জিজ্ঞাসা-১২৩৯৩:
ওমরাহ পালনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন ফজিলত পূর্ণ দিন আছে? বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার। তারিখ: ২২/১২/২২ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা মোহাম্মাদ আব্দুর রহমান বগুড়া থেকে।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো,
يجوزُ للمُسلم أن يؤدِّي العُمرة في أيِّ وقتٍ من أوقات العام، وفي أيِّ شهرٍ من شهوره؛ فأداؤها لا يختصُّ بوقتٍ محدد، فللمسلم أن يؤدِّيها متى شاء،[٧] ولا يُكره تأديتُها في أيِّ وقتٍ، سواءً كانت في أشهر الحجِّ أو غيرها.[٨]
একজন মুসলমানের জন্য বছরের যে কোন সময় এবং এর যে কোন মাসে ওমরাহ করা জায়েয । এর কার্যকারিতা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট নয়, তাই মুসলিম যখনই ইচ্ছা তা পালন করতে পারে। সূত্র: শরহু কিতালি জামে লিলআহকামিল ওমরা ওয়াল হজ ওয়াল জিয়ারাত-৩ খণ্ড, ৩ পৃ.
দ্বিতীয় কথা হলো, রজমান মাসে ওমরা করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। দলিল:
হাদিস নং-০১
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، أَخْبَرَنَا حَبِيبٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ لَمَّا رَجَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ حَجَّتِهِ قَالَ لأُمِّ سِنَانٍ الأَنْصَارِيَّةِ " مَا مَنَعَكِ مِنَ الْحَجِّ ". قَالَتْ أَبُو فُلاَنٍ ـ تَعْنِي زَوْجَهَا ـ كَانَ لَهُ نَاضِحَانِ، حَجَّ عَلَى أَحَدِهِمَا، وَالآخَرُ يَسْقِي أَرْضًا لَنَا. قَالَ " فَإِنَّ عُمْرَةً فِي رَمَضَانَ تَقْضِي حَجَّةً مَعِي ". رَوَاهُ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
অর্থ: আবদান (রাহঃ) ... ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) হজ্জ থেকে ফিরে এসে উম্মে সিনান (রাযিঃ) নামক এক আনসারই মহিলাকে বললেনঃ হজ্জ আদায় করাতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? তিনি বলেন, অমুকের আব্বা অর্থাৎ তাঁর স্বামী, কারণ পানি টানার জন্য আমাদের মাত্র দু’টি উট আছে। একটিতে সওয়ার হয়ে তিনি হজ্জ আদায় করতে গিয়েছেন। আর অন্যটিতে আমাদের জমিতে পানি সিঞ্চনের কাজ করছে। নবী (ﷺ) বললেনঃ রমযান মাসে একটি ‘উমরা আদায় করা একটি ফরজ হজ্জ আদায় করার সমান অথবা বলেছেনঃ আমার সাথে একটি হজ্জ আদায় করার সমান। তাখরিজ: বুখারি-১৮৬৩; মুসলিম-১২৫৬
হাদিস নং-০২
عُمرةٌ في رمضانَ تعدِلُ حَجَّةً
الراوي : هرم بن خنبش | | المصدر : صحيح ابن ماجه | الصفحة أو الرقم : 2441 | خلاصة حكم المحدث : صحيح | التخريج : أخرجه ابن ماجه (2992)، وأحمد (17600)
অর্থাৎ রমজানে ওমরাহ করা হজের সমতুল্য। তাখরিজ: ইবনে মাজাহ-২৪৪১,২৯৯২; মুসনাদে আহমদ-১৭৬০০
হাদিস নং-০৩
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি এ মাসে একটি নফল কাজ করবে, সে যেন অন্য মাসের একটি ফরজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ আদায় করবে, সে যেন অন্য মাসের ৭০টি ফরজ সম্পাদন করল।’ তাখরিজ: বায়হাকি-৩০৫,৩০৬; মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ১৯৬৫
নোট: হাদিসটির সনদ দুর্বল।
তৃতীয় কথা হলো, সোম ও বৃহস্পতিবারের আমলনামা আল্লাহ তাআলার দরবারে পৌঁছে, তাই এ দিনে নফল ইবাত করা উত্তম। দলিল:
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " تُعْرَضُ الأَعْمَالُ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ فَأُحِبُّ أَنْ يُعْرَضَ عَمَلِي وَأَنَا صَائِمٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহইয়া (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার আমল পেশ করা হয়। সুতরাং আমি ভালবাসি সায়িম (রোজা) অবস্থায় আমার আমলসমূহ পেশ করা হয়। তাখরিজ: জামে' তিরমিজি- ৭৪৭
নোট: ইমাম আবু ঈসা তিরমিজি (রহঃ) বলেন, এই বিষয়ে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-গারীব।
সারকথা কথা, ওমরাহ পালনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন ফজিলত পূর্ণ তথা বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার ব্যাপারে সরাসরি কোন নস নেই। সোম ও বৃহস্পতিবার উত্তম হতে পারে রোজার হাদিসের উপর কিয়াস করে। আর রমজান মাসের ব্যাপারে,
هذا وتجدر الإشارة إلى أن أجر أداء العمرة في شهر رمضان المبارك -كأجر حجة مع الرسول صلى الله عليه وسلم- يحصل بمجرد تأدية العمرة في أيِّ يومٍ من رمضان؛ سواءً كان ذلك في أوَّله أو آخِره،[٥] ولكنَّ أداءها في العُشر الأواخر من رمضان أفضل بلا شك؛ لأنَّها أفضلُ أيام الشَّهر الكريم উল্লেখ্য যে রমজানের বরকতময় মাসে ওমরাহ করার সওয়াব - রাসূলের সাথে হজের সওয়াবের মতো - রমজানের যে কোনও দিনে কেবল ওমরাহ করার মাধ্যমে পাওয়া যায়। শুরুতে হোক বা শেষ, তবে রমজানের শেষ দশদিনে এর আমল নিঃসন্দেহে ভালো; কারণ এটি পবিত্র মাসের শ্রেষ্ঠ দিন। সূত্র: ফাতওয়ায়ে নুরু আলাল দারব-১৭ খণ্ড; ১৭২ পৃ.
والله
اعلم بالصواب