*
শাকাল ইবনে হুমাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি নিবেদন করলাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে একটি দু‘আ শিখিয়ে দিন।’ তিনি বললেন, ‘‘বল,
وَعَنْ شَكَلِ بنِ حُـمَيدٍ قَالَ : قُلتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ عَلِّمْنيِ دُعَاءً قَالَ قُلْ : اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِي وَمِنْ شَرِّ بَصَرِيْ وَمِنْ شَرِّ لِسَانِيْ وَمِنْ شَرِّ قَلْبِيْ وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّي رواه أَبُو داود والترمذي وقال حديث حسن
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন শাররি সাময়ী, অমিন শাররি বাস্বারী, অমিন শাররি লিসানী, অমিন শাররি ক্বালবী, অমিন শাররি মানিইয়্যী।’’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি আপনার নিকট আমার কর্ণ, চক্ষু, রসনা, অন্তর এবং বীর্য (যৌনাঙ্গে)র অনিষ্ট থেকে শরণ চাচ্ছি। আবূ দাঊদ ১৫৫৩, তিরমিযী ৩৪৯২
কানের গুনাহ চোখের গুনাহ জবানের গুনাহ কলব তথা অন্তরের গুনাহ লজ্জাস্থানের গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাতলানো অতি প্রয়োজনীয় এবং অতি লোভনীয় এই দোয়াটি আমরা নামাজের পর পড়ার জন্য চেষ্টা করি। এছাড়া চলাফেরা ওঠা-বসায় নিয়মিতভাবে মাঝেমধ্যে পড়ার জন্য চেষ্টা করি।
গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য সবচাইতে বেশি প্রয়োজন হলো প্রচণ্ড হিম্মত। আর এর সঙ্গে সঙ্গে বেশি বেশি দোয়া করে আল্লাহর নিকট তৌফিক চাওয়া এবং আল্লাহওয়ালাদের নিকট দুআ চাওয়া।