জিজ্ঞাসা-২৭৫: আসসালামু আলাইকুম। কোন অমুসলিম ব্যক্তি কি এসি/ইলেকট্রিক বা যে কোন কাজে মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে কি? দলিলসহ জানালে উপকৃত হতাম। তারিখ-২০/০৯/২২ ঈসায়ি/ইংরেজি
জনৈক মাওলানা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, আদি মসজিদ বায়তুল হারাম শরিফে অমুসলিম ব্যক্তিরা প্রবেশ করতে পারবে না; এটা আয়িম্মায়ে আরবার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। তবে জিম্মি কাফের প্রবেশ করতে পারবে, এটা ইমাম আজম রহ. এর মত। সূত্র: নেহায়াতুল মুহতাজ-৮/৮৬; দুররে মুখতার-৩/২৭৫
দ্বিতীয় কথা হলো, মসজিদে হারাম ব্যতিত পৃথিবীর যে কোন মসজিদে প্রবেশের ব্যাপারে ইমাম মালেক রহ. ব্যতিত বাকি তিন ইমামের মতে মুসলমানের অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারবে।
তিনি ইমামের দলিল:
والصواب جوازه لمصلحة شرعية أو لحاجة تدعو إلى ذلك : لسماع ما قد يدعوه للدخول في الإسلام ، أو حاجته إلى الشرب من ماء في المسجد أو نحو ذلك ؛ لأن النبي صلى الله عليه وسلم ربط ثمامة بن أثال الحنفي في المسجد قبل أن يسلم ، وأنزل وفد ثقيف ووفد نصارى نجران قبل أن يسلموا في المسجد ؛ لما في ذلك من الفوائد الكثيرة ، وهي : سماعهم خطب النبي صلى الله عليه وسلم ومواعظه ، ومشاهدتهم المصلين والقراء وغير ذلك من الفوائد العظيمة التي تحصل لمن لازم المسجد
অর্থাৎ সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি হল যে বৈধ স্বার্থ বা প্রয়োজনের জন্য এটি জায়েজ: যা তাকে ইসলামে প্রবেশের আমন্ত্রণ জানাতে পারে, বা মসজিদে পানি পান করার প্রয়োজন বা অনুরূপ; কারণ নবী(ﷺ) ছুমামা বিন আছাল আল-হানাফীকে ইসলাম গ্রহণ করার আগে মসজিদে বেঁধে রেখেছিলেন এবং নাজরানের ছাকিফ প্রতিনিধিদল এবং খ্রিস্টান প্রতিনিধিদল মসজিদে ইসলাম গ্রহণের আগে মসজিদে নববিতে অবস্থান করেছিলেন। তাখরিজ: বুখারি-৪৬২, ৪৩৮০, মুসলিম-১৭৬৪,২৪২০
সারকথা কথা হলো, আপনার প্রশ্নে বর্ণিত ছুরুতে, অমুসলিম ব্যক্তি ইলেকট্রিক কাজে মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে কোন সমস্যা নেই। সুত্র: খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৭৭; আলজামিউস সগীর ৪৮২; আহকামুল কুরআন জাসসাস ৩/৮৮; তাফসিরে মাআরেফুল কুরআন
والله اعلم بالصواب