🌸 দরুদ অর্থ হলো শুভকামনা, কল্যাণ প্রার্থনা,দোয়া প্রার্থনা। দরুদ শব্দের আরবি হলো ‘সলাত’।
🌸 আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আছ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া'সাল্লামকে বলতে শুনেছেন— যে আমার উপর একবার দরূদ পড়বে, বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন। [সহীহ মুসলিম ১/১৬৬; জামে তিরমিযী ১/১০১]
🌸 কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে, যে আমার উপর সবচেয়ে বেশি দরূদ পড়েছে। [জামে তিরমিযী ১/১১০]
🌸 যে আমার উপর একবার দরূদ পড়বে আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হবে এবং দশটি দরজা বুলন্দ হবে। [সুনানে নাসায়ী ১/১৪৫; মুসনাদে আহমদ ৩/১০২; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ২/৪৩]
🌸 আমার উপর দরূদ পাঠকারী যতক্ষণ দরূদ পড়ে ফেরেশতারা তার জন্য দুআ করতে থাকে। সুতরাং বান্দার ইচ্ছা, সে দরূদ বেশি পড়বে না কম। [মুসনাদে আহমদ ৩/৪৪৫; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৪০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৯০৭]
🌸 রুওয়াইফি ইবনে ছাবিত আলআনসারী রা. বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এ দরূদ পাঠ করবে তার জন্য আমার সুপারিশ অবধারিত হয়ে যাবে।
🌸 এক সাহাবি (রা.) বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)! আমি যত নফল ইবাদত করব, তার এক-চতুর্থাংশ দরুদ শরিফ পড়ব। নবীজি বললেন, তা ভালো, আরও বেশি হলে আরও ভালো। সাহাবি (রা.) বললেন, নফলের এক-তৃতীয়াংশ দরুদ শরিফ পড়ব। নবীজি বললেন, তা ভালো, আরও বেশি হলে আরও ভালো। সাহাবি (রা.) বললেন, নফলের অর্ধাংশ দরুদ শরিফ পড়ব। নবীজি বললেন, তা ভালো, আরও বেশি হলে আরও ভালো। সাহাবি (রা.) বললেন, নফলের দুই-তৃতীয়াংশ দরুদ শরিফ পড়ব। নবীজি বললেন, তা ভালো, আরও বেশি হলে আরও ভালো। সাহাবি (রা.) বললেন, নফলের তিন-চতুর্থাংশ দরুদ শরিফ পড়ব। নবীজি বললেন, তা ভালো, আরও বেশি হলে আরও ভালো। সাহাবি (রা.) তখন আর কিছু বললেন না। (মুসলিম ও তিরমিজি)
🌸 হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা. বলেন, যে পর্যন্ত তুমি তোমার নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উপর দরূদ না পড়বে ততক্ষণ দুআ আসমানে যাবে না, আসমান-যমীনের মাঝে থেমে থাকবে। [জামে তিরমিযী ১/১১০]
🍀 আমরা সবাই একটা বিষয় জানি,যতক্ষণ না আমরা সবকিছুর থেকে আল্লাহ ও তার রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমাদের সব কিছুর থেকে বেশি না ভালোবাসব ততক্ষণ আমরা মুমিন হতে পারব না। আর এই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ এর একটি মাধ্যম হলো নফল ইবাদতে দরূদ পড়া। উল্লেখিত সবগুলো হাদিস আমরা জানি। কিন্তু তা স্বত্বেও আমরা দিনে কতবার দরূদ পড়ি? চিন্তা করুন দরূদ পড়লে স্বয়ং আল্লাহর ওয়াদা টুকু। [প্রথম হাদিস টুকু]
🍀 যাদের অভ্যােস কম, তারা একটি জিনিস চেষ্টা করুন। নিয়মিত ১০০ বার পড়ুন। (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ছোট দরূদ), নিয়মিত করুন। নিয়মিত আমল হিসেবে তো অধিক পছন্দনীয় হবে সেই সাথে স্বয়ং আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) এর দুআ ও শাফায়াত পাওয়া যাবে। আর কি প্রয়োজন বলুন।
✨ আজ কিন্তু শুক্রবার, দুরূদ পড়বো সবাই