মুসাফির অবস্থায় জুমা আবশ্যক না কিন্তু চাইলে কি জুম্মা আদায় করা যাবে ❓
মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহমান বগুড়া
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
نجده و نصلي على رسوله الكريم
তাসলিম ও হামদ-সানার প্রথম কথা হলো,
ذهب جماهير أهل العلم من أتباع المذاهب الأربعة أنها لا تجب عليهم ولو سمعوا النداء؛ لأنهم غير مخاطبين به, وحكى بعضهم الإجماع عليه (انظر: البحر الرائق 2/151, الشرح الصغير 1/494, المجموع 4/485, مطالب أولي النهى 1/758).
2- وذهب الظاهرية إلى وجوب الجمعة على من سمع النداء ولو كان مسافراً، ويروى عن الأوزاعي والزهري (المحلى 3/252).
অর্থাৎ জমহুর আহলে এলেমদের মধ্যে চার মাযহাবের অনুসারীদের মতে মুসাফির উপর জুমার নামাজ ওয়াজিব নয়। যদিও তারা জুমার আযান শুনতে পায়।
অপরপক্ষে আহলে জাহেরদের(ইমাম আওযায়ি ও যুহরি রহ.) মতে, জুমাআর আহ্বান যে শুনবে তার ওপর জুমাআর নামাজ আদায় করা ওয়াজিব, যদিও সে মুসাফির হয়। সূত্র: আল বাহরুল রায়েক-২/১৫১; শরহুস সগির-১/৪৯৪; আলমহল্লি-৩/২৫২
দ্বিতীয় কথা হলো, মুসাফিরের জন্য জুমাআর ওয়াজিব না হলেও, যদি সুযোগ-সুবিধা, সময় থাকে, তাহলে জুমাআর সালাত আদায় করাই উত্তম। দলিল:
Surah Al-Baqara, Verse 184:
أَيَّامًا مَّعْدُودَاتٍ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ وَأَن تَصُومُوا خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার।
সূরা বাকারা-১৮৪
এ আয়াতে কারিমা থেকে ইশারাতুন নস দ্বারা বুঝা যায়, মুসাফিরের জন্য ইবাদত সম্পূন্ন করার সুযোগ থাকলে, সেই ইবাদত আদায় করাই উত্তম। সুতরাং মুসাফির ব্যক্তি সুযোগ থাকলে জুমাআর নামাজ আদায় করবেন।
শেষ কথা হলো, আপনার প্রশ্নে উল্লেখিত মুসাফির অবস্থায় জুমা আবশ্যক না কিন্তু চাইলে কি জুম্মা আদায় করা যাব ? হ্যা অবশ্যই যাবে, বরং আদায় করা উত্তম। কেননা কিছু আলেমদের মতে মুসাফিরের জন্য জুমাআর নামাজ আদায় করা ওয়াজিব।
و الله اعلم بالصواب