আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা -১২৮৭৫: দুটি সন্তান মারা গেলে, আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত খাবার খাওয়া যাবে না। এর কোন নস আছে কী?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৮৭৫: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। মুহতারাম কোন ব্যক্তির দুইটি সন্তান ইন্তেকাল করায় কোন হুজুর তাকে বলেছেন আপনি আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত কোন খাবার গ্রহণ করেননা।কারন সন্তানের ইফতার করার সময় এটা।বিষয়টা জানিয়ে উপকৃত করবেন 

জাযাকাল্লাহ খাইরান।

তারিখ:  ২৮/১২/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা ওবায়দুর রহমান , ফরিদপুর থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, আপনার প্রশ্ন বর্ণিত বিষয়ে কোন নস আমরা খুঁজে পায়নি, তাছাড়াও উক্ত বিষয়টি কিয়াস বিরোধী কেননা রোজাদার ব্যক্তি ব্যতীত ইসলামে খাবার গ্রহণে কোন সময় নিষেধাজ্ঞা নেই। 


বরং ফোকাহায়ে কেরাম ক্ষুধা পেটে নিয়ে নামাজ আদায় করা মাকরূহ বলেছেন। নিম্নের হাদিস থেকে গ্রহণ করেছেন।

إذا وُضِعَ عَشَاءُ أحَدِكُمْ وأُقِيمَتِ الصَّلَاةُ، فَابْدَؤُوا بالعَشَاءِ ولَا يَعْجَلْ حتَّى يَفْرُغَ منه وكانَ ابنُ عُمَرَ: يُوضَعُ له الطَّعَامُ، وتُقَامُ الصَّلَاةُ، فلا يَأْتِيهَا حتَّى يَفْرُغَ، وإنَّه لَيَسْمَعُ قِرَاءَةَ الإمَامِ.

الراوي : عبدالله بن عمر | المحدث : البخاري | المصدر : صحيح البخاري

الصفحة أو الرقم: 673 | خلاصة حكم المحدث : [صحيح]

التخريج : أخرجه مسلم (559) باختلاف يسير دون قوله: "وكانَ ابنُ عُمَرَ: يُوضَعُ ..."

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কারও সামনে রাতের খাবার রাখা হয়, আর এমতাবস্থায় নামাজের ইকামত শুরু হয়ে যায়, তখন সে প্রথমে খাবার খেয়ে নেবে। খাবার শেষ না করে নামাজের জন্য তাড়াহুড়া করবে না।’ তাখরিজ: মুসলিম -৫৫৯


সারকথা হলো,  কোন ব্যক্তির দুইটি সন্তান ইন্তেকাল করায়,  আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত কোন খাবার গ্রহণ করেননা। কারন সন্তানের ইফতার করার সময় এটা। এরকম কোনো বর্ণনা আমাদের জানা নেই। তাছাড়া এটা কিয়াস বিরোধী। সামাজিক কুসংস্কার বলা যেতে পারে। সুতরাং এ থেকে পরহেজ থাকা উচিত।



  والله اعلم بالصواب