আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩০৮৪: এক তালাক দেওয়ার পর ফিরিয়ে আনার পদ্ধতি কী

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩০৮৪: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। একজন সৈনিক ফোন করে জানতে চাইল স্ত্রীর সাথে ঋগড়া চলাকালে তাকে একতালাক দিয়েছি। এখন তার করনীয় কি? মুহতারাম মুফতিগণ সমাধান দিয়ে বাধিত করবেন।

তারিখ:৩০/০৯/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা মাসউদুর রহমান চাঁদপুর থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, এক তালাক এর কয়েকটি সুরত হতে পারে। 


প্রথমত: যদি শুধু এক তালাক দেয়। বায়ান শব্দ উল্লেখ না করে। এবং তালাকের পর স্ত্রীর তিন হায়েজ বা পিরিয়ড অতিক্রম না করে থাকে। এটাকে তালাকে রজয়ি বলে।

 এক/দুই তালাকে রজয়ি দেওয়ার পর তিন হায়েজ অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই রজাআত করে (তোমাকে ফিরিয়ে নিলাম, স্ত্রী সহবাস অথবা শরীরে স্পর্শ করলে), তাহলে বিবাহের প্রয়োজন নেই। দলিল- 

وَبُعُولَتُهُنَّ أَحَقُّ بِرَدِّهِنَّ فِي ذَلِكَ إِنْ أَرَادُواْ إِصْلاَحًا

আর যদি সদ্ভাব রেখে চলতে চায়, তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে নেবার অধিকার তাদের স্বামীরা সংরক্ষণ করে। (সূরা বাকারা ২২৮)


দ্বিতীয়ত: এক তালাক দেওয়ার পর তিন হায়েজ অতিক্রান্ত হয়ে যায়, এর মধ্যে রজাআত বা ফিরিয়ে না নেয় এবং এক/দুই তালাকে বায়ান দিয়ে থাকেন। তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে। নতুন করে মোহরানা নির্ধারণ করে বিয়ে পড়াতে হবে।

 

فإن طلقها ولم يراجعها، بل تركها حتى انقضت عدتها بانت (بدائع الصنائع-3/283)

নতুন করে মহর ধার্য করে বিবাহ পড়াতে হবে। সূত্র: বাদাউস সানায়িআ-৩/২৮৩


রাজআত দু’ভাবে হতে পারে–

১. কথার মাধ্যমে ইদ্দতের ভেতর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো। যেমন সরাসরি অথবা ফোনে অথবা কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে একথা বলা যে, ‘তোমাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করলাম’। একথার মাধ্যমে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক পুনঃবহাল হয়ে যাবে।

২. কর্মের মাধ্যমে ইদ্দতের ভেতর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো। অর্থাৎ স্ত্রীর সঙ্গে এমন কোনো আচরণ দেখানো যা একজন স্বামী একজন স্ত্রীর সঙ্গেই দেখাতে পারে। যেমন তাকে চুমো দেয়া কিংবা তার সঙ্গে সহবাস করে নেয়া ইত্যাদি। এজাতীয় কর্মের মাধ্যমেও তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক পুনঃবহাল হয়ে যাবে।


সারকথা হলো, যদি সে শুধু এক তালাক দেয়, বায়ান শব্দ উল্লেখ না করে এবং তিন হায়েজ বা পিরিয়ড অতিক্রম না করে থাকে, তাহলে এখনই তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবে।

আর যদি এক তালাকে বয়ান বা স্বাভাবিক তালাক দেওয়ার পর তিন হায়েজ অতিক্রম করে থাকে; তাহলে নতুন করে মোহরানা নির্ধারণ করে বিয়ে পড়াতে হবে।


  والله اعلم بالصواب