আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

আমল ও দুআ: ১২৬: যেসব আমলে গুনাহ মাফ হয়

No Comments

 



সহজে আমে গুণাহ মাফ হয়


আমাদের জীবন ফরর পথের শয়তানের প্ররোচনায় ইচ্ছা-অনিচ্ছায় অনেক গুনাহ সংঘটিত হয়। এর মধ্যে কিছু বড় গুনাহ থাকে, যা তওবা ছাড়া মাফ হয় না। কিছু গুণাহ এমন আছে, যা আল্লাহ তাওবা-ইস্তিগ ছাড়া বান্দার নেক ফার আমলের মাধ্যমে মাফ দেন। ইসলামে এমন 'আমল আছে যেগুলোর কোনো একটি কথা তার পূর্বের জীবনের পাপ ফরমায়েশি ঘোষণা করবে বলে উত্তর দেওয়া হয়েছে।


কেউ যদি বিকল্প সরবরাহ করে। তৃতীয় তৃতীয়ালিফা 'উসমান' আফফা উযূ করার পর বললেন, আমি এমপি সা.-কে আমার এই উযূর মত উযূ আফ্ফা করতে দেখলাম। অতঃপর তিনি বললেন,


مَنْ تَوَضَّأَ هَكَذَا غُفِرَ لَه مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِه وَكَانَتْ صَلَاتُه وَمَشْيُه إِلَى الْمَسْجِدِ نَافِلَةً

'যে ব্যক্তি এরূপ উযূ করবে, তার পূর্বের পাপরাশি মাফ করা হবে তার সালাত ও মাসজিদের দিকের দিকের সাওয়াব হিসেবে গণ্য হবে।'[১]


প্রতিদিন ১০০ বার সুবহানাল্লাহ পড়া-


একবার নিউজি তাঁর প্রিয় সাহাবাদের বলেন, তোমরা কি প্রতিদিন এক হাজার নেকি লাভ এবং এক হাজার গুণাহ মাফ আমল জানতে চাও? তখন এক সাহাবি বলেন, হেওয়ার রাসুল! কি আমল করতে এক হাজার গুণাহ মাফ এবং এক হাজার নেকি লাভ করা যাবে? তখন নতুন সা. তিনি বলেন, '১০০ বার সুবহানাল্লাহ এক হাজার নেকি লিখতে হবে অথবা (কোনো বর্ণনা) এক হাজার গুণাহ মোচন হবে।' (মুসলিম, হাদিস : ২৬৯৮)



নতুন প্রেম-

আল্লাহকে ভালোবাসার জন্য রাসুল সা.-এর পথ অনুসরণ করা আবশ্যক। আর এই অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ ও তাঁর প্রেমের ভালোবাসা। ইরশাদ, 'তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তবে আমার (নবীর) অনুসরণ করো, তাহলে আমাকে ভালোবাসবেন এবং আমার পাপ মার্জনা করবেন।' (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৩১)


নতুনর উপর দরুদ পাঠ করা-

আনাস রা. তিনি বলেন, রাসুল সা. বলেছেন, 'যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার প্রতি ১০টি রহমত নাজিল করবেন। তার ১০টি গুণাহ মাফ করে এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।' (নাসায়ী, হাদিস : ১২৯৭)


ফজর ও মাগরিব নামাজের পর নির্দিষ্ট দোয়া-


এক হাদিসে ওয়ার্কার্স রাসুল সা. বলেছেন, “যে ব্যক্তি ফজর ও মাগরিব নামাজের পর 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহাদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শায়িন কাদির' ১০ বার বার, তার আমলনামায় চারজন গোলাম করার আজাদ সওয়াব লেখা হবে, নেকি লেখা হবে, ১০ গুণাহ মাফ হবে, ১০ মর্যাদা বাড়াবে এবং এ কলেমাগুলো কারণ সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য শয়তান থেকে হেফাজতে হবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৫১৮)


উত্তম ক্রুজ অজু করা-


আবু হুরায়রা রা. তিনি বলেন, রাসুল সা. লেখক বলেছেন, 'কোনও রাজনৈতিক অজু করে তখন তার চেহারা ধোয়ার সময় পানি ফোঁটার সঙ্গে রাজনৈতিক গুনাহটজয় দেখা যায়। যখন হাতের ধোয়া, হাতের গুণাহগুলো হয়। যখন পাওয়া ধ্রুব হয়, পানি ফোঁটার সঙ্গে পায়ের গুণাহটগুলি দ্বারা পাওয়া যায়। আপনার বান্দা গুণাহ থেকে পাক-সাফ হয়ে যায়।' (মুসলিম, হাদিস : ২৪৪)


পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ করা-


যে ব্যক্তিকে বারবার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে তার গুণাহ মাফের রাসুল ইসলাম সা. হাদিস শরিফে একটি উদাহরণ ধরেছেন। আবু হুরায়রা রা. থেকে অনেক, রাসুল সা. একবার সাহাবাদের সম্বোধন করে বলেন, 'তোমাদের কি মনে হয়? আলাদা আলাদা আলাদা আলাদা আলাদা আলাদা আলাদা আলাদা আলাদা আলাদা আলাদা আলাদা আলাদা আলাদা আলাদা আলাদা আলাদা আলাদা আলাদা দিন গোসল করে, তার শরীরে কি কোনো ময়লা?' সাহাবারা প্রশ্নে বলেন, না, তার শরীরে কোনো ময়লা থাকবে না। নিউ সা. তখন তিনি বলেন, 'পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্তও রূপ। এর মাধ্যমে আল্লাহ (বান্দার) পাপসমূহ মিতি দেন।' (মুসলিম, হাদিস : ৬৬৭)


জুমার নামাজ করা-


আবু হুরায়রা রা. বহু, রাসুল সা. তিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি উত্তম কবর অজু রে ও জুমায় এলো, স্বেচ্ছা স্বেচ্ছাচারী খুতবা শুনল ও চুয়াল। আল্লাহ তাআলা তার গত জুমা ও এই জুমার মধ্যবর্তী অঞ্চলগুনাহ মাফ করে; আরো অতিরিক্ত তিন গুণাহও মাফ করবেন।' (মুসলিম, হাদিস : ৮৫৭)


নামাজের জন্য মসজিদে গমন-


জামাতের সাথে নামাজ পড়লে প্রতি কদমের ব্যবহারে গুণাহ ও মর্যাদা বৃদ্ধি করুন। আবু হুরায়রা রা. তিনি বলেন, রাসুল সা. 'জামাতের নামাজের ঘরের বাজারের নামাজের অপেক্ষা ২৫ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়ার। কারণ বান্দা যখন উত্তম অজু করে এবং নামাজের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয় তো কদমের জানাতে তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে এবং একটি করে গুনাহ মিতালি দেয়। (বুখারি, হাদিস : ৬৪৭)


ফাতিহা উত্তর আমিন বলা-


বুখারি বর্ণনায়, নিউ সা. লেখক বলেছেন, 'নামাজে ইমাম সাহেব যখন সুরা ফাতিহা শেষ করেন তখন তোমরাও আমি বলো। কেননা তখন ফেরেশতা পথ আমি বলি। ইমামও আমিন। আর যার কথা আমি ফেরেশতাদের সঙ্গে মিলবে, তার সব পাপ ক্ষমা করে দিতে হবে।' (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৭১৮৭)


রুকু থেকে বলা 'রব্বানা লা হামদ'-


আবু হুরায়রা রা. থেকে অনেক, রাসুল সা. বলেছেন, “ইমাম যখন রুকু থেকে বলো 'সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ' তখন তোমরা বলো 'আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল হামদ'। তাহমিদ ফেরেশদের সঙ্গে মিলবে, তার কারণ তার সব পাপ ক্ষমা করা হবে৷ (বুখারি, হাদিস : ৭৯৬)


লাইলাতুল কদরের সালাত দেওয়া-


লাইলাতুল ক্বদর বা শবে ক্বদরে বেশি বেশি নফল সালাত পূর্বে সমস্ত পাপ মাফ করে জীবন লাভ করে। আবূ হুরায়রাহ রা. হতে বিভাগ, আসন সা. লেখক:


مَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَه مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِه

''যে ব্যক্তি জ্ঞানের সাওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল বারবার বলা হয়, তার পূর্ববর্তী গুনাহ্ সাথে মাফ করে দেওয়া হয়।''[6]


উল্লেখ্য যে, নির্দিষ্ট করে প্রতি বছর ২৭ রমজানের রাতকে লাইলাতুল কদর হিসাবে নিশ্চিত করার জন্য কোন সিদ্ধান্ত নেই। ২৭ তারিখও হতে পারে আবার ২১, ২৩, ২৫ বা ২৯ রমাযানের রাতও হতে পারে। তাইতো ব্যবস্থা সা. রমা শেষের শেষের বেজোড় রাতের বেলা অনুসন্ধানলাইলাতুল কদর করতে আদেশ। 'আয়িশাহ লগ্ন সদস্যে তিনি লেখক,


تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْوِتْرِ مِنْ الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ

''তোমরার শেষ রাতের রাতের বেজোড়পাড়া লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করো।''[7]


আমাদের আমল করার তৌফিক দান করুন।