আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা -১২৮৭৭: মোবাইলে তালাক দিলে, তালাক হবে কী?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৮৭৭: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। মোবাইলে তালাক দিলে, তালাক হবে কী? প্রবাসে থাকুক আর সরাসরি থাকুক, স্ত্রী তালাক শুনুক চাই না শুনুক তালাক পতিত হয়ে যাবে। এর কথাটি কী সঠিক?

তারিখ:  ৩১/১২/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  আলী হোসাইন থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো

 হ্যাঁ, উপরে মাসয়ালাটি সঠিক। কেননা কেউ যদি তার স্ত্রীকে ফোনের মাধ্যমে বলে (أنْتِ طَالِقٌ) ‘তুমি ত্বালাক্বপ্রাপ্তা’ অথবা (طَلَّقْتُك) ‘আমি তোমাকে ত্বালাক্ব দিলাম’, তাহলে এক ত্বালাক্ব পতিত হবে। ত্বালাক্বের ক্ষেত্রে স্ত্রীর উপস্থিতি ও সম্মতি যরূরী নয়। স্বামী তার স্ত্রীর অজ্ঞাতসারে ও অনুপস্থিতিতেও ত্বালাক্ব দিতে পারে। অতঃপর স্ত্রী সেই ত্বালাক্বে রাজি থাকুক বা না থাকুক, ত্বালাক্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। দলিল-


حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، مَوْلَى الأَسْوَدِ بْنِ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، أَنَّ أَبَا عَمْرِو بْنَ حَفْصٍ، طَلَّقَهَا الْبَتَّةَ وَهُوَ غَائِبٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا وَكِيلَهُ بِشَعِيرٍ فَتَسَخَّطَتْهُ فَقَالَ وَاللَّهِ مَا لَكِ عَلَيْنَا مِنْ شَىْءٍ . فَجَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ لَهَا " لَيْسَ لَكِ عَلَيْهِ نَفَقَةٌ " . وَأَمَرَهَا أَنْ تَعْتَدَّ فِي بَيْتِ أُمِّ شَرِيكٍ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ تِلْكَ امْرَأَةٌ يَغْشَاهَا أَصْحَابِي اعْتَدِّي فِي بَيْتِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَإِنَّهُ رَجُلٌ أَعْمَى تَضَعِينَ ثِيَابَكِ وَإِذَا حَلَلْتِ فَآذِنِينِي " . قَالَتْ فَلَمَّا حَلَلْتُ ذَكَرْتُ لَهُ أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ وَأَبَا جَهْمٍ خَطَبَانِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَّا أَبُو جَهْمٍ فَلاَ يَضَعُ عَصَاهُ عَنْ عَاتِقِهِ وَأَمَّا مُعَاوِيَةُ فَصُعْلُوكٌ لاَ مَالَ لَهُ انْكِحِي أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ " . قَالَتْ فَكَرِهْتُهُ ثُمَّ قَالَ " انْكِحِي أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ . فَنَكَحْتُهُ فَجَعَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِيهِ خَيْرًا كَثِيرًا وَاغْتَبَطْتُ بِهِ .

 আল্ কা‘নবী ..... ফাতিমা বিনতে কায়স (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আবু আমর ইবনে হাফস তাকে তিন তালাক বায়েন প্রদান করেন এমতাবস্থায় যে, তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর তিনি তার উকিল মারফত তার (ফাতিমার) নিকট কিছু আটা প্রেরণ করেন, যাতে তিনি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আল্লার শপথ! এর অধিক তোমার কিছুই আমার নিকট পাওনা নেই। তিনি রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে এ সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, তার নিকট তোমার কিছুই পাওনা নেই। এরপর তিনি তাকে উম্মে শুরায়কের ঘরে অবস্থানপূর্বক তার ইদ্দত পূর্ণ করার নির্দেশ দেন।


এরপর তিনি বলেন, এ স্ত্রীলোকটি তার অধিক খরচের দ্বারা আমার সাহাবীকে ঢেকে ফেলেছে। তুমি উম্মে মাকতুমের ঘরে অবস্থান কর, আর সে হল একজন অন্ধ লোক, কাজেই সে তোমাকে দেখবে না। এরপর তুমি যখন তোমার ইদ্দত পূর্ণ করবে, তখন আমাকে এ সম্পর্কে খবর দিবে। তিনি বলেন, এরপর আমি আমার ইদ্দত পূর্ণ করে তাঁকে এ সম্পর্কে অবহিত করি এবং বলি যে, মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান ও আবু জাহাম উভয়ে আমার নিকট আমাকে বিবাহের উদ্দেশ্যে পয়গাম পাঠিয়েছে।


রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, আবু জাহাম তো তার কাঁধ হতে লাঠি সরায় না (অর্থাৎ অধিক মারধরকারী)। আর মুআবিয়া সে তো ফকীর এবং তার কোন মাল নেই। তুমি বরং উসামা ইবনে যায়দকে বিবাহ করো। তিনি বলেন, তা আমার নিকট অপছন্দনীয় মনে হয়। তিনি পুনরায় বলেন, তুমি উসামা ইবনে যায়দকে বিবাহ করো। এরপর তিনি তাকে বিবাহ করেন। এরপর আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য এতে এত মঙ্গল প্রদান করেন, যা অন্যের জন্য ঈর্ষার বস্তুত পরিনত হয়।


Abu Salamah bin ’Abd Al Rahman reported on the authority of Fatimah daughter of Qais Abu ’Amr bin Hafs divorced her (Fatimah daughter of Qais) absolutely when he was away from home and his agent sent her home barley. She was displeased with it. He said “I swear by Allah, you have no claim on us. She then came to Apostle of Allah (ﷺ) and mentioned that to him. He said to her “No maintenance is due to you from him. He ordered her to spend the waiting period in the house of Umm Sharik but he said afterwards “that is a woman whom my Companions visit. Spend the waiting period in the house of Ibn Umm Maktum for he is blind and you can undress. Then when you are in a position of being remarried, tell me.” She said “When I was in a position to remarry, I mentioned to him that Mu’awiyah bin Abi Sufyan and Abu Jahm had asked me in marriage. The Apostle of Allah (ﷺ)said “As for Abu Jahm, he does not put down his stick from his shoulder, and as for Mu’awiyah he is a poor man who has no property; marry Usamah bin Zaid. I disliked him but he said “Marry Usamah bin Zaid. So, I married him. And Allah prospered him very much and I was envied.”

— তাখরিজ: মুসলিম -১৪৮০; সুনানে আবু দাউদ- ২২৮৪

তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)

হাদীসের বর্ননাকারী: ফাতিমা বিনতে কায়স (রাঃ)


সারকথা হলো,  মোবাইলে তালাক দিলে, তালাক হবে। প্রবাসে থাকুক আর সরাসরি থাকুক, স্ত্রী তালাক শুনুক চাই না শুনুক তালাক পতিত হয়ে যাবে।



  والله اعلم بالصواب