১
*প্রতিটি দিনই আমাদের নববর্ষ*
ইমাম আবু
হানীফা রাহ.-এর আব্বার নাম
ছাবিত। দাদার নাম যূতাহ। প্রথমে
তিনি (দাদা) ইসলাম গ্রহণ
করেছিলেন। তাঁরা পারস্যের
ছিলেন। অগ্নি পূজক ছিলেন। তাঁর
সন্তান হলেন ছাবিত, ছাবিতের
সন্তান হলেন ইমাম আবু হানীফা
রাহ.। ইমাম আবু হানীফা রাহ.-এর
পিতা ছাবিতকে তার আব্বা নিয়ে
গিয়েছিলেন আলী রা.-এর কাছে।
কুফাতে থাকতেন তাঁরা। আলী
রা.ও তাঁর খেলাফতের সময় কুফায়
ছিলেন।
তিনি ছাবিতকে আলী
রা.-এর কাছে নিয়ে বললেন - এ
আমার ছেলে। ছাবিত রাহ.-এর জন্য
দুআ করে দিয়েছেন আলী রা.। দুআর
সময় শুধু ছাবিতের জন্য দুআ করেন
নি; ছাবিত এবং তার বংশধরের
জন্য করেছেন। ওই দুআর সবচেয়ে
বেশি ভাগ পেয়েছেন ইমাম আবু
হানীফা রাহ.। যেহেতু আলী রা.-
এর সাথে ইমাম আবু হানীফা
রাহ.-এর দাদার সম্পর্ক ছিল, তাই
বিভিন্ন উপলক্ষে যাতায়াত ছিল।
তাঁরা যেহেতু পারস্য থেকে
এসেছেন, নতুন নতুন ইসলাম গ্রহণ
করেছেন, এখনও ইসলামের সব
বিধিবিধান আয়ত্তে আসেনি।
তাই আগের তালে তালে মনে হল
যে, আজকে তো আমাদের নওরোয,
এটা একটা সুযোগ, তিনি আলী রা.-
এর জন্য কিছু হাদিয়া নিলেন।
হাদিয়া নিলেন নববর্ষ উপলক্ষে।
আলী রা. জিজ্ঞেস করলেন, এটা
কী?
তিনি বললেন, আজকে তো
আমাদের ওখানো (পারস্যে)
নওরোয, সে হিসেবে কিছু হাদিয়া
আনলাম। এ কথা শুনে আলী রা.
বললেন, ‘নওরোযুনা কুল্লা
ইয়াওম’ (প্রতিটি দিনই আমাদের
নববর্ষ)। তুমি তো মুসলিম, ইসলাম
গ্রহণ করেছ; জান মুসলিমের নওরোয
কী? প্রতিটি দিনই মুসলিমের
নওরোয। এটা বছরে একবার আসে
না, প্রতিদিন আসে।
এখন আমরা সেই ইসলামী শিক্ষা
ভুলে গিয়েছি।
(এই ঘটনাটি আল কাউসার হতে সংগৃহীত)
২
হিজরি নববর্ষ একেবারেই নিকটবর্তী। ইসলামী শরীয়তে নববর্ষ উদযাপনের কোনো সুযোগ নাই; সেটা ইংরেজি নববর্ষ হোক অথবা বাংলা নববর্ষ হোক অথবা আরবি নববর্ষ হোক। তো এজন্য আমরা কাউকে আরবি নববর্ষ উপলক্ষে কোনো মেসেজ পাঠাবো না, কোনো শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাবো না। কেউ যদি আমাদের নিকট শুভেচ্ছা বার্তা পাঠায় আমরা তাকে দুই কথা বুঝিয়ে বলার জন্য চেষ্টা করব।
৩
হিজরী নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট করা থেকে নিজেকে বিরত রাখি। সাহাবায়ে কেরাম একে অপরকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতেন না।