আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

নসিহা-২৪: আল্লামা রুমির তিনটি নসিহত

No Comments

 



আশেকানে খোদা হযরত মাওলানা রুমী (রহঃ) বলেন :

তিনটি কাজ করো। 


এক নম্বর চোখ বন্ধ করো। কিসের থেকে বন্ধ করবে? নাজায়েয জায়গায় দৃষ্টি দেওয়া থেকে বন্ধ করবে। 


দ্বিতীয় হল, কান বন্ধ করো। কিসের থেকে বন্ধ করবে? নাজায়েজ, হারাম ও অনর্থক কথা শোনা থেকে বিরত থাকবে। 

তৃতীয় হল ঠোঁট অর্থাৎ মুখ বন্ধ কর। কিসের থেকে বন্ধ করবে? অনর্থক ও নাজায়েজ কথা বলা থেকে বন্ধ কর। 

.

এরপরও যদি আল্লাহর নূর নজরে না আসে, তাহলে আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করো। অর্থাৎ, এই তিন জিনিস বন্ধ করার পর অবশ্যই আল্লাহর নূর নজরে পড়বে।


সূত্র : ইসলাহী মাজালিস, ৩য় খণ্ড (২য় ভলিউম), পৃ. : ৯৬,

মুফতী মুহাম্মদ তাকী উসমানী, মাকতাবাতুল আশরাফ।

জিজ্ঞাসা-১২৪০৮: সন্তানের প্রতি পিতার তিনটি হক সম্পর্কে হজরত ওমর রা. এর বর্ণনাটি কি সহিহ?

No Comments

 


জিজ্ঞাসা-১২৪০৮:

আসসালামু আলাইকুম।

একজন লোক হযরত মর ফারুক (রা.) এর কাছে একটি ছেলেকে সঙ্গে করে উপস্থিত হয়ে বলল: এটা আমার ছেলেকিন্তু আমার সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ।’ তখন হযরত মর (রা.) ছেলেটিকে এ বিষয় জিজ্ঞেস করলে,

ছেলেটি বলল হে আমীরুল মুমিনীন! পিতামাতার উপরও কি সন্তানের কোন হক আছেহযরত ওমর (রা.) বললেননিশ্চয়ই।’ তিনটি হক রয়েছে।  ছেলেটি বলল: আল্লাহর শপথআমার এ পিতা আমার এ হকগুলোর একটিও আদায় করেননি।

ই ঘটনা কি সহিহতারিখ: ০১/০১/ ঈসায়ি/ইংরেজি

মাওলানা মুবাশ্বির নীলফামারী থেকে।

 

জবাব:  وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 

 

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  কথা হলো আপনার প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টির আরবি পাঠ নিম্নরূপ:


جاء رجل إلى عمر بن الخطاب " رضي الله عنه" يشكو إليه عقوق ابنه ، فأحضر عمر الولد وأنَّبَه على عقوقه لأبيه ، ونسيانه لحقوقه ، فقال الولد : يا أمير المؤمنين أليس للولد حقوق على أبيه ؟ قال : بلى ، قال : فما هي يا أمير المؤمنين ؟ قال عمر : أن ينتقي أمه ، ويحسن أسمه ، ويعلمه الكتاب ( أي القرآن ) ، قال الولد : يا أمير المؤمنين إن أبي لم يفعل شيئاً من ذلك ، أما أمي فإنها ونجية كانت لمجوسي ، وقد سماني جُعلاً ( أي خنفساء ) ، ولم يعلمني من الكتاب حرفاً واحداً

فالتفت عمر إلى الرجل وقال له : جئت إليَّ تشكو عقوق ابنك ، وقد عققته قبل أن يعقك ، وأسأت إليه قبل أن يسيء إليك ؟! )

অর্থ:  এক ব্যক্তি ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর  কাছে এসেছিলেন তার কাছে তার ছেলের অবাধ্যতার অভিযোগ করেন।  অতঃপর তিনি   ছেলেটিকে উপস্থিত করলেন এবং পিতা-মাতাকে কষ্ট দেওয়া ও হক সম্পর্কে ভুলে যাওয়া  জিজ্ঞেস করলেন। অতঃপর ছেলেটি বললেন, হে আমিরুল মুমিনিন, ছেলের প্রতি কি কোন হক নেই বাবার? তিনি বললেন, হ্যাঁ অবশ্যই।  সে বলল, তা কি হে আমিরুল মুমিনিন? তিনি বললেন, (১) মায়ের দুধ পান করানো, (২) সুন্দর নাম রাখা এবং (৩)     কিতাব  (অর্থাৎ কুরআন) শিক্ষা দেওয়া।  ছেলেটি বলল এর কোনটিও আমাকে শিক্ষা দেয়নি।  


তারপর ওমর (রা.)  লোকটির দিকে ফিরে বললেন: আপনি আমার কাছে আপনার ছেলের অবাধ্যতার অভিযোগ করতে এসেছিলেন এবং সে তোমাকে শাস্তি দেওয়ার আগে তুমি তাকে শাস্তি দিয়েছআর সে তোমাকে গালি দেওয়ার আগে তুমি তাকে গালি দিয়েছ। সূত্র: তারবিয়াতুল আওলাদি ফিল ইসলাম- ১ম খণ্ড; ১২৭ পৃ.

 

এ বর্ণনা সম্পর্কে শায়েখ আলি আল-হালাবি রহ. বলেন, এ সনদের কোন ভিত্তি নেই।

 

দ্বিতীয় কথা হলো, উক্ত বর্ণনায়  সন্তানের প্রতি তিনটি হক  যা  কুরআন-সুন্নাহ  দ্বারা সমর্থিত-প্রমাণিত। যেমন,

 আয়াত নং-০১

وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَن يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ

আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ন দুবছর দুধ খাওয়াবেযদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়। আর সন্তানের অধিকারী অর্থাৎপিতার উপর হলো সে সমস্ত নারীর খোর-পোষের দায়িত্ব প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী। সূরা বাকারা-২৩৩

 

হাদিস নং-০১

من حق الولد على الوالد أن يحسن اسمه ويحسن أدبه.

অর্থ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ও  আয়েশা রা. থেকে বর্ণিতরাসূল () বলেছেন: সন্তানের সুন্দর নাম রাখা ও তার উত্তম তারবিয়াতের ব্যবস্থা করা বাবার উপর সন্তানের হক। তাখরিজ: মুসনাদে বাযযার (আলবাহরুয যাখখার)হাদীস ৮৫৪০


হাদিস নং-০২

عن أبي هريرة - رضي الله عنه – قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ( حق الولد على والده أن يحسن اسمه ، ويعلمه الكتاب ، ويزوجه إن أدرك ) ( ذكره الزبيدي في " إتحاف السادة المتقين " – 6 / 317 ، 318 ، والهندي في " كنز العمال " – برقم 45191 ، 45192 ، 45193 ، والقرطبي في تفسيره – 18 / 195 ، وأبو نعيم في " الحلية " – 1 / 184 ، وذكره

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) নবী করীম () থেকে এ সম্পর্কে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন : পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের হক হচ্ছে প্রথমত তিনটি: জন্মের পরপরই তার জন্য উত্তম একটি নাম রাখতে হবেজ্ঞান বুদ্ধি বাড়লে তাকে কুরআন শরীফ তথা ইসলাম শিক্ষা দিতে হবে। আর সে যখন পূর্ণবয়স্ক হবেতখন তার বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। কানযুল উম্মাল-৪৫১৯১,৪৫১৯২;  কুরতুবি-১৮/১৯৫; মুসনাদে আবু নাঈম-১/১৮৪

 

হাদিস নং-০৩

রাসূলুল্লাহ () ইরশাদ করেনযার সন্তান রয়েছে সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম চরিত্র শেখায়। যখন সে বালেগ হবে তখন তার বিয়ে দেয়। বালেগ হওয়ার পরও যদি বিয়ে না দেয় আর সে কোনো গুনাহ করে ফেলে তবে তার এ গুনাহ তার পিতার উপর বর্তাবে। তাখরিজ: শুআবুল ঈমানবায়হাকী ৬/৪০১হাদীস ৮৬৬৬

 

হাদিস নং-০৪

كلُّ مولودٍ يولَدُ على الفطرةِ فأبواه يُهوِّدانِه أو يُنصِّرانِه أو يُمجِّسانِه

الراوي : أبو هريرة

প্রত্যেক শিশু (ইসলামের) ফিতরতের উপর জন্মলাভ করে। কিন্তু পিতা-মাতা তাকে ইহুদী  বানায়খৃষ্টান বানায়অগ্নিপূজক বানায়। তাখরিজ:  বুখারী ১/১৮৫হাদীস ১৩৮৫সহীহ মুসলিম ২/৩৩৬হাদীস ২৬৫৮

 

সারকথা হলো, আপনার প্রশ্নে বর্ণিত আসারটির সনদ সহিহ নয়, তবে এর সারমর্ম সঠিক, অন্যান্য রেওয়ায়েত/বর্ণনা দ্বারা সমর্থিত-প্রমাণিত। 

 

والله اعلم بالصواب


প্রবন্ধ-৭৮: কুরআনুল কারীমের আলোকে মুত্তাকীদের ঠিকানা কোথায়

No Comments

 



মুত্তাকীদের ঠিকানা কোথায়, 

আসুন কুরআন থেকে জানি। 

#এক. 

اِنَّ الۡمُتَّقِیۡنَ فِیۡ مَقَامٍ اَمِیۡنٍ

নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে নিরাপদ স্থানে। (দুখান:৫১)


#দুই. 

اِنَّ الۡمُتَّقِیۡنَ فِیۡ جَنّٰتٍ وَّ نَعِیۡمٍ 

নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাতে ও আরাম-আয়েশে। (সুরা তুর :১৮)


#তিন. 

اِنَّ الۡمُتَّقِیۡنَ فِیۡ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوۡنٍ

নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাতসমূহে ও ঝর্ণাধারায়। (সুরা যারিয়াত:১৫)


#চার. 

اِنَّ الۡمُتَّقِیۡنَ فِیۡ جَنّٰتٍ وَّ نَہَرٍ

নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে বাগ-বাগিচা ও ঝর্নাধারার। (সুরা ক্বামার:৫৪)


#পাঁচ. 

اِنَّ الۡمُتَّقِیۡنَ فِیۡ ظِلٰلٍ وَّ عُیُوۡنٍ

নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে ছায়ায় ও ঝর্ণামালার স্থানে। (সুরা মুরাসালাত:৪১)


#আল্লাহর ভয়ে পাপ থেকে বেঁচে থাকার নাম হলো তাকওয়া। আর যারা তাকওয়া মেনে চলেন তারা মুত্তাকী। তবে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে মুত্তাকীদের অনেক গুণাবলী বর্ণনা করা হয়েছে। 


আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার তাওফিক দিন।

আমল ও দুআ-৩৭২: কুরআনুল কারীমে বর্ণিত নবীদের দুআ-০৮

No Comments

 



✅পবিত্র কুরআনে আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম-এর দুআ পর্ব ৮ 


✅হযরত যাকারিয়া আ.-এর দুআ


🟢হযরত ঈসা আ.-এর মাতা হযরত মারইয়াম আলাইহিস সালাম কৈশোরকালে বাইতুল মুকাদ্দাসের একটি কুঠরিতে আল্লাহ পাকের ইবাদত বন্দেগী করতেন। তৎকালীন নবী হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম ছিলেন হযরত মারইয়ামের খালু। তিনি যখন হযরত মারইয়ামের হুজরাতে প্রবেশ করতেন, তখনই তার নিকট বে-মওসুুম ফল দেখতে পেতেন। এতে তিনি বিস্মিত অভিভূত হন। একদিন জিজ্ঞাসা করলেন, হে মারইয়াম তোমার নিকট এসব ফল কোথা থেকে আসে? উত্তরে মারইয়াম বললেন, এগুলো আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে আসে। আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবিকা দিয়ে থাকেন।


হযরত যাকারিয়া আ. নিঃসন্তান ছিলেন। তখন তার বয়স সাতাত্তর বছর। এবং তার স্ত্রী বন্ধ্যা। তিনি সন্তান হওয়ার ব্যাপারে নিরাশ ছিলেন। কিন্তু হযরত মারইয়ামের নিকট অকালে ফল দেখে তার হৃদয়ে এ উদ্দীপনা সৃষ্টি হল যে, যে মহান সত্তা অকালে ফল পাঠাতে পারেন তিনি আমার প্রতিও দয়াপরবশ হয়ে আমাকে বার্ধক্যে সন্তান দান করতে পারেন। যে সন্তান আমার অবর্তমানে দ্বীনী দাওয়াতের খেদমত আঞ্জাম দেবে। তখন তিনি আল্লাহ পাকের নিকট সবিনয় নিবেদন করেন,


رَبِّ اِنِّیْ وَهَنَ الْعَظْمُ مِنِّیْ وَ اشْتَعَلَ الرَّاْسُ شَیْبًا وَّ لَمْ اَكُنْۢ بِدُعَآىِٕكَ رَبِّ شَقِیًّا وَ اِنِّیْ خِفْتُ الْمَوَالِیَ مِنْ وَّرَآءِیْ وَ كَانَتِ امْرَاَتِیْ عَاقِرًا فَهَبْ لِیْ مِنْ لَّدُنْكَ وَلِیًّا یَّرِثُنِیْ وَ یَرِثُ مِنْ اٰلِ یَعْقُوْبَ وَ اجْعَلْهُ رَبِّ رَضِیًّا.


“হে আমার প্রতিপালক, আমার অস্থি দুর্বল হয়ে গেছে, বার্ধক্যে আমার মস্তক শুভ্রোজ্জ্বল হয়েছে। হে আমার প্রতিপালক, আপনাকে আহ্বান করে আমি কখনও ব্যর্থকাম হইনি। আমি আশঙ্কা করছি আমার পর আমার স্বগোত্রীয়দের সম্পর্কে; আমার স্ত্রী বন্ধ্যা; সুতরাং আপনার নিকট থেকে আমাকে দান করুন উত্তরাধিকারী, যে আমার উত্তরাধিকারীত্ব করবে এবং উত্তরাধিকারীত্ব করবে ইয়াকুবের বংশের। হে আমার প্রতিপালক, তাকে করুন সন্তোষভাজন।” -সূরা মারইয়াম ৪-৬



🟢হযরত যাকারিয়ার নিকট সন্তানের দৌলত থেকে বঞ্চিত থাকা কোনো দুঃখের বা চিন্তার কারণ ছিল না; বরং তিনি নবুওয়াত ও দ্বীনী শিক্ষার উত্তরাধিকারীত্বের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ছিলেন। এজন্য তিনি অতিশয় বিনয়াবনত হয়ে প্রার্থনা করেছেন,


رَبِّ لَا تَذَرْنِیْ فَرْدًا وَّ اَنْتَ خَیْرُ الْوٰرِثِیْنَۚ.


“হে আমার রব, আমাকে নিঃসন্তান রাখবেন না, আপনি তো চূড়ান্ত মালিকানার অধিকারী।”-সূরা আম্বিয়া ৮৯


🟢কখনও তার হৃদয়ের গহীন অতল কন্দর থেকে উথলে ওঠে করুণ আর্তি-


رَبِّ هَبْ لِیْ مِنْ لَّدُنْكَ ذُرِّیَّةً طَیِّبَةً ۚ اِنَّكَ سَمِیْعُ الدُّعَآءِ


“হে আমার প্রতিপালক, আমাকে আপনার নিকট থেকে সৎ বংশধর দান করুন। আপনিই প্রার্থনা শ্রবণকারী।” -সূরা আলে ইমরান ৩৮


আল্লাহ পাকের মনোনীত একজন নবীর সকাতর প্রার্থনা, প্রার্থনাও নিজের জন্য নয়; বরং সমাজ ও জাতির পথ প্রদর্শন ও কল্যাণচিন্তায়, সঙ্গে সঙ্গে কবুল হল। হযরত যাকারিয়া আ. ইবাদতে মশগুল ছিলেন। এমন সময় ফেরেশতার আবির্ভাব ঘটল। ফেরেশতা সুসংবাদ দিলেন, আপনার একজন পুত্রসন্তান জন্মলাভ করবে, আপনি তার নাম ইয়াহইয়া রাখবেন। একথা শুনে হযরত যাকারিয়া আ. সীমাহীন আনন্দিত হন।


৬. কাসাসুল কুরআন ১/৪৯০-৪৯১; ৭. আলজামিউস সহীহ লিলবুখারী, (কিতাবুল আম্বিয়া) ১/৪৮৭; তাফসীরে ইবনে কাসীর 


🟢আগত সন্তানদের জন্য দুআ বা নিঃসন্তান মায়েদের জন্য দুআর পর্বে এ দুআগুলোর কিছু এসেছিলো। কখনো সময় পেলে নবী রাসূল দের জীবনাচরণ নিয়ে সিরিজ করব। কুরআন এর তাফসির এর সিরিজ এর সাথে। তাহলে বেশ ভালো একটা কাজ হতে পারে। জানার গভীরতা ও কুরআন অনুধাবন সহজ হবে ইন শা আল্লাহ। শীঘ্রই হবে আশা করি, রামাদানের আগেই।

No Comments

 

হযরত আয়েশা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন :

ﻻَ ﻳُﻐْﻨِﻲْ ﺣَﺬَﺭٌ ﻣِﻦْ ﻗَﺪَﺭٍ ﻭَﺍﻟﺪُّﻋَﺎﺀُ ﻳَـﻨْـﻔَﻊُ ﻣِﻤَّﺎ ﻧَﺰَﻝَ ﻭَﻣِﻤَّﺎ ﻟَـﻢْ ﻳَﻨْـﺰِﻝْ ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺒَﻼَﺀَ ﻟَﻴَﻨْـﺰِﻝُ ﻓَﻴَﻠْـﻘَﺎﻩُ ﺍﻟﺪُّﻋَﺎﺀُ ﻓَﻴَﻌْـﺘَﻠِﺠَﺎﻥِ ﺇِﻟَﻰ ﻳَﻮْﻡِ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ

“সাবধানতার দ্বারা তকদীর বা ভাগ্য পরিবর্তিত হয় না। যে বিপদ বা মুসিবত নাযিল হয়ে গিয়েছে এবং যা এখনো নাযিল হয়নি (ভবিষ্যতের ভাগ্যে আছে কিন্তু এখনো বাস্তবে আসেনি) এরূপ সকল বিপদ কাটাতে প্রার্থনা উপকারী। আসমান থেকে বালা-মুসিবত নাযিল হওয়ার অবস্থায় প্রার্থনা তাকে বাঁধা দেয় এবং তারা উভয়ে কেয়ামত পর্যন্ত ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। (কোনো অবস্থাতেই দু‘আ বিপদকে নিচে নেমে আসতে দেয় না)”।

হাকিম, আল-মুসতাদরাক ১/৬৭০; তিরমিযী, আস-সুনান ৫/৫৫২; হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১৪৬; আহমদ, আল-মুসনাদ ৫/২৩৪; মুনযিরী, আত-তারগীব ২/৪৭৮।

জিজ্ঞাসা-১৩১৭৬: পকেটে নাপাক বস্তু রেখে নামাজ শুদ্ধ হবে কি

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩১৭৬: 

আসসালামু আলাইকুম। ব্যবহৃত কন্ডম যদি তার কাগজের প্যাকেটের ভিতরে ঢাকা অবস্থায় থাকে এবং সেই কাগজের প্যাকেট পকেটে নিয়ে নামাজ আদায় করলে কি নামাজ সহীহ হবে?

তারিখ:৩০/০১/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 জনৈক মাওলানা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, নাপাক বস্তু পকেটে রেখে নামাজ শুদ্ধ হয় না। কেননা নামাজির পোশাক পবিত্র হওয়া ফরজ। দলিল- 

Surah Al-Muddathir, Verse 4:

وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ

আপন পোশাক পবিত্র করুন। সূরা মুদ্দাসির-০৪


فلا تصح صلاة حامل النجاسة عند الجمهور من العلماء، فإذا حملت العينة المذكورة في جيبك، فلا بد أن تخرجها منه إذا أردت الصلاة

অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমগণের মতে নাপাক পদার্থ বহনকারী ব্যক্তির সালাত আদায় হবেনা। সুতরাং পকেটে কোন নাপাক পদার্থের স্যাম্পল রেখে থাকলে, সালাত আদায় করতে চাইলে প্রথমে তা বের করে অন্যত্র রেখে দেয়া লাগবে। তারপরই সালাত শুরু করা যাবে। সূত্র: ফিকহুল ইবাদাত, তহারাতুস সাওবি-বাদানি-ওয়াল মাকানি-৪৪১৭৬৯


لو صلى وفى كمه قارورة مضمومة فيها بول لم تجز صلاته، لأنه فى غير معدنه 

অর্থাৎ কেউ যদি ছিপি দিয়ে আটকানো কোন প্রস্রাবের বোতল আস্তিনে রেখে সালাত আদায় করে, তাহলে তার সালাত শুদ্ধ হবেনা। কারণ নাপাক পদার্থটি এখন আর তার উৎপত্তিস্থলে বিদ্যমান নেই। বরং তা ভিন্নভাবে বহন করা হচ্ছে। ( আল-বাহরুর রায়েক; ১/৪৬৪)



সারকথা হলো,   ব্যবহৃত কন্ডম যদি তার কাগজের প্যাকেটের ভিতরে ঢাকা অবস্থায় থাকে এবং সেই কাগজের প্যাকেট পকেটে নিয়ে নামাজ আদায় করলে  নামাজ সহীহ হবে না। পুনরায় আদায় করতে হবে।



  والله اعلم بالصواب

প্রচলিত ভুল-০৭: নবজাতককে কেন্দ্র করে যে সব ভুলভ্রান্তি ঘটে থাকে: পর্ব ৬

No Comments

 


নবজাতককে কেন্দ্র করে যে সব ভুলভ্রান্তি ঘটে থাকে: পর্ব ৬

🟢মেয়ের নাম বাবার সাথে এবং ছেলের নাম মায়ের সাথে মিলিয়ে রাখা


অনেকের নাম নির্বাচনের সময় প্রধান শর্ত থাকে মেয়ের নাম বাবার নামের প্রথম অক্ষরের সাথে মিল করে রাখা। আর ছেলের নাম মায়ের নামের প্রথম অক্ষরের সাথে মিল করে রাখা, অথচ এটি নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে নূন্যতম ভ্রুক্ষেপ যোগ্য নয়। নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে ওই সব বিষয়ই লক্ষণীয় যা পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।


🟢আরবী  শব্দে বা কুরআন-হাদীসে ব্যবহৃত শব্দে নাম রাখা


অনেকে মনে করে নামটি আরবী হলেই চলে। অর্থ যাই হোক না কেন। আর ওই শব্দ যদি কুরআন-হাদীসের হয়ে থাকে তবে তো আর প্রশ্নই নেই। নাম রাখার জন্য বড় দলিল হয়ে যায়। অথচ শরীয়তে নাম রাখার জন্য যে সকল নীতি দিয়েছে সেখানে স্পষ্ট রয়েছে যে, নামটি ভালো অর্থের হতে হবে। শুধু আরবী বা শুধু কুরআনের শব্দ বলেই তা নাম হিসাবে চয়ন করা যাবে না। অর্থের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কুরআন মজীদে জাহান্নাম, শয়তান, ফেরআউন ইত্যাদি শব্দও রয়েছে। তাই বলে কি এ সকল শব্দ দ্বারা নাম রাখা যাবে? কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোনো কোনো মুসলমান সন্তানের নাম শুধু শব্দটি কুরআনে আছে বলেই রেখে দেওয়া হয়। যেমন ‘কাফিরুন’ (কাফের এর বহু বচন) ‘ঝাফীর’ (জাহান্নামীদের আর্ত চিৎকার) ‘রিবা’ (সুদ) ‘নবীউল্লাহ’ (আল্লাহর নবী) ‘মুরসালীন’ (রসূলগণ) ‘আম্বিয়া’ (নবীগণ) ‘মাহীন’ (তুচ্ছ) ইত্যাদি নাম রাখতে দেখা যায়। আম্বিয়া সাধারণত মহিলাদের নাম রাখা হয়। এর অর্থ নবীগণ। কী আশ্চর্য? কোনো নবী নারী ছিলেন না। অথচ একজন মহিলার নাম রাখা হচ্ছে নবীগণ! পুরুষ হলেও নবী নয় এমন ব্যক্তির নাম কীভাবে নবী রাখা হয়? আর রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরে তো কোন নবী হওয়ার অবকাশই নেই। এ ভুলের মূল কারণ শরীয়ত ও আরবীর নূন্যতম জ্ঞান না থাকা।


🟢আনকমন নাম রাখা


আজকাল কেউ নাম চাইলেই বলে, হুজুর নামটা আনকমন হতে হবে। বলার ভঙ্গিতে মনে হয় ৪০-৫০ বছরে কারও নাম হিসাবে শোনেনি এমন নাম চাচ্ছেন। কিন্তু শরীয়তের নীতিমালা অনুসরণে এত বিরল নাম পাওয়া যাবে কীভাবে? শরীয়তের দৃষ্টিতে উত্তম নাম রাখলে তো নবী-রাসূল ও পুণ্যবান লোকদের নামই রাখতে হয়। কিন্তু এগুলো তো আনকমন নয়। বাধ্য হয়ে তখন খারাপ অর্থের আরবী শব্দ নাম রাখে, যা আদৌ ঠিক নয়।


🟢মুহাম্মাদ ও মুসাম্মাৎ সংযোজন


ছেলেদের নামের শুরুতে মুহাম্মাদ সংযোজনকে জরুরি মনে করা হয়। এটি জরুরি নয়। আর মেয়েদের নামের শুরুতে মুসাম্মাৎ সংযোজন করা হয়। এর অর্থ নাম্মী। তাহলে মুসাম্মাৎ শরীফা অর্থ দাড়াবে শরীফা নাম্মী। আচ্ছা বলুনতো নাম্মী শব্দটি কি নামের অংশ হতে পারে?

জিজ্ঞাসা-১৩১৭৫: ছেলের শালিকে বিবাহ করা জায়েজ হবে কিনা

No Comments

 


জিজ্ঞাসা-১৩১৭৫: 

আসসালামু আলাইকুম। ছেলের শালিকে বিবাহ করা জায়েজ হবে কিনা জানালে কৃতজ্ঞ থাকব। 

তারিখ:৩০/০১/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 কারী মুমিন সাভার ঢাকা থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, ছেলের শালি মাহরামের কেউ নয়। তাই তাকে বিবাহ করা জায়েয। দলিল- 

فإن أم زوجة الابن ليست محرمًا لأبيه من جهة المصاهرة، وإنما تحرم على ابنه، لأنها أم زوجته، ومثلها أخت زوجة ابنه، فهما داخلتان في عموم النساء المباحات اللائي ذكرهن الله تعالى بعد حصر النساء المحرمات، فقال الله تعالى

ছেলের শ্বাশুড়ি বৈবাহিক দিক দিয়ে তার বাবার কাছে নিষিদ্ধ নয়, বরং এটি তাঁর ছেলের পক্ষে নিষিদ্ধ, কারণ তিনি তাঁর স্ত্রীর মা এবং তার ছেলের স্ত্রীর একই বোন তথা শালি একই, তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সাধারণ মহিলারা যারা অনুমতিযোগ্য যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা মাহরাম নারীর পরে উল্লেখ করেছেন। যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেন,

Surah An-Nisa, Verse 23:

حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالَاتُكُمْ وَبَنَاتُ الْأَخِ وَبَنَاتُ الْأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُم مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللَّاتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَائِكُمُ اللَّاتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُوا دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلَائِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلَابِكُمْ وَأَن تَجْمَعُوا بَيْنَ الْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا

তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু। সূরা নিসা-২৩


সারকথা হলো,  ছেলের শালিকে বিবাহ করা জায়েজ হবে। তবে পারিবারিক সমস্যা- সামাজিক ফিতনা বিবেচনা করে, না করাই উচিত।



  والله اعلم بالصواب

আমলের উপকারিতা-২০: মিসওয়াকের ৭০টি ফায়দা ও উপকারিতা

No Comments

 



মিসওয়াকের ৭০টি  ফায়দা ও উপকারিতা 

*****

১. আল্লাহ তা'আলা সন্তুষ্ট হন।

২. ফেরেশতারা খুশি হন।

৩. ফেরেশতারা তার সাথে মোসাফাহা করেন।

৪. ফেরেশতারা তার প্রশংসা করেন।

৫. নামায পড়তে বের হলে ফেরেশতারা তাকে অভ্যর্থনা জানায়।

৬. মসজিদ থেকে বের হলে ফেরেশতারা তার পিছনে পিছনে চলেন।

৭. আরশ বহনকারী ফেরেশতারা তার জন্য ক্ষমার দু'আ করেন, যখন সে মসজিদে থেকে বের হয়।

৮. ফেরেশতারা তাকে নবী রসুলগণের অনুসারী বলেন।

৯. নবী রসুলগণ তার জন্য মাগফিরাতের দু'আ করেন।

১০. শয়তান অসন্তুষ্ট হয়।

১১. শয়তান বিতারিত হয়।

১২. প্রয়োজন মিটাতে সাহায্য করে।

১৩. হযরত আলি রাযি. ও হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত আছে, মেসওয়াক করার বরকতে রিজিক সহজে উপার্জন হয়।

১৪. নামাজের ফজিলত ৭০ গুণ বৃদ্ধি করে দেয় হয়। আর ইমাম আবু জাফর তাহাবি রহ. থেকে বর্ণিত, নামাযের ফযিলত ৯৩ গুণ থেকে ৪০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধির বর্ণনা করা পাওয়া যায়।

১৫. বাকশক্তি সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়।

১৬. কন্ঠস্বর সুন্দর করে।

১৭. মুখ পরিষ্কার করে। 

১৮. জিহ্বা পরিষ্কার করে।

১৯. চাহিদা পরিচ্ছন্ন করে।

২০. দাঁতের শুভ্রতা ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

২১. মুখে সুঘ্রাণ আনে।

২২. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।

২৩. রুচি বৃদ্ধি করে।

২৪। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

২৫. মেরুদন্ড মজবুত করে। 

২৬. দাঁত মজবুত করে।

২৭. দাঁতের মাড়ি মজবুত করে।

২৮. মাথা ব্যথা দূর করে।

২৯. কাশি দূর করে।

৩০. শরীরের অতিরিক্ত আদ্রতা দূর করে।

৩১. স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করে।

৩২. জ্ঞান- বুদ্ধি বৃদ্ধি করে।

৩৩. দৃষ্টি শক্তি তীক্ষ্ণ করে।

৩৪. শ্রবণ শক্তি বৃদ্ধি করে।

৩৫. মাথা ঠান্ডা রাখে।

৩৬. শরীর শক্তিশালী করে।

৩৭. পেট পরিষ্কার করে।

৩৮. পেটের রোগ দূর করে।

৩৯. অন্তর- আত্মা পবিত্র হয়।

৪০. আর্দ্রতা বন্ধ করে।

৪১. বীর্য ঘন করে।

৪২. সর্বপ্রকার ব্যাথা দূর করে।

৪৩. জ্বর থাকলে তা কমে যায়।

৪৪. ধন- সম্পদ বৃদ্ধি করে।

৪৫. স্ত্রী স্বামীর প্রতি, স্বামী স্ত্রীর প্রতি সন্তুষ্ট থাকে।

৪৬. যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়।

৪৭. যার মাথায় বা শরীরে পশম নেই মেসওয়াক করার দ্বারা তার শরীরে ও মাথায় চুল গজায়।

৪৮. যুদ্ধে জয় লাভ করা যায়।

৪৯. চুলের গোড়া শক্ত করে।

৫০. মেসওয়াক করার বরকতে শত্রুর দিলে ভয় সৃষ্টি হয়।

৫১. মেসওয়াক করার বরকতে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা যায়।

৫২. শরীরের রং উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় করে।

৫৩. শয়তানের ওয়াছওয়াছা দূর হয়।

৫৪. ক্ষুধা দূর করে।

৫৫. ইবাদতে শক্তি বৃদ্ধি করে।

৫৬. সন্তান -সন্ততি নেককার  ও সভ্যভদ্র হয়।

৫৭. অধিক সন্তান লাভ হয়।

৫৮. বার্ধক্য বিলম্বে আসে।

৫৯. মৃত্যুর সময় ফেরেশতারা সম্মানের সাথে উপস্থিত হন। 

৬০. মৃত্যুর সময় ফেরেশতারা এমন আকৃতিতে আসে যেমন আকৃতিতে নবী রসুলগণের কাছে আসতেন। 

৬১. মৃত্যুর কষ্ট তাড়াতাড়ি শেষ হয়।

৬২. মেসওয়াক করার বরকতে মৃত্যুর সময় আত্মা সহজে বের হয়।

৬৩. মৃত্যুর সময় কালেমা নসীব হয়।

৬৪. কবর প্রশস্ত হয়।

৬৫. কবরে সান্তনা দেয়া হয়।

৬৬. জান্নাতের দরজা সমূহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

৬৭. জাহান্নামের দরজা সমূহ তার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।

৬৮. আমল নামা ডান হাতে পাওয়া যায়।

৬৯. পুলসিরাত বিজলীর মতো পার হওয়া যায়।

৭০. আশা রাখা যায় বিনা হিসাবে জান্নাতের ফায়সালা করা হবে। ইনশাআল্লাহ 

--------------------------------------


জিজ্ঞাসা-১৩১৭৪: হজের জন্য সঞ্চিত টাকা বিভিন্ন কাজে ব্যয় করা জায়েয হবে কি

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩১৭৪: 

আসসালামু আলাইকুম। একটা মাসয়ালা জানার প্রয়োজন। কেউ যদি হজ্জের নিয়তে টাকা জমা করে। উক্ত টাকা হতে অন্য কোনো প্রয়োজন অথবা জমি কেনার কাজে খরচ করতে পারবে কি না?

তারিখ:২৯/০১/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  কামরুল হাসান যশোর থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপরই কেবল হজ ফরজ। সামর্থ্যবান বলতে হজের খরচ বহন করার ক্ষমতা এবং ঐ সময়কালীন পরিবারের খোরাকি থাকা। প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ যখন থাকবে তখনও হজ ফরজ হবে। যেমন,


Surah Aal-e-Imran, Verse 97:

فِيهِ آيَاتٌ بَيِّنَاتٌ مَّقَامُ إِبْرَاهِيمَ وَمَن دَخَلَهُ كَانَ آمِنًا وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَي

 আর এ ঘরের হজ্ব করা হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থ রয়েছে এ পর্যন্ত পৌছার। সূরা ইমরান-৯৭


দ্বিতীয় কথা হলো, খরচ দুই প্রকার। এক.প্রয়োজনীয়, দুই. উন্নয়নমূলক।


প্রয়োজনীয় খরচ করলে করতে অসুবিধা নেই, কিন্তু উন্নয়নমূলক খরচ করলে, সেটা অতিরিক্ত অর্থ হিসেবে গণ্য হবে। হজের  জন্য (হজ করতে যে টাকা লাগে) নির্দিষ্ট  টাকা অতিরিক্ত হলেও হজ ফরজ হবে।


আর হজ ফরজ হলে বিনা ওজরে দেরিতে আদায় করা জমহুরের নিকট গুনাহের কাজ। দলিল-

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، مُحَمَّدُ بْنُ خَازِمٍ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مِهْرَانَ أَبِي صَفْوَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَرَادَ الْحَجَّ فَلْيَتَعَجَّلْ " .

১৭৩২. মুসাদ্দাদ ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি হজ্জের ইচ্ছা করে সে যেন অবিলম্বে তা সম্পন্ন করে।

Narrated Abdullah ibn Abbas:

The Prophet (ﷺ) said: He who intends to perform hajj should hasten to do so.

—সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ১৭৩২ (আন্তর্জাতিক নং ১৭৩২)


 الحجُّ واجبٌ على الفَوْرِ عند تحقُّقِ شُروطِه، ويأثمُ المرءُ بتأخيرِه، وهو مَذْهَبُ الحَنابِلَة، وروايةٌ عن أبي حنيفةَ، وقولُ أبي يوسُفَ من أصحابِه، وقولُ بعضِ المُتَأخِّرينَ من المالِكِيَّة، ونُقِلَ عن مالكٍ، وهو قولُ داودَ الظَّاهريِّ، وذهب إليه أكثَرُ العلماءِ، واختاره الشَّوْكانيُّ، والشِّنْقيطيُّ، وابنُ باز، وابنُ عُثيمين الإنصاف)) للمرداوي (3/287)، ((كشاف القناع)) للبهوتي (2/377 ) ((السيل الجرار)) (1/304).

অর্থাৎ হজ্জ আদায়ের যাবতীয় শর্তাবলী পাওয়া যাওয়া মাত্রই তাৎক্ষণিকভাবেই হজ্জ আদায় করা আবশ্যক। তা আদায়ে বিলম্ব করলে ব্যক্তি গুনাগগার হবে। এটিই হলো হাম্বলী মাযহাব। ইমাম আবূ হানীফা ( রাহি.) হতেও এমন একটি বর্ণনা পাওয়া যায়। এছাড়া তার শিষ্যবৃন্দের মধ্য হতে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহি.) এই মতের প্রবক্তা। ইমাম মালেক, দাঊদ যাহেরী, শাওকানী, শিনকিতি সহ অধিকাংশ আলেমগণ এই মতকে গ্রহণ করেছেন। শায়েখ বিন বায ও বিন উসাইমিন (রাহি.) এর মতও এক্ষেত্রে অভিন্ন। সূত্র: কাশফুল কনা-২/৩৭৭;


সারকথা হলো,  হজের জন্য গচ্ছিত টাকা প্রয়োজনে, প্রয়োজন বলতে সংসার পরিচালনা বাবদ, চিকিৎসা, ঋণ ইত্যাদির জন্য ব্যয় করতে অসুবিধা নেই।

তবে জমি কেনা দুই ধরনের হতে পারে। এক. থাকার/বাড়ি করার জন্য জমি কেনা, দুই. বাড়ি আছে, অতিরিক্ত বাড়ি বা জায়গায় কিনে পরবর্তীতে বেশি দামে বিক্রি করা।

তাহলে দ্বিতীয় সুরুতে হজের টাকা ব্যয় করা ঠিক হবে না। 



  والله اعلم بالصواب

জিজ্ঞাসা-১৩১৭৩: কাফের-মুরতাদের সাথে বিবাহের হুকুম

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩১৭৩: 

আসসালামু আলাইকুম। একজন বোন জানতে চেয়েছেন:-

তার বিয়ে হয়েছে এমন একজনের সাথে যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে ঠিক কিন্তু দুই রাকাত করে।

আর ওজু করে কিন্তু পা ধৌত করে না।

এবং হায়েজ অবস্থায় নামায পড়া জায়েয মনে করে।

তাদের ফ্যামিলিতে মহিলারা নাপাক অবস্থায় নামায আদায় করে থাকে।

এখন ঐ বোনটির জানার বিষয় হলো তাদের বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে কিনা?

কারণ অনেকেই বলছেন তাদের বিবাহ শুদ্ধ হয়নি।

তারিখ:২৮/০১/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা নাসরুল্লাহ নোয়াখালী থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, আপনার প্রশ্নের উল্লেখিত ইসলামী বিধানগুলি কোরআন এবং সুন্নাহ দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত। সুতরাং কোন ব্যক্তি যদি তা অস্বীকার করে বা হারামকে হালাল মনে করে নিঃসন্দেহে এটা কুফুরি, সে কাফের হয়ে যায়। আর কাফের-মুরতাদের সাথে বিবাহ জায়েজ নেই। দলিল- 


পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের রাকাতের সংখ্যা হাদিসের মোতাওয়াতির এবং আমলে মোতাওয়াতের দ্বারা প্রমাণিত। সুতরাং হাদিসে মুতাওয়াতির অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যাবে। 


وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى (3) إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى (4)

তিনি নিজের পক্ষ থেকে কোন কথা বলেন না, তিনি তা'ই বলেন, যা আল্লাহ তা'আলা অহী মারফত জানান। সুরা নাজম-৩-৪


ব্যাখ্যা:

وقال وقال السيوطي في كتابه: "مفتاح الجنة في الاحتجاج بالسنة": فاعلموا رحمكم الله أن من أنكر حديث النبي صلى الله عليه وسلم قولا كان أو فعلا بشرطه المعروف في الأصول حجة كفر ، وخرج عن دائرة الإسلام ، وحشر مع اليهود والنصارى أو من شاء من فرق الكفرة

অর্থাৎ আল্লামা সুয়ূতি স্বীয় রচিত " মিফতাহুল জান্নাহ ফিল ইহতিজাজ বিস সুন্নাহ" গ্রন্থে  বলেন, "জেনে রাখুন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বর্ণনাগত কিংবা কর্মগত যে হাদীসটি উসূলে হাদীসের দৃষ্টিকোণ থেকে পরিপূর্ণ মাত্রায় যাবতীয় শর্ত বিদ্যমান থাকায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে, সেই হাদীসকে কেউ অস্বীকার করলে তাকে কাফের বলা হবে, এবং সে ইসলের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। তার হাশর হবে, ইহুদী-নাসারা কিংবা অন্য কোন কাফের সম্প্রদায়ের সাথে।  (সুয়ূত্বী, মিফতাহুল জান্নাহ, পৃ ৬ ) ।


يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ 

হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর, মাথা মুছেহ কর এবং পদযুগল গিটসহ। সূরা মায়েদা-০৬


Surah Al-Baqara, Verse 222:

وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ

আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। সূরা বাকারা-২২২


حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ حَدَّثَتْنِي مُعَاذَةُ، أَنَّ امْرَأَةً، قَالَتْ لِعَائِشَةَ أَتَجْزِي إِحْدَانَا صَلاَتَهَا إِذَا طَهُرَتْ فَقَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ كُنَّا نَحِيضُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلاَ يَأْمُرُنَا بِهِ‏.‏ أَوْ قَالَتْ فَلاَ نَفْعَلُهُ‏

৩২১। মু’আযাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত জনৈকা মহিলা ’আয়িশা (রা.) কে বললেন: হায়েযকালীন কাযা সালাত পবিত্র হওয়ার পর আদায় করলে আমাদের জন্য চলবে কি-না? ’আয়িশা (রা.) বললেন, তুমি কি হারূরিয়্যাহ? (খারিজীদের একদল) আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে ঋতুবতী হতাম কিন্তু তিনি আমাদের সালাত কাযার নির্দেশ দিতেন না। অথবা তিনি (’আয়িশা (রা.) বলেন, আমরা তা কাযা করতাম না। (মুসলিম ৩/১৫, হা. ৩৩৫, আহমাদ ২৪৭১৪)


দ্বিতীয় কথা হলো, কাফের-মুরতাদের সাথে বিবাহ হারাম। দলিল- 


Surah Al-Baqara, Verse 221:

وَلَا تَنكِحُوا الْمُشْرِكَاتِ حَتَّىٰ يُؤْمِنَّ وَلَأَمَةٌ مُّؤْمِنَةٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكَةٍ وَلَوْ أَعْجَبَتْكُمْ وَلَا تُنكِحُوا الْمُشْرِكِينَ حَتَّىٰ يُؤْمِنُوا وَلَعَبْدٌ مُّؤْمِنٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكٍ و

আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। সূরা বাকারা-২২১


ومنها إسلام الرجل إذا كانت المرأة مسلمة، فلا يجوز إنكاح المؤمنة للكافر، لقوله تعالى: ولا تنكحوا المشركين حتى يؤمنوا (بدائع الصنائع، كتاب النكاح، اسلام الرجل إذا كانت المرأة مسلمة، زكريا-2/

অর্থাৎ,  বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো, স্ত্রী মুসলিম হলে স্বামীকেও ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের হতে হবে। সুতরাং মূমিন নারীকে কাফিরের সাথে বিবাহ দেয়া বৈধ নয়। কারণ মহান আল্লাহ তায়লার বাণী: মুশরিকরা ঈমান না আনা পর্যন্ত তাদের সাথে তোমাদের কোন মুসলিম নারীকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করবেনা। ( বাদায়েউস সানায়ে, কিতাবুন নিকাহ, ২/৫


قَوْله تَعَالَى { وَمَنْ يَكْفُرْ بِالْإِيمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِي الْآَخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ ‏سورة المائدة-5) ‏

আল্লাহ তায়ালা বলেন-ঈমান আনার পর যে ব্যক্তি কুফরী করে তার সকল আমল বাতিল হয়ে যায়। আর সে ‎আখেরাতে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা মায়িদা-৫)‎


ولا يجوز للمرتد أن يتزوج مرتدة ولا مسلمة ولا كافرة أصلية وكذلك لا يجوز ‏نكاح المرتدة مع أحد كذا في المبسوط(الفتاوى الهندية-1/282)‏

মৌলিকভাবে মুরতাদের জন্য মুরতাদকে, কোন মুসলিমকে, এবং কোন কাফেরকেও বিবাহ করা জায়েজ নয়। ‎‎(ফাতওয়ায়ে আলমগীরী০১/২৭২


সারকথা হলো,  আপনার প্রশ্নে বর্ণিত ব্যক্তি/পরিবার যদি নামাজকে দুরাকাত, পা ধোয়া ফরজ মনে না করে এবং পিরিয়ড অবস্থাকে অপবিত্র মনে না করে, তাহলে তারা মুরতাদ (কাফের), তার সাথে বিবাহ শুদ্ধ হয়নি।


পরামর্শ: তাদেরকে উল্লেখিত আমলের কারণ বা তাদের আকিদা জিজ্ঞেস করে, বিজ্ঞ মুফতি কেরাম থেকে জেনে আমল করা জরুরি।



  والله اعلم بالصواب

Stylo

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাদের ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম। পোষ্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর কোন পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্সে করে যোগাযোগ করুন। জাযাকাল্লাহু খাইর