*_মাহরাম এবং নন-মাহরাম কাকে বলে...মাহরাম কতজন এবং কাহারা?_*
◼️মাহরামঃ-
যাদের সাথে বিয়ে করা হারাম কিন্তু কথা বলা দেখা দেওয়া জায়েজ তাদের সামনে পর্দা না
করলেও চলবে তাদেরকে মাহরাম বলে।
◼️নন-মাহরামঃ-
যাদের সাথে বিয়ে করা জায়েজ কিন্তু কথা বলা দেখা দেওয়া হারাম তাদের সামনে পর্দা করা ফরজ তাদেরকে নন-মাহরাম বলে।
ছেলে এবং মেয়েদের উভয়ের কুরআনুল কারীমে নির্ধারিত মাহরাম আছে ১৪ জন করে এই ১৪ জন ব্যতীত সকলেই নন-মাহরাম।
◼️ছেলেদের জন্য ১৪ জন মাহরাম হলেনঃ-
◼️মায়ের মতো ৫ জন-
১.মা, ২.খালা, ৩.ফুফু, ৪.শাশুড়ী, ৫. দুধ-সম্পর্কীয় মা।
◼️বোনের মতো ৫ জন-
১.আপন বোন, ২.দাদী, ৩.নানী, ৪.নাতনী, ৫.দুধ-সম্পর্কীয় বোন।
◼️মেয়ের মতো ৪ জন-
১.মেয়ে, ২.ভাই এর মেয়ে, ৩.বোনের মেয়ে, ৪.ছেলের বউ।
◼️এই মোট (৫+৫+৪=১৪ জন)
◼️মেয়েদের জন্য ১৪ জন মাহরাম হলেনঃ-
◼️বাবার মতো ৫ জন:-
১.বাবা, ২.চাচা, ৩. মামা, ৪.শ্বশুর, ৫. দুধ-সম্পর্কীয় বাবা
◼️ভাইয়ের মতো ৫ জন-
১আপন ভাই, ২.দাদা, ৩.নানা, ৯.নাতী, ৫. দুধ-সম্পর্কীয় ভাই।
◼️ছেলের মতো ৪ জন:-
১.ছেলে, ২.ভাই এর ছেলে, ৩.বোনের ছেলে, ৪.মেয়ের জামাই।
◼️এই মোট (৫+৫+৪=১৪ জন)
[সূত্রঃ সুরা আন-নিসাঃ ২৩, সুরা আন-নূরঃ ৩১]
আল্লাহর দেয়া বিধান এবং নবীর সুন্নত তরিকায় সহীহ পর্দার মাধ্যমে নিজের পরিবারের ও সমাজের অবৈধ সম্পর্ক, সামাজিক অশ্লীলতা, বেহায়াপনা দূর করা সম্ভব আসুন আমরা জেনে বুঝে সহি ভাবে পর্দার আমল করি আল্লাহপাক আমাদের তৌফিক দান করেন।
(সংগৃহীত ও সংশোধিত এবং সংযোজিত)
_______ _______