আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-২৭৪: নামাজের মধ্যে কোন কথা বললে নামাজ বাতিল হবে কি ?

No Comments

 












জিজ্ঞাসা-৭৪:

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

প্রশ্ন : জনৈক ইমাম মাগরিবের নামাজ দুই রাকাতের বৈঠক শেষে উভয় দিকে সালাম ফিরিয়ে নিলে মুসল্লিদের কেউ বললসালাত দুই রাকাত হয়েছে।

 

এবার ইমাম নিশ্চিত হতে জিজ্ঞেস করলেন, "সালাত কি দুই রাকাতই হয়েছে? .. আচ্ছা ঠিক আছেতাহলে আমরা আর এক রাকাত পড়ে নেই।"

এই বলে তিনি এক রাকাত নামাজ পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করলেন।

এরপর দাঁড়িয়ে নিম্মের হাদীস দিয়ে দলীল দিয়ে বললেনএভাবে কথা বললেও নামাজ সঠিক হয়।

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ صَلَّى بِنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ أَوِ الْعَصْرَ فَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ ذُو الْيَدَيْنِ الصَّلاَةُ يَا رَسُولَ اللَّهَ أَنَقَصَتْ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لأَصْحَابِهِ ‏ "‏ أَحَقٌّ مَا يَقُولُ ‏"‏‏.‏ قَالُوا نَعَمْ‏.‏ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ أُخْرَيَيْنِ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ‏.‏ قَالَ سَعْدٌ وَرَأَيْتُ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ صَلَّى مِنَ الْمَغْرِبِ رَكْعَتَيْنِ فَسَلَّمَ وَتَكَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى مَا بَقِيَ وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَقَالَ هَكَذَا فَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏.‏

 

আবূ  হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেননবী () আমাদের নিয়ে যুহর বা আসরের সালাত আদায় করলেন এবং সালাম ফিরালেন। তখন যুল-ইয়াদাইন (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনইয়া আল্লাহ্‌র রাসূল! সালাত কি কম হয়ে গেলনবী () তাঁর সাহাবীগণকে জিজ্ঞেস করলেনসে যা বলছেতা কি ঠিকতাঁরা বললেন,‌ হাঁ। তখন তিনি আরও দুরাকআত সালাত আদায় করলেন। পরে দুটি সিজদা‌  করলেন। সাদ (রহঃ) বলেনআমি উরওয়াহ ইব্‌নু যুবায়র (রহঃ)-কে দেখেছিতিনি মাগরিবের দুরাকআত সালাত আদায় করে সালাম ফিরালেন এবং কথা বললেন। পরে অবশিষ্ট সালাত আদায় করে দুটি সিজদা করলেন এবং বললেননবী () এ রকম করেছেন। সহিহ বুখারীহাদিস নং ১২২৭

 

সাথে সাথে তিনি কুরআনের আয়াত (ولا تبطلوا أعمالكم)

দিয়ে দলীল দিলেন।

 

----

উপস্থিত একজন ব্যক্তি সাথে সাথে অন্য একজন মুফতি সাহেবের কাছে ফোন করে জানতে চাইলে উক্ত মুফতি সাহেব বললেনসালাত নষ্ট হয়ে গেছেসালাতটি পুনরায় আদায় করতে হবে। তিনি নামাজে কথা বলা যায় না মর্মে নিন্মের হাদীসটি উল্লেখ করেন -

حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - وَتَقَارَبَا فِي لَفْظِ الْحَدِيثِ - قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ بَيْنَا أَنَا أُصَلِّي، مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ ‏.‏ فَرَمَانِي الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ فَقُلْتُ وَاثُكْلَ أُمِّيَاهْ مَا شَأْنُكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ ‏.‏ فَجَعَلُوا يَضْرِبُونَ بِأَيْدِيهِمْ عَلَى أَفْخَاذِهِمْ فَلَمَّا رَأَيْتُهُمْ يُصَمِّتُونَنِي لَكِنِّي سَكَتُّ فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبِأَبِي هُوَ وَأُمِّي مَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ أَحْسَنَ تَعْلِيمًا مِنْهُ فَوَاللَّهِ مَا كَهَرَنِي وَلاَ ضَرَبَنِي وَلاَ شَتَمَنِي قَالَ ‏"‏ إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ لاَ يَصْلُحُ فِيهَا شَىْءٌ ------

মুআবিয়াহ্ ইবনুল হাকাম আস্ সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেনকোন এক সময় আমি রসূলুল্লাহ () এর সাথে সলাত আদায় করছিলাম। ইতোমধ্যে (সলাত আদায়কারীদের মধ্যে) কোন একজন লোক হাঁচি দিলে (জবাবে) আমি ইয়ার্হামুকাল্ল-হ” (অর্থাৎ- আল্লাহ তোমার প্রতি রহম করুন) বললাম। এতে সবাই রুষ্ট দৃষ্টিতে আমার প্রতি তাকাতে থাকল। তা দেখে আমি বললামঃ আমার মা আমার বিয়োগ ব্যথায় কাতর হোক। (অর্থাৎ-এভাবে আমি নিজেকে ভৎসনা করলাম)। কি ব্যাপার! তোমরা আমার দিকে এভাবে তাকাচ্ছ যেতখন তারা নিজ নিজ উরুতে হাত চাপড়াতে থাকল। (আমার খুব রাগ হওয়া সত্ত্বেও) আমি যখন দেখলাম যেতারা আমাকে চুপ করাতে চায় তখন আমি চুপ করে রইলাম। পরে রসূলুল্লাহ () সলাত শেষ করলে আমি তাঁকে সবকিছু বললাম। আমার পিতা ও মাতা তাঁর জন্য কুরবান হোক। আমি ইতোপূর্বে বা এর পরে আর কখনো অন্য কোন শিক্ষককে তাঁর চেয়ে উত্তম পন্থায় শিক্ষা দিতে দেখিনি। আল্লাহর শপথ করে বলছিতিনি আমাকে ধমকালেন না বা মারলেন না কিংবা বকাঝকাও করলেন না। বরং বললেনঃ সলাতের মধ্যে কথাবার্তা ধরণের কিছু বলা যথোচিত নয়। বরং প্রয়োজনবশতঃ তাসবীহতাকবীর বা কুরআন পাঠ করতে হবে অথবা রসূলুল্লাহ () যেরূপ বলেছেন। আমি বললামহে আল্লাহর রসূল () ! আমি সবেমাত্র জাহিলিয়াত বর্জন করেছি এবং এরপর আল্লাহ আমাকে ইসলাম গ্রহণের তাওফীক দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা গণকদের কথায় বিশ্বাস করে। তিনি () (এ কথা শুনে) বললেনঃ তুমি গণকদের কাছে যেয়ো না। সে বললঃ আমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা শুভ অশুভ লক্ষণ নির্ধারণ করে থাকে। তিনি বললেনঃ এটা তাদের হৃদয়ের বদ্ধমূল বিশ্বাস। এটি তাদেরকে (ভাল কাজ করতে) বাধা না দেয়। হাদীস বর্ণনাকারী সাববাহ বলেছেনতা যেন তোমাকে বাধা না দেয়। লোকটি বর্ণনা করেছেন- আমি আবারও বললামঃ আমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা রেখা টেনে শুভ-অশুভ নির্ধারণ করে থাকে। রসূলুল্লাহ () বললেনঃ একজন নবী এভাবে রেখা টানতেন। সুতরাং কারো রেখা যদি (নাবীর রেখা) অনুরূপ হয় তাহলে তা ঠিক হবে।[৪]

 

বর্ণনাকারী মুআবিয়াহ্ বলেনআমার এক দাসী ছিল সে উহুদ ও জাও্ওয়ানিয়্যাহ্ এলাকায় আমার বকরীপাল চরাত। একদিন আমি হঠাৎ সেখানে গিয়ে দেখলাম তার বকরীপাল থেকে বাঘে একটি বকরী নিয়ে গিয়েছে। আমি তো অন্যান্য আদম সন্তানের মত একজন মানুষ। তাদের মত আমিও ক্ষোভ ও চপেটাঘাত করলাম। এরপর আমি রসূলুল্লাহ () -এর কাছে আসলাম (এবং সব কথা বললাম) কেননা বিষয়টি আমার কাছে খুবই গুরুতর মনে হলো। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রসূল! আমি কি তাকে (দাসী) মুক্ত করে দিবতিনি বললেনঃ তাকে আমার কাছে নিয়ে আসো। সুতরাং আমি তাকে এনে রসূলুল্লাহ () -এর কাছে হাজির করলাম। তিনি তাঁকে (দাসীকে) জিজ্ঞেস করলেনঃ (বলো তো) আল্লাহ কোথায়সে বলল- আকাশে। নবী () বললেন, (বলো তো) আমি কেসে বললঃ আপনি আল্লাহর রসূল। তখন রসূলুল্লাহ () আমাকে বললেনঃ তুমি তাকে মুক্ত করে দাওসে একজন মুমিনাহ্ নারী। (ই.ফা. ১০৮০ই.সে. ১০৮৮)

 

জানার বিষয় হলো এখানে সঠিক কোনটি ? তারিখ-/০৯/২২ ঈসায়ি/ইংরেজি

 

হাফেজ মাওলানা সাজ্জাদ  বগুড়া থেকে---

 

জবাব:  وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 

 

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলোولا خلاف بين أهل العلم أن من تكلم في صلاته عامدا عالما فسدت صلاته، قال ابن المنذر: أجمع أهل العلم على أن من تكلم في صلاته عامدا

অর্থাৎ আহলে এলেমদের মধ্যে এ বিষয়ে কোন মতভেদ নেই যে, নামাজের মধ্যে ইচ্ছাপূর্বক জ্ঞাতসারে কথা বললে নামাজ ফাসেদ হবে। ইবনে মুনজির রহ. বলেন, আহলে এলেমদের মধ্যে ইজমা হয়েছে যে, নামাজে মধ্যে ইচ্ছা করে কথা বললে নামাজ নষ্ট হবে।


দ্বিতীয় কথা হলো, আপনার প্রশ্নের বর্ণিত ছুরতে নামাজের প্রয়োজনে/সংশোধনে কথা বললে নামাজ বাতিল হবে কিনা, এ বিষয়ে আহলে হাদিস এবং ফোকাহায়ে আহনাফের মতভেদ রয়েছে। 


আহলে হাদিসদের মতে,  জামাআতের লোক ভুল করে চার রাকআতের জায়গায় তিন রাকআত পড়ে সালাম ফিরার পর মুক্তাদীদের কেউ এই ভুল সম্বন্ধে স্মরণ দিলে এবং ইমামও নিশ্চিত হওয়ার জন্য অন্যান্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সংশোধনের উদ্দেশ্যে আরো এক রাকআত নামায অবশ্যই পড়বে এবং সহু সিজদাহ করবে। আর এর মাঝে ইমাম-মুক্তাদীর ঐ কথোপকথন নামাযের জন্য ক্ষতিকর হবে না। দলিল: 

 

আপনার উল্লেখিত প্রথম হাদিসটি (অর্থাৎ حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ صَلَّى بِنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ أَوِ الْعَصْرَ فَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ ذُو الْيَدَيْنِ الصَّلاَةُ يَا رَسُولَ اللَّهَ أَنَقَصَتْ------ আবূ  হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেননবী () আমাদের নিয়ে যুহর বা আসরের সালাত আদায় করলেন এবং সালাম ফিরালেন। তখন যুল-ইয়াদাইন (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনইয়া আল্লাহ্‌র রাসূল! সালাত কি কম হয়ে গেলনবী () তাঁর সাহাবীগণকে জিজ্ঞেস করলেনসে যা বলছেতা কি ঠিকতাঁরা বললেন,‌ হাঁ। তখন তিনি আরও দুরাকআত সালাত আদায় করলেন। পরে দুটি সিজদা‌  করলেন-----। সহিহ বুখারী-১২২৭

 

ফোকাহায়ে আহনাফের মতামত:  নামাজের মধ্যে কথা যে কারণেই হোক ফিকহি হানাফি কোন পার্থক্য করেননি।  নামাজে এমন কোনো অর্থবোধক শব্দ করাযা সাধারণ কথার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। (হোক সেটা এক অক্ষর বা দুই অক্ষরে ঘটিত) তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে। ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬১৩আল বাহরুর রায়েক : ২/২

দলিল: আপনার উল্লেখিত হাদিস সমুহ।

حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - وَتَقَارَبَا فِي لَفْظِ الْحَدِيثِ - قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، عَنْ وَلاَ شَتَمَنِي قَالَ " إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ لاَ يَصْلُحُ فِيهَا شَىْءٌ مِنْ كَلاَمِ النَّاسِ إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ "------

আবূ জাফার মুহাম্মাদ ইবনুস্ সাব্বাহ ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ..... মু'আবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস সুলামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনকোন এক সময় -------

আল্লাহর শপথ করে বলছিতিনি আমাকে ধমকালেন না বা মারলেন না কিংবা বকাঝকাও করলেন না। বরং বললেনঃ সলাতের মধ্যে কথাবার্তা ধরনের কিছু বলা যথোচিত নয়। বরং প্রয়োজনবশতঃ তাসবীহতাকবীর বা কুরআন পাঠ করতে হবে। তাখরিজ: মুসলিম শরীফ ১০৮৬.

 

বিশুদ্ধ/সতর্কপূর্ণ মতামত: 

  হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণিত হাদিসটি নিম্নে বর্ণিত হাদিস দ্বারা রহিত হয়ে গেছেন।

হাদিস নং-০১

حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ إِسْمَاعِيْلَ بْنِ أَبِيْ خَالِدٍ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ شُبَيْلٍ عَنْ أَبِيْ عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ كُنَّا نَتَكَلَّمُ فِي الصَّلَاةِ يُكَلِّمُ أَحَدُنَا أَخَاهُ فِيْ حَاجَتِهِ حَتَّى نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ {حَافِظُوْا عَلَى الصَّلَوٰتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطٰى وَقُوْمُوْا لِلهِ قَانِتِيْنَ} فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوْتِ

অর্থ: হজরত যায়েদ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনআমরা সালাতের মধ্যে কথাবার্তা বলতাম আর আমাদের কেউ অন্য ভাইয়ের প্রয়োজন নিয়ে কথা বলতেন। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ حَافِظُوْا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُوْمُوْا لِلهِ قَانِتِيْنَ তখন আমাদেরকে চুপ থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। তাখরিজ: বুখারী- ৪৫৩৪.১২০০


হাদিস নং-০২

عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ فَيَرُدُّ عَلَيْنَا، فَلَمَّا رَجَعْنَا مِنْ عِنْدِ النَّجَاشِيِّ سَلَّمْنَا عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْنَا وَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ فِي الصَّلاَةِ شُغْلاً ‏"‏‏.‏

অর্থ: হজরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) বলেননবী () এর নামায পড়া অবস্থায় আমরা তাঁকে সালাম দিতাম এবং তিনি সালামের উত্তরও দিতেন। অতঃপর যখন নাজাশীর নিকট থেকে ফিরে এলামতখন সালাম দিলে তিনি উত্তর দিলেন না। পরে কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, “নামাযে মগ্নতা আছে।” তাখরিজ:  বুখারী-১১



সারকথা কথা হলো, আপনার প্রশ্নের আলোকে,  নামাজের প্রয়োজনে কথা বললে নামাজ ভাঙ্গে না হাদীসটি সহিহ হলেও পরবর্তী সূরা বাকারার-২৩৮ আয়াত দ্বারা মানসুখ হয়ে যাওয়া। সুতরাং উক্ত মাগরিব নামাজটি পুনরায় পড়া উচিত।

 

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিচ্ছেন, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক