আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা -১২৮৭৪: রফউল ইয়াদাইন ফজিলত সংক্রান্ত হাদিসটির সনদের মান?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৮৭৪: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। মুহতারাম,আস্সালামুআলাইকুম, আমরা যারা সালাতে রফউল ইয়াদাইন করি,তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি ফজিলতের হাদীস উল্লেখ করি,তা হচ্ছে"চার রাকাআত বিশিষ্ট সালাতে সর্বমোট ১০টি তাকবীর বলাতে ১০০টি নেকী হাসিল হয়"। বিশুদ্ধতা বর্ণনা করে হাদীসটির রেফারেন্স চাই।

 মাওলানা আবুসুমাইয়া মোঃ শাহজাহান শেখ কুমিল্লা থেকে।


তারিখ: ২৫/১২/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                         


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো

وَنقل عَن عبد الْبر عَن ابْن عمر أَنه قَالَ: رفع الْيَدَيْنِ من زِينَة الصَّلَاة، بِكُل رفع عشر حَسَنَات، بِكُل أصْبع حَسَنَة.


মুহাদ্দিস আব্দুল বার রহঃ হযরত ইবনে উমর রাঃ এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, ইবনে উমর রাঃ বলেছেন, রফউল ইয়াদাইন হল নামাযের মাঝের সৌন্দর্য, প্রতিটি রফউল ইয়াদাইনে রয়েছে দশটি নেকী রয়েছে, অর্থাৎ প্রতিটি আঙ্গুলের বদলে একটি করে নেকী রয়েছে। [উমদাতুল কারী, আলমাকতাবুল তাওফিকীয়্যাহ-৫/৮]


এ হাদীসটি জাল হাদীস।


কারণ বর্ণনাটির প্রথম অংশ তথা রফউল ইয়াদাইন নামাযের সৌন্দর্যের অন্তর্ভূক্ত বক্তব্যটি আব্দুল বার রহঃ তার সংকলিত “আলইসতিযকার” গ্রন্থে এনেছেন, যার সূত্রে রয়েছেন আয়াজ বিন আব্দুল্লাহ আলফিহরী। যাকে ইমাম বুখারী রহঃ মুনকারুল হাদীস বলে মন্তব্য করেছেন। দেখুন ইমাম বুখারী প্রণীত “আয যুআফা-৩/৩৫০, রাবী নং-১৩৭২]


আর দ্বিতীয় অংশটি ইবনে আব্দিল বার রহঃ তার সংকলিত “আততামহীদ” গ্রন্থে এনেছেন। আর উক্ত বর্ণনার সূত্রে রয়েছেন “মাশরাহ বিন হাআন”। যিনি উকবা বিন আমের রাঃ এর সূত্রে মুনকার বর্ণনা করেছেন। দেখুন “আলমাযরূহীন-৩/২৮}


সারকথা হলো,  সুতরাং বুঝা গেল, এ বর্ণনাটি সম্পূর্ণ জাল ও বানোয়াট। এর কোন সহীহ ভিত্তি নেই।





  والله اعلم بالصواب