আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩১৭০: আমাদের দেশের প্রচলিত সঞ্চয় পত্রের হুকুম কি?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩১৭০: 

আসসালামু আলাইকুম।, আমাদের দেশের প্রচলিত সঞ্চয় পত্রের হুকুম কি? এটা কি জায়েজ নাকি নাজায়েজ  ? দ্রুত জানিয়ে বাধিত করবেন  ।

তারিখ:১৯/০১/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা কামাল হোসেন বরিশাল থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো,  নিজের সঞ্চয়পত্রের উপর প্রদত্ত টাকা সুদী লেনের অন্তর্ভূক্ত।  তাই জায়েজ হবে না। আর সুদ সর্বসম্মতভাবে হারাম। দলিল- 

قوله تعالى- وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا

অনুবাদ-আল্লাহ লোককে হালাল করেছেন, আর সুদকে হারাম করেছেন। {সূরা বাকারা-২৭৫}


عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ  বলেন।  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -“সুদ যে খায়, যে সুদে দেয়, তার সাক্ষী হয়, আর তার লেখক তাদের সকলের উপর অভিশাপ করেছেন। তাখরিজ: মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১




সারকথা হলো,  আমাদের দেশের প্রচলিত সঞ্চয় পত্রের সুদের অন্তর্ভুক্ত? তাই এটা জায়েজ নেই।



  والله اعلم بالصواب