
◽অন্তিম মুহুর্ত। আয়েশা রা. নিজ দাত দিয়ে চিবিয়ে মিসওয়াক নরম করে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মিসওয়াক করালেন।
দুইহাত পানিতে ডুবিয়ে রাসুল ﷺ এর মুখ মুছতে থাকলেন।
আর বলতে লাগলেন: ইলাহা ইল্লাল্লাহ, নিশ্চয় মৃত্যুর জন্য রয়েছে সাকারাত (যন্ত্রণা)। আল্লাহ আমায় ক্ষমা করুন। রহম করুন। রফিকে আ'লার কাছে পৌঁছে দিন। হে আল্লাহ! হে রফিকে আ'লা।
পরম বন্ধু।
এসব বলতে বলতে আম্মাজান আয়েশা রা. এর বিছানায়, তার বুকেই মাথা রেখে ইন্তেকাল করেন।
◽আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা মুহাম্মাদ।
তথ্যসূত্র :
সহিহ বুখারী। মুয়াত্তা মালিক। আর রাহীকুল মাখতুম।সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া।
© Abdullah Al Monsur হাফিঃ