আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

প্রচলিত ভুল-০২: নবজাতককে কেন্দ্র করে যে সব ভুলভ্রান্তি ঘটে থাকে: পর্ব ১

No Comments

 



✅নবজাতককে কেন্দ্র করে যে সব ভুলভ্রান্তি ঘটে থাকে: পর্ব ১


 আজকের বিষয়ের ভুল-ভ্রান্তির কারণ হল, এ বিষয়ে যে শরীয়তের কোনো আদেশ-নিষেধ থাকতে পারে এ জ্ঞানেরই অনুপস্থিতি। অর্থাৎ সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার সময়েও যে শরীয়তের আদেশ-নিষেধ থাকতে পারে এই বিষয়টিই অনেকের জানা নেই। মনে করা হয়, শরীয়ত তো শুধু নামায-রোযা ও এজাতীয় ইবাদতের নাম। সন্তান-সন্ততি ও তাদের লালন-পালনের সাথে শরীয়তের কোনো হুকুম সংশ্লিষ্ট নেই। সুতরাং এগুলো করতে হবে প্রচলিত নিয়মে কিংবা এগুলো যেহেতু মেয়েলি বিষয় তাই তাদের রেওয়াজ অনুযায়ী অথবা তথাকথিত সভ্যতার অনুকরণে বিজাতীয় তরিকায়।


গোড়ার ভুল এটাই। শরীয়তে নামায, রোযা ও হজ্ব, যাকাতের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে শরীয়তের কোনো নির্দেশনাই নেই; বরং মানুষের জীবনের প্রতিটি পর্বেই রয়েছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ-নিষেধ। ব্যবসা-বাণিজ্য, সন্তান-সন্ততি প্রতিপালন ঘর-সংসার ইত্যাদি কোনোটিই ইসলামের আওতার বাইরে নয়। এসব কিছুর মধ্যেও আল্লাহর আদেশ-নিষেধ ও তার রাসূলের তরিকা রয়েছে, যেগুলো মান্য করে চললে এ কাজগুলো নেককাজে পরিণত হয়। এই ইলমকে “ইলমুল হাল” বলা হয়। অর্থাৎ প্রত্যেকে তার নিজ নিজ ক্ষেত্র ও অবস্থা সর্ম্পকে শরীয়তের নির্দেশনার জ্ঞান অর্জন করবে। এটি ফরযে আইন। এটি না-জানা এবং জানার প্রয়োজন বোধ না করা গুনাহ। এর পর না-জানার কারণে যে সব ভুল-ভ্রান্তিতে নিপতিত হতে হয় বা কুরুসমের শিকার হতে হয় তার গুনাহ তো আছেই। নিুে আজকের বিষয়ের কিছু প্রচলিত ভুল-ভ্রান্তি তুলে ধরা হচ্ছে যেন এ সম্পর্কীয় সহীহ ইলম অর্জিত হয় এবং এক্ষেত্রে ভুল-ভ্রান্তি থেকে মুক্ত থাকা যায়।


🔴প্রসবকালীন ভ্রান্তি


সন্তান প্রসবের সুচনা থেকেই নামায নেই মনে করা হয়; এর কয়েকটি স্তর আছে। যেমন-


(ক) সন্তান প্রসবের পূর্বে যখন সাদা স্রাব বের হয় তখনও নামাযের ওয়াক্ত হয়ে গেলে নামায পড়তে হবে। স্রাব ধারাবাহিক নির্গত হতে থাকলে মাজুরের হুকুম ধর্তব্য হবে। কিন্তু কোনো কোনো মা-বোন এসময় নামায নেই মনে করেন। এটা ঠিক নয়।


(খ) সন্তান পূর্ণ বের হওয়ার পর কিংবা অধিকাংশ বের হওয়ার পর থেকে নির্গত রক্তই কেবল নেফাস। সুতরাং এর পূর্বে কোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলেও নামায বন্ধ হবে না এবং মাজুর হিসাবে নামায আদায় করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও অনেকে নামায ছেড়ে দেয়।


(গ) সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরের রক্তের সাথে যেহেতু নামায বন্ধ হওয়ার সম্পর্ক, তাই কোনো কারণে যদি সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরও রক্তস্রাব চালু না হয়, তাহলে নামাযের বিরতি হবে না বরং স্রাব বের না হওয়া পর্যন্ত নাামায পড়তে হবে। অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর কোনো প্রসূতির স্রাব চালু না হলে তখনও তাকে নামায পড়তে হবে।


প্রকাশ থাকে যে, উল্লেখিত যে সকল ক্ষেত্রে নামায পড়ার কথা বলা হয়েছে। তার উদ্দেশ্য হল, যেভাবে সমর্থ হবে সেভাবেই নামায পড়বে। যেমন, ইশারা করে হলেও নামায পড়বে। অবশ্য অধিক কষ্টের কারণে যদি ইশারাও সম্ভব না হয় এবং তখনও হুশ বাকী থাকে তাহলে পরবর্তিতে ওই নামায কাযা করে নিতে হবে। -তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৬৭; আলবাহরুর রায়েক ১/২১৮; রদ্দুল মুহতার ১/২৯৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৭


- মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া


(মাসায়ালা ভিত্তিক বিষয়গুলো তে সন্দেহ হলে স্থানীয় যোগ্য আলেম থেকে বুঝে নিব ইন শা আল্লাহ)